কুলাউড়ায় যানজট নিরসনে কঠোরভাবে মাঠে নেমেছে প্রশাসন, দুইদিনের অভিযানে ফুটপাত থেকে শতাধিক দোকান উচ্ছেদ
মাহফুজ শাকিল : মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার প্রধান সমস্যা যানজট নিরসনে এবার কঠোর এ্যাকশনে মাঠে নেমেছে উপজেলা প্রশাসন ও পৌর কর্তৃপক্ষ। ৪ এবং ৫ নভেম্বর দুইদিনে ফুটপাতের অবৈধ দখল ও অবৈধ সিএনজি গাড়ি পার্কিংয়ের বিরুদ্ধে অভিযান করে উচ্ছেদের পর কিছুটা যানজটমুক্ত হয়েছে ব্যস্ততম শহরটি।
জানা যায়, গত উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে কুলাউড়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহ জহুরুল হোসেন, কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম আপছারসহ পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি টিম সোমবার ৫ নভেম্বর) দুপুরে শহরের উত্তরবাজার থেকে দক্ষিণ বাজার পর্যন্ত প্রধান সড়কের উভয় পাশে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে সড়কের দুইপাশের প্রায় শতাধিক অবৈধভাবে বসা হকারকে উচ্ছেদ করা হয় এবং অবৈধভাবে গড়ে ওঠা সিএনজি-অটোরিকশার স্ট্যান্ড সরিয়ে ফেলা হয়।
এদিকে মঙ্গলবার শহরের স্টেশন রোড এলাকায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক মো. মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে অবৈধ ফুটপাত দখলদারদের উচ্ছেদ করা হয়। ফলে কুলাউড়ার শহরে দীর্ঘদিনের যানজট কিছুটা হলেও নিরসন হয়েছে এবং পথচারীরা নির্বিঘ্নে চলাফেরা করতে পেরে ধন্যবাদ দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসনকে।
মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা যায়, কুলাউড়া থানার সম্মুখ, দক্ষিণ বাজার, উত্তর বাজার এলাকা কিছুটা যানজটমুক্ত হয়েছে। এসময় অবৈধভাবে পার্কিং করা সিএনজি অটোরিকশা ও অবৈধ হকারদেরও দেখা মেলেনি। এদিকে কুলাউড়া পৌরসভার পক্ষ থেকে মঙ্গলবার দিনব্যাপী শহরে মাইকিং করে বলা হয়েছে, শহরের মূল সড়কের দুইপাশে অবৈধভাবে দোকান বসিয়ে কেউ ব্যবসা করতে পারবে না। যানজট নিরসনের স্বার্থে এই নির্দেশনা যারা অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম আপছার বলেন, সরকারি স্থাপনা বা অন্য কোন স্থানে অবৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনা করা যাবে না। ফুটপাতসহ সব সরকারি স্থাপনা মুক্ত রাখতে কুলাউড়া থানা পুলিশ সর্বদা সজাগ থাকবে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) শাহ জহুরুল হোসেন বলেন, শহরের যানজটের মূল কারণ হচ্ছে অবাধে গাড়ি পার্কিং এবং ফুটপাত দখল করে দোকান দেয়া৷ মানুষ যাতে স্বাচ্ছন্দে শহরে চলাফেরা করতে পারে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সিদ্ধান্তের পর এই উচ্ছেদ অভিযান করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন