কুলাউড়ার ভাটেরা ইউনিয়নে আ’লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে অন্যান্য প্রার্থীদের যত অভিযোগ
কুলাউড়া অফিস॥ কুলাউড়া উপজেলার ভাটেরা ইউনিয়নে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ প্রার্থী সৈয়দ এ কে এম নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে পেশি শক্তি, আচরণবিধি লঙ্ঘন, ক্ষমতার দাপট ও ভোট ডাকাতির অভিযোগ বাকি ৬ প্রার্থীর। পুলিশ সুপারের কাছে জনসম্মুখে এই অভিযোগ করেন প্রার্থীরা।
ভাটেরা ইউনিয়ন নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৭ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী সৈয়দ এ কে এম নজরুল ইসলাম (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইফুল আলম সিদ্দিকী (চশমা), বিএনপির প্রার্থী হাজী সিরাজ মিয়া (ধানের শীষ), জাতীয় পার্টির প্রার্থী আকমল হোসেন তালুকদার (লাঙ্গল), জাসদ প্রার্থী জামাল খান (মশাল), স্বতন্ত্র প্রার্থী আজিজ আহমদ টুটু (মোটরসাইকেল), হাজী কমর উদ্দিন (ঘোড়া)।
এই ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ প্রার্থী সৈয়দ এ কে এম নজরুল ইসলাম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইফুল আলম সিদ্দিকী পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। তাছাড়া বাকি অন্য প্রার্থীরা শুধুমাত্র আওয়ামীলীগ প্রার্থী সৈয়দ এ কে এম নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। সকল প্রার্থীরা অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থী সৈয়দ এ কে এম নজরুল ইসলাম নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘণ করে মিছিল মিটিং ও প্রচারণা চালাচ্ছেন। স্কুলের শিক্ষার্থীদের এনে তিনি মিছিল করাচ্ছেন। হোন্ডা মিছিল করে এলাকায় আতঙ্ক ছড়াচ্ছেন। তিনি কাউকে তোয়াক্কা না করে পেশিশক্তির ব্যবহার করে মানুষকে হুমকি ধামকি দিচ্ছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইফুল আলম সিদ্দিকী ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী আকমল হোসেন তালুকদার অভিযোগ করেন, আওয়ামীলীগের প্রার্থী ঘোষণা দিয়েছেন তার ভোট গণনা হবে এক হাজার এক থেকে, আর সবার ভোট গণনা হবে এক থেকে। এছাড়া বহিরাগত ভাড়াটে লোক এনে তিনি কেন্দ্র দখলের পরিকল্পনা করছেন।
এ ব্যাপারে কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ শামসুদ্দোহা পিপিএম বলেন, কুলাউড়ার আগের ৭টি ইউনিয়নের নির্বাচন দেখেও যদি কেউ কিছু কল্পনা করেন, তাহলে সেটা হবে বোকামি।
মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার শাহজালাল জানান, কেন্দ্র দখল আর পেশিশক্তি এসব চিন্তা ছেড়ে মানুষের কাছে যান। ভোট চান। কোন ধরনের পেশিশক্তি ব্যবহারের সুযোগ মৌলভীবাজারে চিন্তা করে লাভ নেই। মাস্তানির চিন্তা মাথা থেকে বাদ দিন। পুলিশ হচ্ছে লাইসেন্সধারী মাস্তান।
মন্তব্য করুন