কুলাউড়ায় যুবলীগ নেতার কবল থেকে সরকারি রাস্তা উদ্ধার করলো প্রশাসন

স্টাফ রিপোর্টার : কুলাউড়ায় এক যুবলীগ নেতার দখল থেকে দীর্ঘ এক যুগ পর সরকারি একটি রাস্তা উদ্ধার করলো প্রশাসন। এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার ২৫ ফেব্রুয়ারি দুপুরে উপজেলার বরমচাল ইউনিয়নের পশ্চিম সিংগুর এলাকায় ওই রাস্তাটি সর্বসাধারনের জন্য উন্মুক্ত করে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহ জহুরুল হোসেন। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে রাস্তাটি উন্মুক্ত হওয়ায় স্থানীয় লোকজন প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। বর্তমানে ওই রাস্তা দিয়ে গাড়ি চলাচলসহ স্থানীয় লোকজন চলাচল করছেন।
জানা যায়, কুলাউড়ার ব্রাহ্মণবাজার-ভাটেরা-ফেঞ্চুগঞ্জ সড়ক থেকে পশ্চিম মুখী সিংগুর গ্রিজিং, নয়াবাগান ও সিংগুর পুঞ্জির লোকদের যাতায়াতের সরকারি রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে দখল করে রাখেন বরমচাল ইউনিয়নের খাদিমপাড়া এলাকার বাসিন্দা ইসমাইল আলী শাহের ছেলে ও ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আজমল আলী শাহ সেন্টু। ওই রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে তিনি উপজেলা আওয়ামীলীগ ও যুবলীগের শীর্ষ নেতাদের প্রভাব খাটিয়ে নিজের বাড়ির রাস্তা হিসেবে ব্যবহার করে আসছিলেন এবং রাস্তার শুরুর অংশে গেইট তালাবদ্ধ করে রাখেন যাতে কেউ প্রবেশ করতে না পারে। যারকারণে এলাকার সাধারণ লোকজন বিকল্প রাস্তা দিয়ে চলাচল করতেন। স্থানীয় এলাকাবাসী একাধিকবার আপত্তি করলেও আজমল আলী সেন্টু কোন কর্ণপাত না করায় আওয়ামীলীগের প্রভাব খাটানোর কারণে রাস্তাটি উন্মুক্ত করা যায়নি।
তবে গত ৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকার পতন হলে স্থানীয় লোকজন সরকারি রাস্তা দখলের বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহ জহুরুল হোসেন সম্প্রতি রাস্তাটি পরিদর্শন করেন। ২৫ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহ জহুরুল হোসেন সরেজমিনে এলাকায় গিয়ে যুবলীগ নেতা আজমল আলী শাহ সেন্টুর কবল থেকে সরকারি রাস্তাটি উন্মুক্ত করে দেন।
এ বিষয়ে যুবলীগ নেতা আজমল আল শাহ সেন্টু বলেন, রাস্তাটি ৪০-৫০ বছরের পুরনো এটা সত্য। এলাকার লোকদের চলাচলের সুবিধার্থে বিকল্প একটি সড়ক তৈরি করে দিয়েছি। আমার বাড়ির সামনের বাগান যাতে কেউ নষ্ট করতে না পারে সেজন্য রাস্তার প্রবেশধারে গেইট দিয়েছিলাম। এখন প্রশাসনের আদেশে রাস্তাটি উন্মুক্ত করে দিয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহ জহুরুল হোসেন বলেন, এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে রাস্তাটি সরকারি কিনা সেটি প্রথমে যাচাই করে দেখা হয়। রাস্তাটি সরকারি হওয়ায় দখলকারী ব্যক্তির নিকট থেকে সর্বসাধারনের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। ওই রাস্তায় সরকারি সাইনবোর্ড লাগানো হবে।
মন্তব্য করুন