কমিউনিটি মিডিয়ার মাধ্যমে সমতলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবনমান প্রচারে রেডিও অনুষ্ঠান সমাধান কথাদ অনুষ্ঠিত
স্টাফ রিপোর্টার : রেডিও পল্লীকণ্ঠের আয়োজনে কমিউনিটি মিডিয়ার মাধ্যমে (প্রোমোটিং দ্যা ভয়েস অব প্লেইনল্যান্ড এথনিক মাইনোরিটিজ ইন সিভিক স্পেস থ্রু কমিউনিটি মিডিয়া) সমতলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবনমান প্রচারে রেডিও অনুষ্ঠান ‘সমাধান কথাদ মৌলভীবাজার জেলার সদর উপজেলার ৭নং চাঁদনীঘাট ইউনিয়নের মুক্তারচেগ গ্রামে সমাধান কথাদ অনুষ্ঠানে ২টি পর্বে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহষ্পতিবার ২৪ অক্টোবর ১ম পর্বের বিষয় ছিল বাল্যবিয়ের ক্ষতিকর দিক ও তার প্রতিকারে আমাদের ভূমিকা ।রেডিও পল্লীকণ্ঠের সিনিয়র স্টেশন ম্যানাজার মোঃ মেহেদি হাসানের সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর এর উপ-পরিচালক শাহেদা আক্তার, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা জসীম উদ্দিন মাসুদ, ৭নং চাঁদনীঘাট ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নং ওয়ার্ড সদস্য শেখ মো: তাজুল উল্লা।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বাল্যবিয়ের ক্ষতিকর দিক ও তার প্রতিকারে আমাদের ভূমিকা নিয়ে একটি প্রতিবেদন শুনানো হয়। প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে অতিথিরা তাদের মতামত ব্যক্ত করেন। পরে মুক্তারচেগ গ্রামের জনসাধারণ সরাসরি অতিথিদের বাল্যবিয়ের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করেন।
আলোচনা শেষে তিনজন অতিথি মুক্তারচেগ গ্রামের জনসাধারণকে তিনটি প্রতিশ্রুতি দেন এবং এসব সমস্যা সমাধানের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
২য় পর্বের বিষয় ছিল কৃষি উন্নয়নে দক্ষতা বৃদ্ধি ও বসতবাড়ির আঙ্গিনায় সবজিচাষ।
রেডিও পল্লীকণ্ঠের সিনিয়র স্টেশন ম্যানাজার মোঃ মেহেদি হাসানের সঞ্চালনায় এতে উপস্থিত ছিলেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শিপ্রাংশু পাল, ৭নং চাঁদনীঘাট ইউনিয়ন পরিষদের ০৬ নং ওয়ার্ড সদস্য শেখ মো: তাজুল উল্লা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি কাজল শব্দকর, নিরঞ্জন শব্দকর।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কৃষি উন্নয়নে দক্ষতা বৃদ্ধি ও বসতবাড়ির আঙ্গিনায় সবজিচাষ নিয়ে একটি প্রতিবেদন শুনানো হয়। প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে অতিথিরা তাদের মতামত ব্যক্ত করেন। পরে মুক্তারচেগ গ্রামের জনসাধারণ সরাসরি অতিথিদের এ বিষয়ে প্রশ্ন করেন।
এছাড়াও এ সময় উপস্থিত ছিলেন সমষ্টির প্রোগ্রাম কো- অর্ডিনেটর জাহিদুল হক খান, ইত্তেফাকের জেলা প্রতিনিধি নজরুল ইসলাম মুহিব, এশিয়ান টিভি প্রতিনিধি ও মৌলভীবাজার ২৪.কম এর সম্পাদক মাহবুবুর রহমান রাহেল, প্রোগ্রাম প্রডিউসার আল-আমীন, নিউজ প্রডিউসার পলি রানী দেবনাথ, অনুষ্ঠান প্রযোজক পিংকি রানী দাস, ভিডিও কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হৃদয় সূত্রধর, অফিস সহকারী আরিফ হোসেন।
মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর এর উপ-পরিচালক শাহেদা আক্তার বলেন, অল্প বয়সে বেশির ভাগ মাতৃমৃত্যুর প্রধান কারণ বাল্যবিবাহ।বাল্যবিবাহের কারণে নারীর প্রতি সহিংসতা, মাতৃমৃত্যুও ঝুঁকি, অপরিণত গর্ভধারণ, প্রসবকালীন শিশুর মৃত্যুঝুঁকি, প্রজনন স্বাস্থ্য সমস্যা, নারীশিক্ষার হার হ্রাস, স্কুল থেকে ঝরে পড়ার হার বৃদ্ধি, নারীদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার ক্ষমতা ও সুযোগ কমে যাওয়াসহ নানা রকম নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা থাকে। বাল্য বিবাহ সংকুচিত করে দেয় কন্যা শিশুর পৃথিবী। আমরা যদি সবাই সচেতন হই তাহলে কন্যা শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে। তাই বাল্যবিবাহের বিষয়ে সচেতন হতে হবে আমাকে-আপনাকে সবাইকে।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শিপ্রাংশু পাল বলেন, কৃষিপ্রধান দেশ আমাদের এই বাংলাদেশ। খাদ্য উৎপাদনের প্রধান মাধ্যম হলো কৃষি, যে কৃষি আমাদের জীবন রক্ষায় সহায়তা করে। কৃষি বাঁচলে মানুষ বাঁচবে। আর কৃষি বাঁচাতে হলে কৃষকের প্রয়োজন। এক্ষেত্রে দক্ষ কৃষক না হলে ভালো ফলন আশা করা যায় না। গ্রামে প্রায় সব বসতবাড়ির আঙিনায় কম বেশি খোলা জায়গা থাকে। এসব বসতবাড়িতে সারা বছর শাকসবজি চাষ করা যায়।এতে মানুষের পুষ্টিহীনতা দূর হওয়ার পাশাপাশি খাদ্যনিরাপত্তাও নিশ্চিত হবে।কিন্তু সাম্প্রতিক কালে মানুষের জীবযাত্রায় আধুনিকতার ছোঁয়া লাগায় অনেকেই বসতবাড়িতে আগের মতো সবজি আবাদ করছে না। সবজির ব্যাপক চাহিদার কারণে বাজারে এখন সবজির উচ্চমূল্য যা অনেক সময় সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে চলে যায় বলে বেশিরভাগ মানুষ সবজি বাজার থেকে কিনে খেতে পারে না। এই সমস্যা থেকে বের হয়ে গ্রামের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আমাদের কৃষাণীদেরকে নিরাপদ সবজি চাষে উদ্বুদ্ধ হতে হবে।
মন্তব্য করুন