কুলাউড়ার নিখোঁজের ছয় দিন পর টয়লেটের গর্ত থেকে এক বৃদ্ধের গলিত লাশ উদ্ধার : স্ত্রী-পুত্র কন্যা সহ আটক ৫ (ভিডিও সহ)
এস এম উমেদ আলী: মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় পরিবারের সদস্য কর্তৃক পিতাকে খুন করে পূরানো টয়লেটের গর্তে লাশ মাটি চাপা দেওয়ার ৬ দিন পর পুলিশ বৃদ্ধের গলিত লাশ উদ্বার করেছে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী পুত্র ও কন্যা সহ ৫জনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, কুলাউড়া উপজেলার টিলাগাও ইউনিয়নের বাঘরিয়াল গ্রামের মইন উদ্দিন (২৫) তার বৃদ্ধ পিতা মহব উল্যা (৭০) কে ৩ সেপ্টেম্বর শনিবার রাতে খুন করে বাড়ির পূরানো টয়লেটের গর্তে লাশ মাটি চাপা দেয়। লাশের দুর্গন্ধ যাতে না ছড়ায় সেজন্য ট্যাংকিতে বডি স্প্রে ছিটানোও হয়। পরে লাশের উপরে গোবর দিয়ে লাশ গুমের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু শনিবার রাত থেকে বৃদ্ধ মহব উল্যা নিঁখোজ হলেও পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় বিষয়টি অবহিত করা হয়নি।
বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার ও চেয়ারম্যান বিষয়টি কুলাউড়া থানা পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ শুক্রবারে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের বড় পুত্রসহ বাড়ির লোকজনকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে এক পর্যায়ে টয়লেটের গর্তে বৃদ্ধের লাশের সন্ধান পায় পুলিশ। শুক্রবার বিকেলে লাশ উদ্বার করে ময়না তদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে পুলিশ স্ত্রী হাছনা বেগম, মেয়ে সাফিয়া বেগম, ছেলের স্ত্রী শারমিন বেগম, ছেলে আলাউদ্দিন এবং মেয়ের জামাই হারেছ মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে।
কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ শাছুদ্দোহা জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে বৃদ্ধ দুটি বিবাহ করেন। তার সন্তানদের মধ্যে সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিরোধ ছিল। সম্পত্তির বিরোধের জের ধরে পুত্র কর্তৃক পিতাকে হত্যা করে লাশ ঘুম করার জন্য টয়লেটের গর্তে মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে। পুত্র মইন উদ্দিন বৃহস্পতিবার থেকে পলাতক রয়েছে। ঘটনার ৬ দিন পুলিশ মাটি চাপা অবস্থায় বৃদ্ধের লাশ উদ্বার করা হয়। ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ৫ জনকে থানায় আনা হয়েছে।
মন্তব্য করুন