কুলাউড়ার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাকে বাদ দিয়ে চুক্তির অভিযোগ
বিশেষ প্রতিনিধি॥ কুলাউড়া উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মমদুদ হোসেন এর বিরুদ্ধে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের প্রধান উদ্যোক্তাকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে অব্যাহতি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৪ সেপ্টেম্বর রোববার এক সংবাদ সম্মেলন করে উদ্যোক্তা মোছাদ্দিক আহমদ শহীদ এই অভিযোগ করেন। এছাড়াও তিনি ৩১ আগস্ট মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ ও সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মোছাদ্দিক আহমদ শহীদ জানান, ২০১১ সালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয় কর্তৃক এটু আই প্রকল্পের আওতায় কুলাউড়া উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নে তথ্য ও ও সেবা কেন্দ্রে একজন উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ শুরু করেন। তাঁর আইডি নং-৫৮-৬৫-১৭-০২-০১। ২০১১ সালে তৎকালিন ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্রের নাম পরিবর্তন করে ১১ নভেম্বর ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তক্রমে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার নামকরণ করা হয়।
মোছাদ্দিক আহমদ শহীদ আরও জানান, ১৭ আগস্ট ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মমদুদ হোসেন রাত আনুমানিক ২টায় ইউনিয়ন অফিসে তাঁকে উপস্থিত করে সরকারের বিধিবিধানে ৩ জন উদ্যোক্তা নাই বলে জানান। পরবর্তিতে তাঁর নাম বাদ দিয়ে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর সম্পাদন করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবরে প্রেরণ করেন।
তিনি জানান, আমি ৫ বছরের বেশি সময় ধরে ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের ডিজিটাল সেন্টারে উদ্যোক্তা হিসাবে কাজ আসছি। বিভিন্ন সময়ে সরকার কর্তৃক সবধরনের অনলাইন প্রশিক্ষণ ও অনলাইনে কাজ করেছি। দ্বীর্ঘদিন ধরে কর্মরত উদ্যোক্তা হিসাবে কাজ করার পরও চুক্তিপত্রে বাদ দেওয়ার কারণে আমি আর্থিক ও মানষিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের গত ১৪ আগস্ট ঘোষিত পরিপত্রে ঘোষণা করা হয়, কোন ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে উদ্যোক্তাকে চাপ প্রয়োগ করে পদত্যাগে বাধ্য করানোর অভিযোগ পাওয়া গেলে জেলা প্রশাসন একান্তে উক্ত উদ্যোক্তার সাক্ষাৎকার গ্রহণ করবেন, দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এবং পদত্যাগকৃত উদ্যোক্তাকে পুনর্বহালের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
কিন্তু জেলা প্রশাসন এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এব্যাপারে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মমদুদ হোসেন জানান, সরকারি নিয়ম অনুযায়ি একজন পুরুষ ও একজন মহিলাসহ ২ জন উদ্যোক্তার সাথে চুক্তি সম্পাদনের জন্য আমাকে চিঠির মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানিয়েছেন। ৩ জনের কোন বিধান নাই। সেই আলোকে ইউনিয়ন পরিষদের সিদ্ধান্তে মোতাবেক ২ জনের সাথে চুক্তি সম্পাদন করার বিষয়টি চুড়ান্ত করি। এখানে আমার কোন এখতিয়ার নাই।
মন্তব্য করুন