কারাগারে থাকাবস্থায় ব্যাংক ডাকাতির মামলার আসামী : সুবিচারের জন্য বিচারপতির কাছে লিখিত অভিযোগ

December 10, 2016,

সাইফুল ইসলাম॥ শ্রীমঙ্গলে পৌর শহরের ভানুগাছ রেলগেইট এলাকার দিন মজুর বিধবা জরিনা বেগমের ছেলে রুমেল প্রকাশ রুহেল (২০) একটি চুরির মামলা জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর আরেকটি ব্যাংক ডাকাতির মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে মৌলভীবাজার সিআইডি পুলিশ।
এ ব্যাপারে রুমেলের মাতা জরিনা বেগম ন্যায়বিচার চেয়ে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র সিনহা (এসকে সিনহা) বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অনুলিপি দিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক, ডিআইজি অব পুলিশ সিলেট, জেলা প্রশাসক মৌলভীবাজার, পুলিশ সুপার মৌলভীবাজার, স্থানীয় প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের।
লিখিত অভিযোগ ও মামলা প্রাপ্ত কপি সূত্রে জানা যায়, ২০ অক্টোবর ২০১৬ ইং তারিখে মৌলভীবাজার সিআইডি পুলিশের ওসি জিএম হামিদুর রহমান (বিপি নং-৬৬৯৫০৭৬৩১৬) তার দ্বিতীয় ছেলে রুমেলকে গ্রেফতার করিয়া মৌলভীবাজার বিজ্ঞ আদালতে চালান দেয়। মৌলভীবাজার মডেল থানার মামলা নং-৩৪,তাং-২১.১০.২০১৫ইং,ধারা-৪৬১,৩৮০ দন্ড বিধি মামলায় ২০.১০.২০১৬ ইং তারিখে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়্যাল ম্যাজিষ্ট্রেট ১নং আমলী আদালতে চালান করিয়া কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করান। তার ছেলেকে গ্রেফতারের পরে হেফাজতে নির্যাতন ও ক্রসফায়ারের ভয় দেখাইয়া সত্যর বিপরীতে জবানবন্দি গ্রহন করাইয়াছেন।কেননা কথিত ঘটনার মামলার তারিখ ও সময়ে তার ছেলে রুমেল প্রকাশ রুহেল ২০.৯.২০১৫ইং তারিখে শ্রীমঙ্গল থানার এসআই ফজলে রাব্বি শ্রীমঙ্গল  থানার মামলা নং-১৭,তাং-২৪.৬.২০১৫ইং,ধারা-ধারা-৩৭৯,দন্ডবিধি যাহা,জিআর ১৩০/১৫ইং (শ্রী) মামলায় গ্রেফতার পূর্বক বিজ্ঞ ২নং আমলী আদালতে প্রেরণ করে।
এরপর আদালত ২৬.১০.২০১৫ইং তারিখে তার ছেলেকে জামিনে মুক্তি দেয়। কাজেই তার ছেলে রুমেল প্রকাশ রুহেল উল্লেখিত মৌলভীবাজার মডেল থানার মামলা নং-৩৪,যাহার জিআর নং-২৭৯/১৫ইং সদর মামলার ঘটনার তারিখে জড়িত থাকা মর্মে যে জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা বানোয়াট। তিনি লিখিত অভিযোগে আরো বলেন,তার ছেলে রুমেল প্রকাশ রুহেল এর যমজ ভাই আছে বলিয়া কাল্পনিক গল্প সৃষ্টি করিয়া সত্যকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টায় লিপÍ রয়েছেন। তার তিন ছেলে,প্রথম ছেলে জুয়েল মিয়া,দ্বিতীয় ছেলে রুমেল মিয়া,তৃতীয় ছেলে রাসেল মিয়া। তিন সন্তান আর এক কণ্যা সন্তান ছাড়া কোন সন্তান নাই। কিন্তু পুলিশ উল্টো ছেলে না থাকা স্বত্বেও কাল্পনিক আরো ছেলে বলে কাহিনী সৃষ্টি করিতেছে।
নির্যাতিত রুমেলের মাতা জরিনা বেগম বলেন, আমার ছেলেকে গ্রেফতারের পর মানসিক ও শারীরিক ভাবে নির্যাতন করেছেন। তিনি বলেন,মৌলভীবাজার কৃষি ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় মডেল থানায় দায়েরকৃত মামলা তারিখ ২১/১০/২০১৫ইং। তার আগে মোবাইল চুরির মামলায় শ্রীমঙ্গল থানার এসআই ফজলে রাব্বি ২০/০৯/২০১৫ইং তারিখে গ্রেফতার করে আদালতে চালান দেন। আমার ছেলে এক মাস ছয় দিন কারাভোগের পর অথ্যাৎ ২৬.১০.২০১৫ইং তারিখে জামিনে মুক্তি পায়। তখনকার সময়ে আমার ছেলে কারাগারে থাকাবস্থায় ডাকাতির মামলার আসামী হয় কিভাবে?। তিনি বলেন, আমি প্রধান বিচারপতি হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com