কামারচাক ছাত্র মজলিসের আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল
স্টাফ রিপোর্টার॥ মসজিদ বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে মসজিদ নির্মাণে বাঁধা প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে-মৌলভীবাজার ছাত্র ছাত্র মজলিস সভাপতি
ইসলামী ছাত্র মজলিসের মৌলভীবাজার জেলা সভাপতি মুহাম্মদ এহসানুল হক বলেছেন-দেশে ইসলাম, ইসলামী তাহজিব-তামাদ্দুন নিয়ে একের পর এক অব্যাহত ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত চলছে। সম্প্রতি রাজধানীর গেন্ডারিয়ায় হিন্দুদের ভিত্তিহীন অভিযোগে একটি নির্মাণাধীন মসজিদ থেকে নামাজরত মুসল্লিদের টেনেহিঁচড়ে পুলিশ বের করে দিয়ে মসজিদ নির্মাণ কাজ বন্ধ করার মতো ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছে। আল্লাহর ঘর পবিত্র মসজিদে জুতাসহ প্রবেশ করে মসজিদের সম্মান ও পবিত্রতা নষ্ট করে পবিত্র কুরআন শরিফের চরম অবমাননা করেছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের দেশে এভাবে প্রকাশ্যে মুসলমানদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে কোটি কোটি ধর্মপ্রাণ তাওহিদী জনতার ঈমানী চেতনায় কুঠারাঘাত করা হয়েছে। সংখ্যাগরিষ্ট মুসলমানদের দেশে আল্লাহর ঘর পবিত্র মসজিদের বিরুদ্ধে কেউ অবস্থান নিবে এবং ঔদ্ধত্য প্রদর্শন করবে আর উম্মাহর জানবায মুমিনরা বসে থাকবে এটা হতে পারে না। মসজিদ নিয়ে ষড়যন্ত্র এবং ধর্ম নিয়ে ধৃষ্ঠতা এদেশের ছাত্র সমাজ সহ্য করবে না। ছাত্র মজলিস কামারচাক ইউপি শাখার উদ্যোগে শহীদ আরমান দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথাগুলো বলেন।
ছাত্র মজলিস রাজনগর উপজেলাধীন কামারচাক ইউপি ছাত্র মজলিসের উদ্যোগে বুধবার ২৯ জুন রাজনগরের তারাপাশা মজলিস মিলনায়তনে ছাত্র মজলিসের প্রথম শহীদ আরমানের ২২তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন ছাত্র মজলিস মৌলভীবাজার জেলা সভাপতি মুহাম্মদ এহসানুল হক।
কামারচাক ইউপি ছাত্র মজলিস সভাপতি সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি নুরুজ্জামান জুবায়েরের পরিচালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন খেলাফত মজলিস রাজনগর উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুস শহীদ, ছাত্র মজলিস কমলগন্জ উপজেলা শাখার প্রাক্তন সভাপতি মাওলানা এনায়েত উল্লাহ বেলাল, খেলাফত মজলিস কামারচাক ইউপি সভাপতি মাওলানা এখলাসুর রহমান, সহসেক্রেটারি মাওলানা শাহ আলম সাকিব, রাজনগর উপজেলা বায়তুলমাল সম্পাদক মিজানুর রহমান প্রমুখ।
ছাত্র মজলিস মৌলভীবাজার জেলা সভাপতি আরো বলেন, পথ চলতে চলতে যখন নানা মোহ, ভীতি, আশঙ্কা আমাদের পথ আগলে দেয় তখন হৃদয়ের মাঝে অমর হয়ে থাকা শহীদ ভাইদের স্মৃতি আমাদের মনে আশার আলো জ্বাালায়। শহীদ আরমান সমাজ বিপ্লবের কর্মীদের চেতনা, প্রেরণা। কিশোর বয়সেই ছাত্র ইসলামী আন্দোলনের শহীদি কাফেলায় নাম লিখালেন আরমান। নাস্তিক মুরতাদমুক্ত হোক এদেশ। মুসলমানদের দেশে ইসলামের জয় হোক, হোক ইসলামী রাষ্ট্র এটাই ছিল শহীদ আরমানের লালিত স্বপ্ন। শহীদ আরমানের স্বপ্ন পূরণের আগ পর্যন্ত ছাত্র মজলিস সমাজ বিপ্লবের কাজ চালিয়ে যাবে। প্রসঙ্গ কুখ্যাত নারীবাদী ধর্মবিদ্বেষী লেখিকা তাসলিমা-নাসরিন র্কর্তক কুরআন অবমাননার প্রতিবাদে আহুত হরতালে ১৯৯৪ সালের ৩০ জুন, কিশোরগঞ্জের রাজপথে পুিলশের গুলিতে ইসলামী ছাত্র মজলিসের কর্মী কিশোর আরমান শাহাদতবরণ করেন।
মন্তব্য করুন