কুলাউড়ার টেইলারিং দোকানগুলোতে নির্ঘুম কাজে ব্যস্থ শতাধিক কারিগর
এইচ ডি রুবেল॥ ঈদকে সামনে রেখে কুলাউড়ায় টেইলারিং দোকানগুলোতে এখন নির্ঘুম কাজে ব্যস্থ শতাধিক কারিগর। সকাল থেকে সেহরীর আগ পর্যন্ত চলছে কর্মযজ্ঞ। প্রতিটি টেইলারিং দোকানে নির্ধারিত কারিগর ছাড়াও অতিরিক্ত চুক্তি ভিত্তিক কারিগররা কাজ করে যাচ্ছেন। তবুও কাজের শেষ নেই। ঈদের আগে ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী পোশাক সেলাই করে দিতে পারলেই টেইলারদের তৃপ্তি আসে। এমন চিত্র কুলাউড়া পৌর শহরসহ রবিরবাজার, ব্রাহ্মণবাজার, বরমচাল ফুলেরতল বাজার, ভাটেরা স্টেশন বাজার, কর্মধার রাঙ্গিছড়া বাজার, কাঠালতলী বাজার, মুরইছড়া বাজার, ভুকশিমইল নবাবগঞ্জ বাজারসহ ছোট বড় হাটবাজারে।
সরেজমিনে দেখা যায়, কুলাউড়া পৌর শহরে রয়েছে অর্ধশত টেইলারিং দোকান। ইফতার পরে ১০-১৫ মিনিট সময় ছাড়া আর কোন বিশ্রামের সুযোগ নেই কারিগরদের। অনেক দোকানে কারিগরদের সাথে মালিকও কাজ করে যাচ্ছেন। কথা হয় শহরের বৃহৎ মার্কেট মিলিপ¬াজার রুহান টেইলার্সের মালিক চান মিয়ার সাথে। তিনি বলেন, ৫-৭জন কারিগর নিয়মিত কাজ করেন। কিন্তু ঈদকে ঘিরে ১৩ জন কাজ করে যাচ্ছেন। কারিগর জুবেল, জুনেদ, সাইফুল, রতন, গোবিন্দ, গোপাল, রাজু, সুমন, রুহেল, বিবন, আলীম, দিপু, মান্না, আশরাফ জানান, সকালে আসি রাত দুইটায় বাড়ী ফিরি। শুধু মাত্র ইফতারের পর ১০-১৫ মিনিট বিশ্রামের সুযোগ থাকে। এ মার্কেটের শরীফ টেইলার্সের মালিক শরীফ আহমদ, কারিগর মইনুল, তুহিন, ইসলাম টেইলার্সের মালিক ইসলাম উদ্দিন জানান, মূলত মেয়েদের আনরেডী ড্রেস, ফেবিক্স (থান কাপড়) সেলাইয়ের কাজ বেশি পড়ে। এমআরএইচ শপিং সিটির নিউ সেঞ্চুরী টেইলার্সের মালিক আব্দুল মুনিম ডেনি জানান, কাটা কাপড় (থান কাপড়) পায়জামা-পাঞ্জাবি, শার্ট-পেন্ট এসব সেলাইয়ে প্রতিনিয়ত ২০-২৫ জন কারিগর নির্ঘুম কাজ করে যাচ্ছেন।
বশির প¬াজার ইলিয়াছ টেইলার্সের মালিক ইলিয়াছ আহমদ, শহরের কনফিডেন্স টেইলার্সের মালিক রুকন আহমদ, রবিরবাজারের আধুনিক টেইলার্সের এন্ড ক্লথ ষ্টোরের মালিক মখলিছ মিয়া জানান, রেডি কাপড়ের চাইতে আনরেডি কাপড় টেইলার্স দ্বারা সেলাইয়ের চাহিদা অনেক। অতিরিক্ত কারিগর দ্বারা অর্ডার অনুযায়ী কাজ হচ্ছে। আশাবাদি ঈদের আগের দিন পর্যন্ত ক্রেতাদের চাহিদামতো কাপড় সেলাই করে দিতে পারবো।
মন্তব্য করুন