করোনাকালে শিক্ষাসেবা

May 22, 2020,

সায়েক আহমদ॥ সারাবিশ্ব লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে করোনা ভাইরাসের বিষাক্ত থাবায়। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থাও। কেউ নির্দিষ্ট করে বলতে পারছে না শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো কবে থেকে চালু করা হবে কিংবা কোন পদ্ধতি অনুসরণ করে চালু করা হবে? দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ আছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের সকল দেশেই শিক্ষা ব্যবস্থার খুবই নাজুক দশা। এটা নিশ্চিত যে, আমাদের দেশ থেকে করোনা মহামারী বিদায় নিলেও শিক্ষার্থীদেরকে আবারো সহজে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠাতে দ্বিধাবোধ করবেন অভিভাবকেরা। তাহলে কীভাবে চলমান রাখা যাবে শিক্ষা কার্যক্রম?
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ২৯ মার্চ থেকে মাধ্যমিক এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ৭ এপ্রিল থেকে প্রাথমিক স্তরের সব বিষয়ে ক্লাস রেকর্ড করে সংসদ টিভিতে দেখানো শুরু করেছিল। এখনও তা অব্যাহত আছে। জানা গেছে, আগামী আগস্ট-সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ক্লাসের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ ছাড়া কারিগরি শিক্ষা যুক্ত হয়েছে। আলিয়া ধারার মাদ্রাসার ক্লাসগুলোও যুক্ত হতে যাচ্ছে। ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের দিয়ে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ৫০০টি ক্লাস রেকর্ড করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সেগুলোর মধ্য থেকে প্রায় দুই শতাধিকের বেশি ক্লাসও প্রচারিত হয়েছে। অন্যদিকে প্রাথমিক পর্যায়ের শতাধিক ক্লাসও প্রচার করা হয়েছে। প্রাথমিকের ক্লাস হয় সকাল ৯টা থেকে ১০:৪০ মিনিট পর্যন্ত। এরপর ১০:৪০ মিনিট থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত চলে মাধ্যমিকের ক্লাস। তারপরও টিভি দেখার সুযোগ না থাকায় ১৫ শতাংশ শিক্ষার্থী এই ক্লাসগুলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। শিক্ষা কর্মকর্তা, শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের অনেকেই এই ক্লাসগুলোকে দেখছেন মন্দের ভালো হিসেবে। অনেকেরই টিভি নেই। কারো বা নষ্ট হয়ে পড়ে আছে, মেরামত করারও কোন সুযোগ নেই। আবার ক্লাসগুলো নিয়ে রয়েছে যথেষ্ট অতৃপ্তি। এমনিতেই সিলেবাস শেষ করা কঠিন। পরীক্ষাও থমকে আছে। তারপরও আপদকালীন সময়ে শিক্ষাব্যবস্থা সচল রাখার এটাই সবচেয়ে বড় উপায়। যদিও প্রধানমন্ত্রী একটা ইঙ্গিত দিয়েছেন ঝুঁকি অব্যাহত থাকলে এই ছুটি সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গড়াতে পারে। বাস্তবে পরিস্থিতি কোনদিকে গড়াবে তা কেউই বলতে পারছে না। করোনাকাল লম্বা হলে দেশজুড়ে পড়াশোনা চালু রাখার জন্য টিভির ক্লাসগুলো অবশ্যই একটি বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াবে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে পরীক্ষাগ্রহণ, ক্লাস প্রমোশন, এইচএসসি, জেএসসি পরীক্ষাসহ পাবলিক পরীক্ষাসমূহ। শিক্ষাবিভাগ থেকে এখনও দীর্ঘমেয়াদি কোন পরিকল্পনা প্রকাশ না করায় শিক্ষক-অভিভাবকগণ কিংকর্তব্যবিমূঢ় অবস্থায় আছেন। আমাদেরকে মনে রাখতে হবে দেশে এখন প্রাথমিক পর্যায়ে প্রায় পৌনে দুই কোটি এবং মাধ্যমিক পর্যায়ে ১ কোটি ৩৪ লাখের মতো শিক্ষার্থী রয়েছে।
বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বের শিক্ষাব্যবস্থার বর্তমান অবস্থা পর্যালোচনা করে দেখা যাচ্ছে যে, এখন দীর্ঘমেয়াদি অনলাইন শিক্ষার দিকে ঝোঁক তৈরি করা ছাড়া অন্য কোন বিকল্প নেই। কাজেই সরকারের পাশাপাশি স্থানীয় জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে। সারাদেশে ত্রাণ বিতরণের পাশাপাশি যেসব শিক্ষার্থীরা অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল, তাঁদেরকে অর্থনৈতিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখা প্রয়োজন। পাশাপাশি শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের জন্য ল্যাপটপ অথবা স্মার্ট ফোনের ব্যবস্থা করাও জরুরী। সবচেয়ে বড় বিষয় হল সরকারকে কঠোর হতে হবে মোবাইল কোম্পানিগুলোর দিকে। তারা সারা বছরই রক্তচোষার মত জনগণের টাকা শোষণ করে নিচ্ছে। টাকার বিনিময়ে ন্যূনতম নেটওয়ার্ক সুবিধা ছাড়াই তারা হাজার হাজার কোটি টাকা মুনাফা তুলে নিয়েছে এবং এখনও অবিরত নিয়েই যাচ্ছে। সরকারকে অবশ্যই মোবাইল কোম্পানিগুলোর সঙ্গে আলাপ করে শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে মোবাইল ডেটা ব্যবহারের সুযোগ করে দিতে হবে। এটা অত্যন্ত জরুরী। কারণ বর্তমান ক্রান্তিকালে এ কার্যক্রম ছাড়া অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া অত্যন্ত কঠিন।
বাংলাদেশের শিক্ষার্থীসংখ্যা অনেক বেশি। মজার ব্যাপার হল পৃথিবীর ২০০টি দেশের জনসংখ্যার চেয়েও বেশি আমাদের শিক্ষার্থীসংখ্যা। কাজেই সরকার এবং জনগণকে দেশের বর্তমান শিক্ষা পরিস্থিতি নিয়ে অবশ্যই দূরদর্শী চিন্তা অব্যাহত রাখতে হবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারকে অবশ্যই ধন্যবাদ দিতে হয়। কারণ দেশের প্রতিকুল পরিবেশেও সরকার দেশের প্রায় শতভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল সুবিধাদি পৌঁছে দিয়েছেন। যদিও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। তারপরও তো মোটামুটিভাবেও তথ্যপ্রযুক্তি আমাদের হাতের মুঠোয়ই চলে এসেছে। মনে রাখতে হবে করোনার মতো মহামারি সমস্যায় যখন স্কুল-কলেজে উপস্থিত হওয়া নিরাপদ নয়, তখন তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করেই শিক্ষার এই ধারাকে অব্যাহত রাখতে হবে। অবশ্যই এর কোন বিকল্প রাস্তা নেই।
অনলাইনে ক্লাস করার নানা মাধ্যম রয়েছে। তবে তা আমাদের দেশের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের জন্য অবশ্যই নতুন অভিজ্ঞতা। তারপরও দেখা যায় ব্যক্তিগতভাবে হলেও ফেসবুক গ্রুপ থেকে শুরু করে গুগল ক্লাসরুম, জুম, ফেসবুক মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপসহ নানা মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন শিক্ষকেরা। বর্তমান সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য এবং এর সাথে মানিয়ে নেয়ার জন্য এখন থেকেই আমাদের যুবক-তরুণ এবং শিশু-কিশোরদেরকে বুঝাতে হবে। তাদেরকে সঠিকভাবে দিক নির্দেশনা প্রদান করে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের জন্য কোয়ারান্টাইনে বন্দী থাকা দিনগুলোকে কাজে লাগানোর শিক্ষা দিতে হবে। যে বিষয়গুলো শ্রেণিকক্ষে রপ্ত করা সম্ভব হয়নি, এখন তা শিখে নেয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে হবে।

দেশের বেশিরভাগ এলাকাতেই ইন্টারনেটের ধীরগতি কিংবা উচ্চমূল্যের কারণে ক্লাসের সঙ্গে তাল মেলাতে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। গোঁদের উপর বিষফোঁড়ার মত রয়েছে অব্যাহত লোড শেডিং এর ভয়াবহ নির্যাতন। অনেক কষ্টে যখন নেটওয়ার্ক পাওয়া গেল, দেখা গেল হঠাৎ করেই সংযোগটা কেটে গেছে, কিংবা কারেন্টই চলে গেছে। এরপরও এসব পরিস্থিতির সাথে মোকাবেলা করে এগিয়ে যাওয়া ছাড়া কোন বিকল্প নেই।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য সারাদেশের মত মৌলভীবাজার জেলাতেও চালু হয়েছে অনলাইন ক্লাসরুম। মৌলভীবাজার জেলায় বেশ কয়েকজন আইসিটিতে দক্ষ এবং শ্রেষ্ঠ ডিজিটাল কনটেন্ট নির্মাতা শিক্ষক রয়েছেন। এরা জেলা আইসিটি অ্যাম্বাসেডার হিসেবেও অব্যাহতভাবে আধুনিক শিক্ষাসেবা দিয়ে আসছেন। এদের মধ্যে একজন বিটিআরআই উচ্চ বিদ্যালয়ের আইসিটি শিক্ষক এবং জেলা অ্যাম্বাসেডার ফয়সল আহমেদ। অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালু নিয়ে আমি তার সাথে আলাপ করে জানতে পারি বিগত মার্চ মাস থেকেই তারা এ বিষয়ে ব্যক্তিগতভাবে গড়ে তুলেছেন ‘মৌলভীবাজার জেলা অনলাইন ক্লাসরুম’। বর্তমানে এ অনলাইন ক্লাসরুমের নতুন নামকরণ করা হয়েছে, ‘খবধৎহরহম ইবব’. ফয়সল আহমেদ জানালেন এর গতি আরো বৃদ্ধি করার জন্য এবং পরিধি আরো ব্যাপক করার জন্য তারা সিলেট বিভাগীয় অনলাইন কøাসরুমের সাথেও কানেক্ট হয়েছেন। শ্রীমঙ্গল বাডস রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এণ্ড কলেজের অভিজিৎ সিংহ, মৌলভীবাজার ফ্লাওয়ার্স কেজি এণ্ড হাইস্কুলের শ্যামল সিংহ সহ বেশ কয়েকজন চৌকষ শিক্ষক এ প্ল্যাটফরমটি তৈরি করতে বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন। বর্তমানে আরো অনেক ভাল ভাল শিক্ষক এর সাথে যুক্ত হয়েছেন। তাদের কর্মকাণ্ডে উৎসাহিত হয়ে এবং তাদেরকে আরো বেশি উৎসাহদানের জন্য একজন প্রধান শিক্ষক হিসেবে আমিও বেশ কয়েকটি ভিডিও ক্লাস এবং লাইভ ক্লাস প্রচার করি। আমি বেছে নিয়েছিলাম উচ্চতর গণিতের মত একটি কঠিন বিষয়কে। কারণ এ বিষয়টি সকল শিক্ষার্থীরা সহজে আয়ত্ত্বে নিয়ে আসতে পারে না। এমনিতেই তারা গণিত বিষয়টাকেই ভয় পায়। উচ্চতর গণিত নিয়ে তো আরো বেশি আতংক। এর উপর উচ্চতর গণিত বিষয়ে প্রাইভেট শিক্ষকও সহজে তারা পায় না। এ কারণে তাদের এ আতংক নিরসনের জন্য আমি ‘মজার গণিত’ নামে একটি গ্রুপ খুলে ‘খবধৎহরহম ইবব’ এর সাথে কানেক্ট হই। পাশাপাশি মেসেঞ্জারে শিক্ষার্থীদের দ্বারা পরিচালিত ‘ঋড়ৎ ঐরমযবৎ গধঃয’ নামে একটি গ্রুপের সাথেও কানেক্ট হই। এ গ্রুপের সাহায্যে প্রতিদিন নোটিশ দেয়া এবং হোমওয়ার্ক দেখার কাজও সহজেই করা যায়। শিক্ষার্থীরা তাদের হোমওয়ার্ক তৈরি করে স্মার্টফোনের সাহায্যে ছবি তুলে মেসেঞ্জারে পাঠিয়ে দেয়। আর আমিও তাদের ভুলত্রুটি দেখে প্রতিদিনই হোমওয়ার্ক মূল্যায়ন করা অব্যাহত রেখেছি। এতে শিক্ষার্থীরা বাসায় সরাসরি হোমওয়ার্ক তৈরির জন্য যথেষ্ট পড়াশোনা করছে। কারণ টিভির ক্লাসে তারা হোমওয়ার্ক তৈরি করতে করতে বিরক্ত হয়ে পড়েছিল। আর যদি স্কুলগুলো খুলে যায় তবে এতগুলো হোমওয়ার্ক শিক্ষকগণের দ্বারা একসাথে মূল্যায়ন হওয়া কতটুকু বাস্তবসম্মত, সেটাও প্রশ্নবিদ্ধ। তবে প্রতিদিনের পড়া প্রতিদিন আদায় হয়ে গেলে শিক্ষকগণও তৃপ্ত হন, শিক্ষার্থীরাও আনন্দ পায়। ঈদের পরেও আমরা সকল শ্রেণির, সকল বিষয়ের পাঠদান কার্যক্রমের এ ধারা অব্যাহত রাখবো। অন্তত আমি আমার বিদ্যালয়ের শিক্ষকমন্ডলীকে এতে অব্যাহতভাবে ক্লাস তৈরি এবং হোমওয়ার্ক আদায় করার ব্যবস্থা নিশ্চিত করব। আমার মনে হয় সারাদেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে যদি শিক্ষাবিভাগ কর্তৃক এ নির্দেশনাটুকু প্রদান করা হয় এবং ডিজিটাল মনিটরিং করা হয় তাহলে শিক্ষার্থীরা বাসায় বসে বসে অলস সময় কাটাবে না। শিক্ষরাও সানন্দে এগিয়ে আসবেন।
এখন প্রশ্ন হল, সবাই কি এর আওতায় আসতে পারবে? বিশেষ করে চা-শ্রমিক অধ্যূষিত অঞ্চলে তা কি আদৌ সম্ভব? আমরা জানি অনেক প্রতিকুলতা আছে। কিন্তু ইচ্ছে থাকলেই উপায় হবে। আমি লক্ষ করেছি আমার ক্লাসগুলোতে প্রথমদিকে ভিউয়ার সংখ্যা কম থাকলেও বর্তমানে তা হাজার অতিক্রম করেছে। এটা নিশ্চিত যে, আমার বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সহ অন্যান্য বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবৃন্দ, অভিভাবকবৃন্দ এবং শিক্ষকমণ্ডলী অবশ্যই কøাসগুলো দেখছেন। শুধু তাই নয়, শিক্ষার্থীরাসহ সবাই বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ভাল ভাল শিক্ষকমন্ডলীর ক্লাসগুলোও পর্যবেক্ষণ করছেন। এখন শিক্ষকমণ্ডলীর মধ্যেও একটা প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব থাকলে অনলাইন শিক্ষাদান কার্যক্রম আরো বেশি জনপ্রিয় হবে। যে শিক্ষক ভাল পড়াবেন, তার ক্লাস অবশ্যই শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে দেখবে। এতে করে শিক্ষাব্যবস্থাই সমৃদ্ধ হবে। আমি শুধু আমাদের ব্যক্তিগতভাবে গড়ে তোলা একটি ক্ষুদ্র প্রয়াসের কথা তুলে ধরলাম। আশা করি শিক্ষাবিভাগ এবং নীতিনির্ধারকগণ কর্তৃক বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হলে অনেক কিছুই পরিকল্পনা করা সম্ভব হবে। গবেষকদের দৃষ্টিতে করোনা থেকেই যাবে। অন্তত দু বছর আগে করোনার বিদায়ের কথা তো চিন্তাই করা যায় না। কাজেই জাতীয় পর্যায়ে নয়, বরং স্থানীয় পর্যায়ে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা অত্যাবশ্যক।
[সায়েক আহমদ, প্রাবন্ধিক, কলাম লেখক, শিশু সাহিত্যিক, ০১৭১২৯৬২৩৯৩]

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com