কাশিমপুর পাম্প হাউজ অনেকটা সচল কাউয়াদীঘি হাওর থেকে কমতে শুরু করেছে পানি
স্টাফ রিপোর্টার॥ মৌলভীবাজার সদর ও রাজনগর উপজেলায় অবস্থিত মনূ সেচ প্রকল্পের আওতাধীন কাশিমপুর পাম্প হাউজ তুলনামূলক অনেকটা সচল থাকায় কাউয়াদীঘি হাওর থেকে পানি কমতে শুরু করেছে। দেড় সপ্তাহ ধরে স্থানীয় কৃষকদের রোষানলে পড়ে ও গেল বৃহস্পতিবার কৃষি ও কৃষক রক্ষা কমিটি, মৌলভীবাজার’র আন্দোলন ও জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেবার পর তাৎক্ষনিক জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বৈঠক করেন।
বৈঠকে পিডিবি বিদ্যুৎ বিভাগ, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা প্রশাসন থেকে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে একটি মনিটরিং বোর্ড গঠন করা হয়। পরে শুক্রবার থেকে বিদুৎ বিভাগের সহায়তায় ৮টি পাম্পের সিংহভাগ চালু করে কাউয়াদীঘির পানি কুশিয়ারায় নিস্কাশন করা শুরু হয়। মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের (যান্ত্রিক বিভাগ( নির্বাহি প্রকৌশলী এম এ হান্নান খান শনিবার সন্ধ্যায় বলেন, শনিবার সকাল থেকে বিদ্যুৎ বিভাগের সহায়তায় পুরো ৮টি পাম্প দিয়ে পানি নিস্কাশন করা হয়েছে। দুপুরে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ কমিয়ে দিলে আবার ৪টি পাম্প দিয়ে পানি নিস্কাশন করা হয়। তিনি বলেন, হাওর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১ ফুট পানি কমেছে।
উল্যেখ্য, মনূ সেচ প্রকল্পের অধীনে মৌলভীবাজার সদর ও রাজনগর উপজেলার কাউয়াদীঘি হাওরের ১৯ হাজার ২শ ২৮ হেক্টর চাষযোগ্য জমির বন্যা নিয়ন্ত্রণ নিস্কাশন ও সেচ ব্যবস্থা প্রদানের লক্ষে ১৯৭৫-৭৬ সালে এই পাম্পটি নির্মাণ করা হয়। পাম্পের ৮টি মেশিনের প্রায় ৬টি অচল হওয়াতে সরকার ২০১৬ সালে ৭৮ কোটি টাকা ব্যয়ে পাম্পটির নতুন করে কাজ শুরু করে। এসময় ৩৫ কোটি টাকার লোঠপাট করা হয়। ওই সময়ে দূদকের দেয়া মামলায় মৌলভীবাজার ও ঢাকা’র সংশ্লিষ্ট ১১ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়।
মন্তব্য করুন