কুলাউড়াতে রাস্তায় আমন চারা লাগিয়ে প্রতিবাদ
এইচ ডি রুবেল॥ কুলাউড়া উপজেলার জয়চন্ডী ইউনিয়নে জনগুর”ত্বপূর্ন একটি রাস্তা দীর্ঘদিনেও পাকাকরণ না হওয়ায় গড়ে ওঠা শিল্প প্রতিষ্ঠানসহ ওই এলাকায় বসবাসকারী মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কাদাযুক্ত রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ায় ৭ আগস্ট রোববার সকালে রাস্তার মাঝে আমন ধানের চারা লাগিয়ে প্রতিবাদ করেছে এলাকাবাসী। ইউনিয়নের পূর্ব রংগীরকুল ও কাটাউনি এলাকা এবং উপজেলার একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র দোলন চাঁপা ইকোপার্কে যাতায়াতের এ রাস্তাটি বর্ষা মৌসুম এলেই চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়ে।
বর্ষা মৌসুম ছাড়াও বছরের যে কোন সময় একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তাটির অবস্থা নাজুক হয়ে পড়ে। ফলে দুর্ভোগের শেষ নেই স্থানীয় বাসিন্দাসহ পার্কে আগত ভ্রমন পিপাষুদের। সরেজমিন গেলে স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল গফ্ফার চৌধুরী, পার্ক নির্মানকারী ডা. আব্দুল কুদ্দুস, ব্যবসায়ী হায়দর আলীসহ অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ওই রাস্তা দিয়ে কয়েকটি রাবার বাগান, চা বাগান, মৎস ফিশারিজ, পোল্ট্রি ফার্ম, ইকোপার্ক ও আরএসকে নামক রাবার ইন্ডাস্টিজ রয়েছে। যা থেকে সরকার বছরে ২০/২৫ লক্ষ টাকা রাজস্ব পেয়ে থাকে। এলাকার শিল্পায়নগুলো বড় ধরনের শিল্প প্রতিষ্ঠানর”পে অগ্রগামী হচ্ছিল। কিন্তু তাতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটি। শিল্পায়নের কথা বিবেচনা করে প্রায় দেড় কিলোমিটার এ রাস্তাটি (রোড নং-৬৫৮৬৫৪১০৩) পাকাকরণের জন্য দু’জন মন্ত্রীর সুপারিশ সম্বলিত দরখাস্ত এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে ১ বছর আগে দেয়া হয়েছিল স্থানীয় এমপি আব্দুল মতিনকে। ১ বছরে ও এমপির কাছে ধরনা দিয়ে কোন আশ্বাস না পাওয়ায় ক্ষোভে এলাকাবাসী রাস্তায় আমন ধানের চারা লাগিয়ে তাদের চাঁপা ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং রাস্তাটি দ্র”ত পাকাকরনের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানান। এছাড়াও দূর্ভোগের শেষ নেই স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় যাওয়া ছাত্রছাত্রীদের। চরম বিড়ম্বনায় পড়তে হয় রোগী নিয়ে। মূমূর্ষ রোগী বহন করতে কোন যান্ত্রিক গাড়ি এ রাস্তা দিয়ে যেতে চায়না। সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন বলেন, ধারাবাহিকভাবে রাস্তাটির কাজ শুর” করা হবে। উপজেলা প্রকৌশলী আবুল হোসেন বলেন, তালিকাভুক্ত থাকলে পর্যায়ক্রমে রাস্তাটি পাকাকরন করা হবে।
মন্তব্য করুন