কুলাউড়ার কাদিপুর ইউনিয়নে ভোট পুনঃগণনার দাবি চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীর
এইচ ডি রুবেল॥ কুলাউড়া উপজেলার কাদিপুর ইউনিয়নে ২৩ এপ্রিল অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে বিভিন্ন কেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগ করে ভোট পুনঃগণনার দাবি জানিয়েছেন বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মানিক আহমদ ও ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী দিপু ধর। তারা দুইজন ৫মে বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিকার চেয়েছেন। ইতিপূর্বে এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সেলিম আহমদ নির্বাচন বয়কট করেন এবং ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী শফিক মিয়া ফলাফলে অনিয়মের অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মানিক আহমদ অভিযোগ করে বলেন, ‘আমি জনগনের ভোটে পরাজিত হয়নি। স্থানীয় প্রশাসন ষড়যন্ত্র করে পরিকল্পিতভাবে আমাকে পরাজিত করিয়েছে। তাই ৯টি কেন্দ্রে ভোট পুনঃগণনা করার জন্য আমি প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের নিকট আবেদন জানাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, তিনি কাদিপুর ইউনিয়নের ৫ বারের নির্বাচিত মেম্বার ও ৩ বারের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। বিগত ২৮ বছর থেকে তিনি কাদিপুর ইউনিয়নে জনপ্রতিনিধি হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এবার জনগনের দাবির প্রেক্ষিতে কাদিপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে চেয়ারম্যান পদে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। কাদিপুরের ৯ কেন্দ্রে তাঁর পক্ষে গণজোয়ার ছিল। কিন্তু তার সমর্থকরা তাদের ভোটারাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি যথাযথভাবে। কেননা স্থানীয় প্রশাসন আমার প্রতি বৈরি আচরণ করে ভোটের দিন সকাল থেকেই। বিভিন্ন কেন্দ্রে তার এজেন্টদেরকে বের করে দেয়া হয়। এমনকি বিভিন্ন কেন্দ্রে আমার অনেক সমর্থক ভোট দিতে গিয়ে ভোট দিতে পারেননি। অনেক কেন্দ্রে জাল ভোট দেয়া হয়।
অপরদিকে কাদিপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের চুনঘর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগ এনেছেন মেম্বার প্রার্থী দিপু ধর। তিনি বলেন, এ কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শেষে নির্বাচনী কর্মকর্তাগণ তাড়াহুড়ো করে ভোট গণনা করেন এবং আমার প্রতিকের ৪৫ টি ভোট বাতিল দেখিয়ে আমাকে ৪ ভোটে পরাজিত বলে ঘোষণা করেন। তখন আমার এজেন্ট প্রতিবাদ করেন এবং সেন্টারেই পুনরায় ভোট গণনার জন্য প্রিসাইডিং অফিসারকে বললে কেন্দ্রের দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশ কর্মকর্তা ধমক দিয়ে আমার এজেন্টকে বসিয়ে দেন এবং ভোট পুনঃগণনা করতে দেননি। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আমার অভিযোগ আমলে নেননি। এমতাবস্থায় আমি মনে করি জালিয়াতি করে আমাকে পরাজিত দেখানো হয়েছে তাই আমি উক্ত কেন্দ্রের ফলাফল স্থগিত করে পুনরায় ভোট গননার দাবি জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে কাদিপুর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী সেলিম আহমদ নির্বাচনের দিন বিকেল ২ টায় নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনে নির্বাচন বয়কট করেন। এছাড়া ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী শফিক মিয়া মহতোছিন আলী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১শ ভোটের গরমিলের অভিযোগ করেন। তিনি এ কেন্দ্রে মেম্বার প্রার্থীর ফলাফল কেন্দ্রে ঘোষণা না করে কুলাউড়ায় এনে অনিয়মের মাধ্যমে ঘোষণা করা হয়। মাত্র ৪ ভোটের ব্যবধানে তাকে পরাজিত ঘোষণা করা হয়। তিনি ভোট পুনঃগণনার জন্য দাবি জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন