কুলাউড়ার টিলাগাঁওয়ে অযত্ন অবহেলায় বিনষ্ট হচ্ছে সরকারি বাজার সেডঘর
বিশেষ প্রতিনিধি॥ কুলাউড়া উপজেলার টিলাগাঁওয়ে সরকারি অর্থায়নে নির্মিত বাজার সেডঘর দীর্ঘ প্রায় সতের বছর ধরে রয়েছে অযত্ন আর অবহেলায়। ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরে তৎকালিন সংসদ সদস্য সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদের বরাদ্দে বাজার উন্নয়নের জন্য প্রায় ৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সাত শতক জমির উপর নির্মাণ করা হয় বাজার সেডঘরটি। এই জমির বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ১৪ লক্ষ টাকা এবং সেডঘর নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৪ লক্ষ টাকা। সব মিলিয়ে প্রায় ১৮ লক্ষাধিক টাকার সরকারি সম্পদ নষ্ট হচ্ছে অযত্ন আর অব্যবস্থাপনায়।
সরজমিনে দেখা গেছে, সেডঘরটি জনস্বার্থে বাজারের কাজে ব্যবহার হওয়ার কথা থাকলেও বর্ষাকালে গোয়ালঘর হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। আশপাশের লোকজন গরু কিংবা খড় খুটো রাখার কাজে ব্যবহার করছেন। যার দরুন ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে এই সেডঘরটি। নির্দিষ্ট স্থান না থাকায় টিলাগাঁও বাজারের বিভিন্ন রাস্তার পাশে ফুটপাতে অনেকটা যত্রতত্র সবজি ও মাছ বাজার বসায় ভোগান্তি পোহাতে হয় সাধারণ ক্রেতা এবং ব্যবসায়ীদের। কিন্তু সরকারি বাজার সেডঘর থাকতেও কেন ব্যবহার করা হচ্ছেনা তা নিয়েও দেখা দিয়েছে নানান প্রশ্ন। এ বিষয়ে স্থানীয় নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য দেওয়ান চান্দ আলী বলেন, সেডঘরটি জনসমাগমের বাইরে তৈরি করায় ব্যবসায়ীরা সেখানে যেতে অনীহা প্রকাশ করেন। একই মন্তব্য করেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মহিউদ্দিন হোসেন। টিলাগাও বাজারের (একাংশ) সভাপতি ফরহাদুল হক ও সাধারণ সম্পাদক কাজল মিয়া জানান, কেন সেডঘরটি ব্যবহার হচ্ছেনা এটা তাদের কাছেও অজ্ঞাত। তারা কয়েকবার এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের উদ্যোগে সেডঘরে বাজার বসানোর পদক্ষেপ নেওয়া হলেও তা কার্যকর হয়নি। উক্ত বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট মহলের দৃষ্টি আকর্ষন করেন তারা।
টিলাগাও ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আব্দুল মালিকের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকারি সম্পদ মানে এটা আমাদের সকলের, যেহেতু সেডঘরটি বাজারের ব্যবহারের জন্য সরকার তৈরি করে দিয়েছে সেহেতু সকলের উচিত এটা ব্যবহার করা, তিনি সকল ব্যবসায়ীদের বুঝিয়ে সেডঘরে সবজি ও মাছ বাজার বসানোর উদ্যোগ নিবেন বলে জানান। সেডঘরটি পুনরায় ব্যবহার করা হলে বাজারের অনেকটা ভোগান্তি লাগব হবে বলে মনে করেন অনেক ক্রেতা সাধারণ।
মন্তব্য করুন