কুলাউড়ার মুরইছড়া পানপুঞ্জিতে আদিবাসী সাংস্কৃতিক উৎসব
এইচ ডি রুবেল॥ আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবসকে সামনে রেখে অনুষ্ঠিত আদিবাসী সাংস্কৃতিক উৎসবে অংশগ্রহণ করে খাসি, গারো, উরাঁও, সাওঁতাল, উড়িষ্যা এবং দেশোয়ালী জাতিগোষ্ঠীর নৃত্যশিল্পীরা। ঐতিহ্যবাহী ও রঙিন পোশাকে অত্যন্ত জাঁকজমকের সহিত প্রথমবারের মত খাসি পাহাড়ের সবুজে ঘেরা মুরইছড়া পানপুঞ্জিতে আদিবাসী সাংস্কৃতি উৎসবের আয়োজন চলে।
আলোঘর প্রকল্প কারিতাস, ইন্ডিজিনাস হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডারস এবং আই.পি.ডি.এস এর আয়োজনে কুলাউড়ার সীমান্ত ঘেঁষা পাঁচশ ফুট টিলার উপর অবস্থিত খাসি পুঞ্জি মুরইছড়াই ৭ আগস্ট রোববার আদিবাসী সাংস্কৃতিক উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। উৎসবে নার্সারী পুঞ্জি, মুরইছড়া পুঞ্জি, লুতিজুরি পুঞ্জি, এওলাছড়া পুঞ্জি, কুকিজুরি পুঞ্জি এবং মুরইছড়া চা বাগানের আদিবাসী মানুষেরা অংশগ্রহণ করেন। স্বাগতিক বক্তব্য প্রদান করেন আলোঘর প্রকল্প কারিতাসের শিক্ষা সুপারভাইজার বডবস্কো কংস্টিয়া ।
৯ আগস্ট মঙ্গলবার বিশ্বব্যাপী জাতিসংঘ ঘোষিত ২২তম আদিবাসী দিবস উদযাপিত হবে। এরই ধারাবাহিকতায় কুলাউড়ায় আদিবাসীদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস ছিল নিজস্ব সংস্কৃতি, ভাষা, ঐতিহ্য ও উৎবসকে তুলে ধরা। আই.পি.ডি.এসের এইচ.আর,ও জয়ন্ত লরেন্স রাকসামের সঞ্চালনায় কমর্ধা ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য মি. সিলভেষ্টার পাঠাং এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন দেশটিভির মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি সালেহ এলাহী কুটি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মুরইছড়া পুঞ্জির শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের স্ট্যানলী তালাং, মুরইছড়া পুঞ্জির প্রাক্তন শিক্ষিকা পুষ্প তেরেজা চিছাম, লুতিজুরি পুঞ্জির প্রাক্তন শিক্ষক টমাস মানখিন, আলোঘর প্রকল্প কারিতাসের শিক্ষা সুপারভাইজার সজল বড়কুর্মী এবং ইন্ডিজিনাস হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডারস হীরামন হেলেনা তালাং। বক্তারা বলেন, আদিবাসীরা নিজ ভূমিতে পরবাসী। ভূমি ছাড়া আদিবাসীদের অস্তিত্ব কল্পনা করা যায় না। ভূমি নাই আদিবাসীদের সংস্কৃতি নাই। তাই আদিবাসীরা বলে, ভূমি মানেই জীবন। ভূমির সাথেই আদিবাসীদের জীবন সংস্কৃতিক জড়িত। সংস্কৃতিকই আদিবাসীদের পরিচয় গারো, খাসি, উরাঁও, সাওতাল, মনিপুরী, পাত্র, চা জনগোষ্ঠী সংস্কৃতিকই বলে দেয় তারা আদিবাসী।
মন্তব্য করুন