কুলাউড়ার মিনারা বেগমসহ কমলগঞ্জের ২ বীরাঙ্গনা অবশেষে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেলেন
বিশেষ প্রতিনিধি॥ মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্থানী হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরদের হাতে নির্যাতিত কমলগঞ্জ উপজেলার ২ জন বীরাঙ্গনাসহ মৌলভীবাজারের ৪ জন বীরাঙ্গনাকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়ে ২১ জুলাই গেজেট জারি করেছে সরকার। এ জেলার স্বীকৃতি প্রাপ্তরা হচ্ছেন কমলগঞ্জ উপজেলার মুন্সীবাজার ইউনিয়নের মির্জানগর গ্রামের মৃত কাসিনী রাম মালাকারের স্ত্রী প্রভারাণী মালাকার (তালিকা নং-১১৮), একই উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের চৈত্রঘাট (বড়চেগ) গ্রামের আব্দুল মতালিব উরপে মতালিব মিয়ার স্ত্রী আরিনা বেগম (তালিকা নং-১২২), রাজনগর উপজেলার, পাঁচ গাাঁও গ্রামের মৃত নারায়ন চন্দ্র মালাকারের স্ত্রী প্রভাসিনী মালাকার (তালিকা নং-১১৯), বড়লেখা উপজেলার বিওসি কেছরীগুল ( ডিমাই বাজার ) গ্রামের মৃত ছিদ্দেক আলীর স্ত্রী সাফিয়া খাতুন (তালিকা নং- ১২১) ।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব মোঃ মাহবুবুর রহমান ফার”কী কর্তৃক বিগত ২১/০৭/২০১৬ ইং তারিখের জারীকৃত প্রজ্ঞাপন (গেজেট নং- ৪৮,০০,০০০০,০০৪,৩৭,৩৭৩,২০১৫- ৮৫৮/, পৃষ্টানং ১৩০৫৬) অনুযায়ী এ জেলার ৪জন ছাড়াও ঠাকুরগাঁও জেলার ১২ জন, চাঁপাই নওয়াবগঞ্জের ২জন, সিরাজগঞ্জের ৫ জন, ময়মনসিংহের– ৮ জন এবং সিলেটের ১ জন বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি পেয়েছেন। এছাড়া ১ সেপ্টেম্বর জারীকৃত গেজেট প্রজ্ঞাপনে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার মিনারা বেগম নামে আরেক জন বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি পেয়েছেন।
আলাপকালে কমলগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযুদ্ধা জয়নাল আবেদীন বলেন, স্বাধীনতার দীর্ঘ ৪৪ বছর পর এই প্রথম রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেলেন বীরাঙ্গনারা। বীরাঙ্গনাদের মুক্তিযোদ্ধাদের স্বীকৃতি লাভের এই বিষয়টি একটি চলমান প্রক্রিয়া। যারা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আবেদন করেছেন, জামুকা (জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল) তাদের আবেদন যাচাই-বাছাই ও এ বিষয়ে তদন্ত করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কাছে সুপারিশ করার পর গেজেট জারি করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাওয়া এই বীরাঙ্গনারা এখন থেকে প্রতি মাসে ভাতাসহ মুক্তিযোদ্ধাদের মতো অন্যান্য সব সরকারি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন।
মন্তব্য করুন