কমলগঞ্জে ১০ টাকা মূল্যের চাল ডিলার কর্তৃক আত্মসাতের অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার॥ কমলগঞ্জ উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের ডিলার ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামিলীগ নেতা ও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে ১০ টাকা মূল্যের চাল চুরির অভিযোগ উঠেছে। ইতোপূর্বে তদন্ত করে এর সত্যতা পেলেও অধিক তদন্তের কথা বলছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। কেহ কেহ ২০১৮ সালে একবার আবার কেহ কে ২০১৯ সালের অক্টোবরে পাবার পর অদ্যাবদী পাননি। আবার কারো কার্ড ডিলার নিয়ে গিয়ে আর তাদের চাল দিচ্ছেন না। এনিয়ে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্ঠি হয়েছে। ভোক্তভোগীরা বলছেন তদন্তকরে তাদের ন্যায্য পাভওনা চাল ও অধিকার তাদের ফিরিয়ে দেয়া না হলে তারা আন্দোলনে নামবেন।
প্রধানমন্ত্রীর কঠোর নির্দেশের পরেও বন্ধ হচ্ছেনা চাল চুরি। ত্রাণের চাল চুরির ঘটনা নিয়ে ক্ষমতাসীন দলসহ রাজনৈতিক অঙ্গণে চলছে ব্যাপক আলোচনা। এরমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত ১০ টাকা দামের সুলভ মূল্যের চাল বিক্রীতেও চলছে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নিতী। ইসলামপুর ইউনিয়নের চম্পারায় চা বাগান, সুসমানগর তৈলং বস্তি, গুলের হাওর, কলাবন ফাঁড়ি, সরিষাবিল, সোনারায়সহ বিভিন্ন গ্রামের লোকজন জড়িত হয়ে চাল না পাবার বা বিভিন্নভাবে হয়রানির প্রতিবাদ জানায় ইসলামপুর ইউনিয়নের ৫টি ওয়ার্ডের ডিলার আবু আব্দুল্লাহ্ ও তার পুত্রের বিরুদ্ধে। ৪,৫,৬,৭ আংশিক, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের চালের ডিলার আবু আব্দুল্লাহ্, একাধারে ৩ নং ওয়ার্ডের আওয়ামলীগ সভাপতি।
ডিলার আবু আব্দুল্লাহ্ এর এলাকায় গিয়ে গুদাম বা চাল বন্টনের জায়গায় কোনও ব্যানার বা সাইনবোর্ড পাওয়া যায়নি। বাজারের নৈশ প্রহরী ও বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, ১৫ এপ্রিল রাতে ডিলারের ছেলে আজিজ একটি সিএনজি অটোরিক্সা করে গুদাম থেকে চাল নিয়ে যাবার সময় নৈশ প্রহরী আটক করে গোলের হাওর বাজারের এক মোবাইল ব্যবসায়ীকে ডেকে নিয়ে চ্যালেঞ্জ করলে তাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে চাল নিয়ে যায়। পরের দিনই নৈশ প্রহরী উপজেলা কাদ্য কর্মকর্তার বরাবরে একটি দরখাস্থ্য দেয়। যার তদন্ত প্রথমবার হয়ে প্রাথমিকভাবে ডিলারের চাল চুরির সত্যতা পাওয়া যায়। চাল চুরির কথা ঢাকতে মোবাইলে নৈশ প্রহরীকে ফোন দেন আব্দুল্লাহ্, সেটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এমনকি নিউজ করতে গেলে এপ্রতিনিধিকেও বলেন নিউজটা পক্ষে করতে খরচ দিয়ে দেবেন।
এবিষয়ে অভিযুক্ত আবু আব্দুল্লাহ ও তার ছেলের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন বিষয়টি সাজানো, এরকম কোনও ঘটনা ঘটেনি। এবিষয়ে তদন্ত চলছে বলেও জানান তারা।
এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটির প্রধান উপ-সহকারী প্রকৌশলী মামুন ভুঁইয়া জানান, আব্দুল্লাহ ও তার ছেলে চুরির সাথে জড়িত রয়েছে বলে সত্যতা পাওয়া গেছে।
এবিষয়ে কমলগঞ্জ খাদ্যকর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এবিষয়ে তদন্ত চলছে, তদন্ত শেষে কমিটি সিন্ধান্ত নেবে।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, এবিষয়ে একটি সভা হয়েছে, একটি তদন্ত রিপোর্ট পেয়েছি সেটা পূর্ণাঙ্গ না হওয়াতে আবারও তদন্ত কমিটি করে দেয়া হয়েছে। আগামী রবিবারের মধ্যে রিপোর্ট জমা হলে সভা ডেকে চুড়ান্ত সিন্দান্ত নেয়া হবে। এবিষয়ে ডিলার দোষী সাব্যস্থ্য হলে তাহার ডিলারশীপ বাতিলসহ মামলা দায়ের করা হবে।
এনিয়ে এলাকায় চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। যথাযথ ব্যবস্তা গ্রহন করে ভোক্তভোগী গরীব অসহায় মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার কথা বলছেন এলাকাবাসী।
মন্তব্য করুন