“কি চমৎকার দেখা গেল : সিসিক-মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী” রাজপথে-প্রশাসনে সমানে সমানঃ এখন যার-এগিয়ে যাবার পালা ॥

June 19, 2019,

মুজিবুর রহমান মুজিব॥ প্রাচীন কালে আধুনিক বৃহত্তর সিলেট অঞ্চল: ১., লাউড, ২.গৌড়, ৩. জৈন্তিয়া, ৪. তরফ এবং ৫. ইটা- এই পাঁচটি প্রধান সামন্ত রাজ্যে বিভক্ত ছিল। গৌড়- এর সর্বশেষ স্বাধীন সামন্ত শাসক ছিলেন গোবিন্দ। গৌড় এর রাজ্য হিসাবে তিনি ইতিহাসে গৌড় গোবিন্দ হিসাবে খ্যাত। ত্রয়োদশ শতাব্দীর খ্যাতিমান পীর ইয়েমেনী বীর হযরত শাহ জালাল ইয়েমেনীর নেতৃত্বাধীন আউলিয়া বাহিনীর হাতে পরাজিত হয়ে রাজা গোবিন্দ গা ঢাকা দেন। সিলেটের পাহাড়ি অঞ্জলে বসবাসরত পাত্র সম্প্রাদায় তান্ত্রীক গৌড় গোবিন্দের অধঃস্থন বংশধর বলে জানা যায়।

তেরোশত তিন থেকে অদ্যাবধি সিলেটের ইতিহাস- গৌরবের ইতিহাস। বাংলার আধ্যাত্বিক রাজধানী হিসাবে খ্যাত সিলেটের মাটি পুত-পবিত্র। হযরত শাহ জালাল ইয়েমেনীর সঙ্গেঁ আনা মাটির সঙ্গেঁ যে মাটির মিল পাওয়া যাবে সেখানেই বসতি স্থাপন করার কথা পীর শাহ জালালের। সিলেট বিজয়ের পর-মাটি বিশেষজ্ঞ- হযরত চাষনী পীরের সঙ্গেঁ আনা মাটির সঙ্গেঁ সিলেটের মাটির মিল খুঁজে পাওয়াতে পূণ্য ভূমি সিলেটের মাটির একটি স্বতন্ত্র স্বর্কীয়তা-স্বাতন্ত্র পরিলক্ষিত হয়। এখানেই হুজরা স্থাপন করেন পীরানে পীররা হযরত শাহ জালাল ইয়েমেনী। এখানেই চীর শয়ানে শায়িত তিনি। সাধক শাহ জালালের মাজার এবং সিলেটী ঐতিহ্য পূণ্য ভূমি সিলেটকে স্বতন্ত্র মর্য্যাদা দিয়েছে।

সিলেট শহরও একটি প্রাচীন জনপদ। টাউন কমিটি থেকে পৌরসভা হয়ে পূণ্যভূমি সিলেট এখন একটি সিটি কর্পোরেশন। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্জলীয় সীমান্তবর্তী বিভাগ সিলেট শুধু দেশের আধ্যাত্বিক রাজধানী ও তিনশত ষাট আওলিয়ার মুল্লুকই নয় প্রবাসী অধ্যুসিত এই জনপদ চায়ের রাজধানী ও বটে। দেশীয় অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অবস্থানে সিলেটের গুরুত্ব অপরিসীম।

দেশীয় রাজনীতিতে ও রয়েছে সিলেটের গৌরবজনক অবস্থান। সিলেট সদর আসন প্রসঙ্গেঁ সিলেটে একটি-মিথ-প্রচলিত আছে- সিলেট সদর, যার সরকার তাঁর”। জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গেঁ এই-মিথ- টি কখনও মিথ্যায় পর্য্যবসিত হয়নি।

সিলেট সদরে যে দল জয়লাভ করেছে, সে দলই সরকার গঠন করেছে। স্বাধীনতা উত্তর কালে বীর মুক্তিযোদ্ধা বাবরুল হোসেন বাবুল, আফম কামাল, বদরুদ্দীন আহমদ কামরান প্রমুখ যোগ্য জন সিলেট পৌরসভা-সিটি কর্পোরেশন-এর চেয়ারম্যান- মেয়র এর গুরু দায়িত্ব পালন করেছেন। সিসিক-এর বর্তমান মাননীয় মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। তিনি টানা দ্বিতীয় মেয়াদে পূনঃ নির্বাচিত।

সিলেটের সমকালীন সমাজ রাজনীতি ও নির্বাচনী ইতিহাসে রাজনীতিবিদ নির্ভীক জিয়ার সৈনিক আরিফুল হক চৌধুরী একটি সুপরিচিত নাম-ব্যতিক্রমী ব্যক্তিও ব্যক্তিত্ব-একজন চরম সৌভাগ্যবান সাদা মনের মানুষ। স্পষ্টবাদী। সত্যবাদী। সাদাকে সাদা এবং কালোকে কালো বলতে অভ্যস্থ। নির্ভীক জিয়ার সৈনিক আরিফুল হক চৌধুরী বৃহত্তর সিলেটে বি.এন.পির মহান অভিভাবক, শহীদ জিয়ার বিশ্বস্থ ও ঘনিষ্ট সহচর বি.এন.পি-এর স্থায়ী কমিটির চীর স্থায়ী সদস্য-সফল অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী মরহুম এম.সাইফুর রহমান এর ¯েœহ ও আস্থাভাজন নেতা হিসাবে জাতীয়তাবাদী রাজনীতি শুরু করে বিভিন্ন ঘাত-প্রতিঘাত-আন্দোলন সংগ্রাম এর মাধ্যমে তৃণমূল থেকে বর্তমান পর্য্যায়ে এসে উপনীত হয়েছেন। তাঁর রাজনৈতিক জীবনের দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় শহীদ জিয়ার আদর্শ থেকে বিচ্যোত হন নি, জননেতা এম.সাইফুর রহমানের বলিষ্ট ও গতিশীল নেতৃত্বের দীর্ঘদিন আন্দোলনে সংগ্রামে সিলেট জেলা বি.এন.পির সেক্রেটারী হিসাবে দায়িত্ব পালন করতঃ

আপোষহীন নেতৃত্ব দিয়েছেন। বর্তমানে কেন্দ্রীয় বি.এন.পি-র নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসাবে কৃতিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন রত।

একজন জনপ্রতিনিধি হিসাবে জননেতা আরিফুল হক চৌধুরী সিলেট সিটি কর্পোরেশন কমিশনার/কাউন্সিলার হিসাবে জন প্রিয়তার সাথে দায়িত্ব পালন শেষে বর্তমানে স্ব-গৌরবে- স্বমহিমায় দ্বিতীয় বারের মত ঐতিহ্যবাহী সিলেট সিটি কর্পোরেশন এর মেয়রের দায়িত্ব পালন রত। দ্বিতীয় মেয়াদে দলীয় মনোনয়ন পেতে তুমুল প্রতিদ্বন্দীতার সম্মুখীন হতে হয় তাকে। প্রথম বারের মত দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হওয়ায় বি.এন.পির মত বড় দলে মেয়র পদে একাধিক যোগ্য প্রার্থী ছিলেন। কিন্তু শেষ তক দলীয় মনোয়ন পান আরিফুল হক চৌধুরী-ই। তাঁকে তুমুল প্রতিদ্বন্দীতার সম্মুখীন হতে হয় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য, মহানহগর আওয়ামী লীগের সুদীর্ঘ কালীন সভাপতি সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের।

সুবেশী-সুদর্শনও-সুবক্তা, মিস্টি হাসি ও মিষ্টি ভাষি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান ও সিলেটের রাজনীতি, নির্বাচন আন্দোলন সংগ্রামের প্রিয় ও পরিচিত মুখ। নির্ভীক মুজিব সৈনিক বদর উদ্দিন আহমদ কামরান জনপ্রতিনিধি হিসাবে স্বাধীনতা উত্তর কালে তরুন পৌর কমিশনার নির্বাচিত হয়ে কমিশনার, পৌর চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র, সিটি মেয়র, নির্বাচিত হয়ে দীর্ঘদিন পৌর বাসির খেদমত করে শহর বাসির হৃদয়ে স্থান করে নেন। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের বিগত মেয়র নির্বাচন জমে উঠে। দেশের ভোটের রাজনীতিতে চীর প্রতিদ্বন্দী দুই ব্যক্তিশালী দল আওয়ামী লীগ ও বি.এন.পি এবং জন প্রিয় দুই মার্কা নৌকাও ধানের শীর্ষের লড়াই তুঙ্গেঁ উঠে। প্রচারনাও আত্মবিশ্বাসে মানষিক ভাবে বাড়তি সুবিধা পান নৌকা প্রতীকের হেভীওয়েট প্রার্থী সাবেক সিটি মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান। তাঁর প্রিয় দল দীর্ঘ দিন যাবত ক্ষমতায়। সরকারের শীর্ষ স্থানীয় প্রবীন নেতা এবং গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মোহিত এর আস্থা ও প্রিয়ভাজন নেতা তিনি। সিলেট সদরের সাংসদ ও অর্থমন্ত্রী এ.এম.এ মুহিত। তাঁর দলের রয়েছে বিশাল কর্মি বাহিনী রয়েছে নিজস্ব ভোট ব্যাংক ও অপর পক্ষে বি.এন.পি. মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরীর প্রিয়দল বি.এন.পি দশকাধিক কাল যাবত ক্ষমতার বাহিরে। প্রিয় নেতা এম.সাইফুর রহমান পরলোকে। হামলা মামলায় নেতা কর্মীগণ দিশাহারা। নির্বাচনী হাওয়ায় নৌকা প্রতীকের মেয়র পদপ্রার্থী কামরানের মুচকি ও মিষ্টি হাসি জাফরানী সু-বাতাস বইয়ে দিয়ে নির্বাচনী নৌকার পালে হাওয়া লাগায়।

শেষ পর্য্যন্ত বিজয়ের শেষ হাসি হাসেন ভোট বিশেষজ্ঞ ও ভোটের বাজারের ক্যারিসমাটিক ব্যক্তিত্ব ধানের শীর্ষের প্রার্থী শহীদ জিয়ার নির্ভীক সৈনিক আরিফুল হক চৌধুরী। মাত্র হাজার কতেক ভোটের ব্যবধানে বিজয় ছিনিয়ে নেন তিনি।

সিসিক মেয়র আরিফুর হক চৌধুরীর জনপ্রতিনিধি হিসাবে মেয়রি কার্য্যক্রম প্রশংসনীয়। দলীয় নেতা এবং দলমনোনীত প্রার্থী হয়েও তিনি সিলেট সিটি কর্পোরেশনকে দলীয় করন করেন নি। নগর ভবনকে নাগরিক ভবন-হিসাবেই রেখেছেন। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসাবে তিনি নগর বাসিকে সঙ্গেঁ নিয়ে নাগরিক সেবা দিয়েছেন। দিচ্ছেন। দলীয় সংকীর্ন দৃষ্টি ভঙ্গিঁরপরিবর্তে সার্বজনীন সদাচরন করছেন। সিলেট সদরের তৎকালীন সাংসদ মাননীয় অর্থমন্ত্রী এ.এম.এ মুহিতের সঙ্গেঁ তিনি নগর বাসির উন্নয়নের স্বার্থে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রেখেছেন। সিলেটের সর্বজন শ্রদ্ধেয় প্রবীন মুরব্বি হিসাবে তিনি এ.এম.এ মুহিত সাবেহকে প্রয়োজনীয় সম্মান প্রদর্শন করেছেন। ভিন্ন মতাবলম্বি এবং এম.সাইফুর রহমানের অনুসারি হিসাবে অর্থমন্ত্রী এ.এম.এ. মুহিত এর প্রতি অবজ্ঞা কিংবা অবহেলা প্রদর্শন করেন নি।

সেসময় মহা নগরীর উন্নয়ন কর্মকান্ড সরেজমিনে পরিদর্শনের জন্য একই রিক্সায় উভয়ে বসেছেন-রিক্সা চড়েছেন। চীর প্রতিদ্বন্দী দুই দলের অসমবয়সী দুই নেতার সৌহার্দ্য সম্প্রিতির চিত্র সংবাদ পত্র মারফত দেশবাসি দেখেছেন-এমন কঠিন সময়ে এমন আবেগী আলোক চিত্র দেখে সিলেট বাসি বিমুগ্ধ বিমোহিত হয়ে ছিলেন। জাতীয় সংসদের বিগত নির্বাচনে সিলেট সদরের আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাবেক অর্থমন্ত্রীর অনুজ ডক্টর আব্দুল মোমেন বর্তমানে সরকারে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর গুরু দায়িত্ব প্রাপ্ত হয়ে কৃতিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। সিলেট সদরের মাননীয় সাংসদ হিসাবে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী জনস্বার্থে তাঁর সাথেও সাক্ষাত করেছেন।

তাঁর সাথেও যোগাযোগ রাখছেন। নেতা হিসাবে সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক মত পার্থক্য এবং ভিন্নমত থাকলেও মেয়র হিসাবে তিনি সাংসদ ও সরকারের মাননীয় মন্ত্রীদের সাথে প্রয়োজনীয় যোগাযোগ রাখছেন। কাজ করছেন। সিলেটের একজন বিশিষ্ট

সাংবাদিক একটি প্রভাবশালী দৈনিকে যথার্থ ভাবে ডক্টর মোমেনই এখন আরিফ এর একমাত্র ভরসা বলে ইতিবাচক ভাবেই একটি গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পরিবেশন করেছেন।

সিসিক মেয়র হিসাবে রাজনীতিবিদ আরিফুল হক চৌধুরীর এই রাজনৈতিক সহিষ্ণুতা শিষ্টাচার ও সৌজন্যবোধ প্রশংসনীয়। সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে সিলেটে চলছে এখন উন্নয়নের জোয়ার। যানজট, দখল দুষনে দেশ যখন দিশে হারা, বুড়িগঙ্গাঁও কর্ণফুলি নদী তীরের দখল উচ্ছেদ অভিযানে আই, ডাবলিউ, টি, এ- যখন হিমসিম খাচ্ছেন তখন সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী দখলের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করে স্বয়ং রাজ পথে। তাঁর বলিষ্ট ও গতিশীল নেতৃত্বে দখল মুক্ত হয়ে পূণ্যভূমি সিলেট এখন জীবনের জয় গানে মুখরিত। পত্রিকান্তরে খবরে প্রকাশ সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী মানিক পীরের টিলাস্থ গৌরস্থানের সংস্কার কাজেও হাত দিয়েছেন। এমন মহতিও ধর্মীয় কাজের আন্তরিক উদ্যোগে এর জন্য সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও তাঁর সহকর্মিগণ ধন্যবাদ পাবার হকদার বটে। জানাজা ও দাফন কাপন একজন মানব সন্তানের শেষ বিদায় এবং শেষ শয়ান। চীর শয়ানকে শান্তিময় করে তুলতে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও তাঁর পরিষদ অশেষ ছওয়াবের ভাগিদার হবেন।

যানজট নিরসন এবং স্কুল গামী ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াত সুবিধার জন্য সিটি বাস চালুর ঘোষনাটি ও মানবিক ও আন্তরিক। সিটি কর্পোরেশন-কালেক্টারের ভবন নয়, শুধু ট্যেক্স নেয়া সিটি কর্পোরেশন এর কাজ নয়, নাগরিক সমাজ এর প্রিয়ও কাছের প্রতিষ্ঠান হিসাবে এই-স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানটি নাগরিকদের নাগরিক চাহিদা পূরণ, একটি জ্ঞান ভিত্তিক সমাজ গঠন এবং একটি মেধাবী ও শক্তিশালী আগামী প্রজন্ম গড়ে তোলার লক্ষ্যে শিক্ষা ব্যবস্থার ভিত মজবুত এবং সার্বিক শিক্ষা উন্নয়নের কোন বিকল্প নেই। সিসিক এর এই শিক্ষা সংক্রান্ত ঘোষনাটি ও প্রশংসনীয়। জনস্বার্থে-স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান সমূহকে অধিকতর শক্তিশালী, ক্ষমতার বিকেন্দ্রী করনে শ্রদ্ধেয় স্থানীয় সরকার

বিশেষজ্ঞ ডক্টর তোফায়েল আহমদ, ডক্টর বদিউল আলম মজুমদার প্রমুখ কাজ করছেন, জাতিকে এতদ সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রস্থাবনা উপস্থাপন করছেন। প্রশাসন বিকেন্দ্রীকরণ এবং স্থানীয় সরকারের ক্ষমতায়ন এখন সময়ের দাবী।

সরকার ঢাকা-উত্তর সিটি ও রাজশাহী সিটি মেয়রকে যথাক্রমে মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রীর মর্য্যাদা প্রদান করেছেন, ভালো কাজ তাদেরকে অভিনন্দন, কিন্তু বন্দরনগরী চট্রগ্রাম এবং শাহ জালারের সিলেট বাদ যাবে কেন। কর্পোরেশন হিসাবে অধ্যত্বিক-অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে সিলেট চট্রগ্রামের গুরুত্ব কোন অংশেই কম নয়। সরকারের কাছে জোর দাবী সিলেট ও চট্রগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেয়র গণকে মন্ত্রীর মর্য্যাদা প্রদান করা হউক। এতে নগর বাসিও সম্মানিত হবেন।

আউলা-ঝাউলা-ঢোলাকাপড়ি বাবরি ধারি চাদ্দরি নেতা নহেন আরিফুল হক চৌধুরী। মাঝারি উচ্চতার ফর্সা চেহারার গাল বাটা মুখ, বুদ্ধিদীপ্ত দুই চোখ আর এক চিলতে মিষ্টি মুচকি গুয়ামেরী হাসি সমেত আরিফুল হক চৌধুরী সাধারণ পোষাকের এক অসাধারণ মানুষ। কাজের মানুষ। কথার মানুষ। পাজামা-পাঞ্জাবি  বাহারি হাফ সার্টে স্বচ্ছন্দ বোধকারী কর্মবীর আরিফুল হক চৌধুরী তারুন্য ও অভিজ্ঞতার এক অপূর্ব সমন্ধয়। বাবরি চুলে রূপালি ঝিলিক জানান দিচ্ছে মেঘে মেঘে অনেক বেলা হয়ে গেছে, আর হেলা অবহেলা নয়, এখন শুধু কাজ আর কাজ।

একেজন কর্মবীর সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর এখন শুধু এগিয়ে যাওয়ার পালা। জিয়ার সৈনিক হিসাবে যিনি আজীবন রাজপথকে উত্তপ্ত করেছেন প্রশাসনেও তিনি প্রতিভার ছাপ রাখছেন। প্রশংসিত হচ্ছেন। সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। তাঁর সুস্ব্যাস্থ, দীর্ঘায়ূ ও কল্যান কামনা করি।

(লেখক ঃ ষাটের দশকে এম.সি কলেজ সিলেটের ছাত্র। সাবেক সহ-সভাপতি, সিলেট বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা। বৃহত্তর সিলেটের প্রবীন আইনজীবী। বর্ষীয়ান সাংবাদিক। মুক্তিযোদ্ধা।)

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com