কালনি এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে যাত্রীদের টাকা ও মুঠোফোন লুট
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি॥ ঢাকা থেকে সিলেট অভিমুখে চলাচলকারী আন্তনগর কালনি এক্সপ্রেস ট্রেনের অতিরিক্ত একটি বগিতে উঠে যাত্রীদের টাকা পয়সা ও মুঠোফোন লুটে নিয়ে কুলাউড়া স্টেশনের আউটারে আবার চেইন ট্রেনে ট্রেন থামিয়ে নেমে গেল দুর্বৃত্তরা। সোমবার ২৪ অক্টোবর রাত সোয়া দশটায় আখাউড়া-সিলেট রেলপথের শমশেরনগর ও কুলাউড়া স্টেশনের মাঝামাঝি স্থানে এ ঘটনাটি ঘটে।
শ্রীমঙ্গলস্থ রেলওয়ে থানা পুলিশ ও শমশেরনগর স্টেশন সূত্রে জানা যায়, সোমবার বিকাল চারটায় ঢাকার কমলাপুর থেকে সিলেট অভিমুখেী আন্তনগর কালনি এক্সপ্রেস ট্রেন ছেড়ে আসে। এই ট্রেনটিটে পিছনে একটি অতিরিক্ত বগি সংযুক্ত করা হলেও চলন্ত অবস্থায় চলাচলের জন্য এ বগির সাথে ট্রেনের বাকী সব বগির কোন যোগাযোগের পথ ছিল না। কোন স্টেশনে ট্রেন থামলে পরে অতিরিক্ত বগির সাথে যোগাযোগ করা যায়। চলন্ত অবস্থায় মূল বগি থেকে অতিরিক্ত বগি কিছুটা বিচ্ছিন্ন এই সুযোগে সোমবার রাত ১০টা ৫ মিনিটে কালনি এক্সপ্রেস কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর স্টেশন ছেড়ে যাবার সময়ে সাত আটজনের একদল দুর্বৃত্ত অতিরিক্ত বগিতে উঠে। ট্রেনটি দ্রুত গতিতে কুলাউড়া স্টেশনের দিকে এগি যেতে থাকলে দুর্বৃত্তরা ট্রেনে থাকা ১০ থেকে ১২ জন যাত্রীর কাছ থেকে নগদ টাকা পয়সা ও মুঠোফোন লুটে নিয়ে কুলাউড়া স্টেশনের আউটার সিগনাল এলাকায় চেইন ট্রেনে ট্রেন থামিয়ে নেমে পালিয়ে যায়। পরে আক্রান্ত ট্রেন যাত্রীরা কুলাউড়া রেলওয়ে স্টেশন মাস্টারের কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছেন।
শমশেরনগর স্টেশন মাস্টার কবির আহমদ সোমবার রাতে সিলেট মুখী কালনি এক্সপ্রেসের অতিরিক্ত বগিতে দুর্র্বত্তদের হামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আসলে ট্রেনে অতিরিক্ত বগি লাগানো থাকলেও চলন্ত অবস্থায় এ বগিতে যাওয়ার কোন পথ ছিল না। দুর্বৃত্তরা এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে যাত্রীদের টাকা পয়সা ও মুঠোফোন লুটে নিয়েছে।
কুলাউড়া রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মুহিবুর রহমান বলেন, ঘটনার সময় তার ডিউটি ছিল না। তবে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ট্রেনে অতিরিক্ত বগি লাগালেও চলন্ত অবস্থায় সে বগিতে ট্রেনের কর্মচারী ও রেল পুলিশের চলাচল করার সুযোগ থাকলে এ ঘটনাটি ঘটতো। তিনি মনে করেন সুযোগ সন্ধানী ছিনতাইকারীরা এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে।
শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে থানার দায়িত্ব প্রাপ্ত উপ পরিদর্শক মজিবুর রহমান সোমবার রাতে কালনি এক্সপ্রেসে দুর্বৃত্তদের হামলার কথা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় জোর তদন্ত চলছে। তিনি মনে করেন দুর্বৃত্তরা শমশেরনগর স্টেশন থেকে উঠে যাত্রীদের টাকা পয়সা ও মুঠোফোন লুটে কুলাউড়া স্টেশরেন প্রবেশকালে নেমে গেছে। রেলওয়ে পুলিশ কর্মকর্তা ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও বলেন, ট্রেনের এ্যাটেনডেন্টরা অনেক সময় বগির দরজা খোলা রেখে অন্য বগিতে গিয়ে গল্পগুজবে ব্যস্ত থাকে। এখানে তাদেরও দায়িত্বে অবহেলা আছে।
মন্তব্য করুন