কুলাউড়ার দরিদ্র হেপি বেগম লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়া নিয়ে রয়েছেন উদ্বেগ উৎকন্ঠায়
কুলাউড়া অফিস॥ চলতি এইচএসসি পরীক্ষা গোটা কুলাউড়া উপজেলায় মাত্র ৫জন জিপিএ ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর মধ্যে হেপি বেগম একজন। হেপি বেগমকে দরিদ্র বাবার ঘরের আলোর প্রদীপ বললে কম হবে। ইচ্ছা থাকলে যে সব জয় করা সম্ভব হেপি তাই দেখিয়েছে।
উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের নন্দীর গ্রামের ফরিদ আলী ও নাজমা বেগম দম্পতির ৫ সন্তানের মধ্যে সবার বড় হেপি বেগম। লংলা আধুনিক ডিগ্রি কলেজ থেকে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে জিপিএ ৫ পেয়েছে। বাবা দিনমজুর বর্গা চাষী। অভাব আর টানপোড়েন যাদের নিত্যসঙ্গী। কিন্তু এর কোন কিছু স্পর্শ করেনি হেপি বেগমকে। লেখাপড়া করে অভাবের সংসারে বাবাকে সহযোগিতা করতে হলে লেখাপড়াকেই বেছে নেয় হেপি বেগম। ২৪ ঘন্টার কখন কত ঘন্টা লেখাপড়া করেছে তা সঠিকভাবে বলতে পারেন না। তবে সবসময় লেখাপড়ায় ছিলেন মনযোগী। যতটা সম্ভব বাবা মাকে সহযোগিতাও করতেন। তার এই ইচ্ছাশক্তির পেছনে শিক্ষকদের অনুপ্রেরণা ছিলো।
হেপি বেগমের উচ্চ শিক্ষার জন্য যে মোটা অংকের টাকা প্রয়োজন, সেই টাকা আসবে কোত্থেকে?-এই ভেবে হতাশ। লেখাপড়া শিখে পশ্চাদপদ এই সমাজকে এগিয়ে নেয়া তার ইচ্ছা। কিন্তু বর্তমানে তার লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়া নিয়ে আছেন উদ্বেগ উৎকন্ঠায়।
মন্তব্য করুন