কমলগঞ্জে ১২৫টি মন্ডপে দুর্গোৎসব সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঘরে ঘরে আনন্দের ধারা
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি॥ আকাশে সাদা মেঘের ভেলা, ভোরে শিউলি ফুলের গন্ধ। দুর্গাপূজা উপলক্ষে কমললগঞ্জে এখন সনাতন ধর্মালম্বীদের ঘরে ঘরে আনন্দধারা বইছে।
৭ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। শরৎকালে দেবতাদের হয়ে অসুরকে ধ্বংস করার জন্যে পৃথিবীতে দুর্গার আগমন ঘটে। এবারে মহামায়া দেবীর ‘ঘোটকে আগমন’ এবং ঘোটকে গমন। এ পূজাকে সামনে রেখে পূজারিরা প্রতীমা তৈরীর কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। প্রশাসনও রাখছে সতর্ক দৃষ্টি। এবারে উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ১২৫ টি সার্বজনীন সহ প্রায় ১৪০টি মন্দিরে এখন চলছে প্রতিমা তৈরীর কাজ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মন্ডপগুলোতে প্রতিমা তৈরীর কাজ প্রায় শেষের পথে। দু’এক দিনের মধ্যেই রংতুলির কাজ শুরু করবেন প্রতিমা শিল্পীরা। দশ হাতে দুর্গা ত্রিশূল দিয়ে বধ করছেন অসুরকে। আবার দশ হাতে দুর্গার দশচক্র লীলা ভঙ্গিতে নতুনত্ব আনার চেষ্টা করছেন শিল্পীরা। লীলা এবং গুণের বিষয়টি অত্যন্ত নিখুঁতভাবে তুলে ধরা হয়েছে। দু’চার দিনের মধ্যেই দুর্গাদেবী উঠবে বেদীতে। বাজবে ঢাক, ঢোল আর সানাই। শরৎকালে দুর্গোৎসবের আনন্দ তাই এখন থেকেই ভক্তরা প্রহর গুণছে সেই মহেন্দ্রক্ষণের।
ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের মনে সাজ সাজ রব। এ বিষয় কমলগঞ্জ উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মধূসুদন পাল ও সাধারণ সম্পাদক শ্যামল চন্দ্র দাস. কমলগঞ্জ কেন্দ্রীয় দুর্গাবাড়ি পূজামন্ডপের সভাপতি শংকর লাল সাহা বলেন, সব সময়ই কমলগঞ্জের হিন্দু, মুসলিম সবাই মিলে ব্যাপক আনন্দ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসবে সামিল হয়। এবারেও তার ব্যতিক্রম নয়। প্রাশাসনের পক্ষ থেকেও সহযোগিতা পাচ্ছি।
আলাপকালে কমলগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, কমলগঞ্জ উপজেলার ১২৫টি সার্ব্বজনীন পূজামন্ডপে সাড়ে ৬২ মে.টন জিআর চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। দু’একদিনের মধ্যেই পূজামন্ডপের সভাপতির অনুকূলে চালের ডিও প্রদান করা হবে।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুল হক বলেন, উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে আইনশৃংখলা রক্ষায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন