কুলাউড়ায় অবৈধ বিদ্যুতের আলোয় গ্রামকে আলোকিত করলেন এমপি’র ভাতিজা

August 22, 2016,

বিশেষ প্রতিনিধি॥ কুলাউড়া উপজেলার জয়চন্ডী ইউনিয়নে অবৈধ বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হয়েছে কামারকান্দি নামক গ্রাম। স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুল মতিনের গ্রাম। এই গ্রামে দু’মাস থেকে দীর্ঘ দেড় কিলোমিটার রাস্তার প্রতিটি খুটিতে স্থাপন করা হয়েছে সড়ক বাতি। যেগুলো জ্বলে সরাসরি বিদ্যুৎ লাইন থেকে।

33
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, কামারকান্দি গ্রামে দু’মাস থেকে জ্বলছে সড়ক বাতি। সরেজমিন ঘটনাস্থলে গেলে দেখা যায়, রাস্তার পাশে প্রতিটি খুঁটিতে ঝুলছে সড়ক বাতি। গ্রামের ভেতর দিয়ে টানা বিদ্যুৎ লাইনে কমপক্ষে ১৮ থেকে ২০টি ৫শ থেকে ১ হাজার ওয়াটের বাল্ব লাগানো হয়েছে। লাইটগুলোর কানেকশন দেয়া হয়েছে সরাসরি বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের লাইন থেকে। প্রতিটি খুটিতে দেয়া আছে সুইচ। সন্ধ্য্ াহলেই আলোকিত হয়ে উঠে গ্রামের রাস্তাঘাট। কেউ প্রথম এলে মনে করবে কোন পৌর এলাকা।
গ্রামের মানুষ সন্ধ্যা নামলে যার যার বাড়ির সামনের খুঁটির সুইচ অন করেন। সকাল হলে তা বন্ধ করারও নিয়ম কিন্তু অনেক সময় ভুল করে সুইচ বন্ধ না করায় দিনের বেলায়ও লাইটগুলো জ্বলতে থাকে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, এসব অবৈধ সড়ক বাতি লাগানোর পেছনে জড়িত রয়েছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কিছু অসাধু কিছু লাইনম্যানের যোগসাজশ। স্থানীয় এমপি আব্দুল মতিনের বিশেষ বরাদ্ধ থেকে এই লাইট ও আনুসাঙ্গিক জিনিসপত্র কেনা হয়েছে। অবৈধভাবে এই লাইটগুলো স্থাপন করেছেন ওই এলাকার বাসিন্দা এবং এমপির আপন বড় ভাই আব্দুস সালাম টিআই’র ছেলে (ভাতিজা) আব্দুল হাদি। যিনি এমপির পক্ষ থেকে প্রশাসনিক বিষয় সবকিছু দেখাশুনা করেন।

Untitled-1-copy-3
এদিকে তাদের এই অবৈধ লাইটের কারনে পার্শ্ববর্তী এলাকা, পূর্ব গিয়াসনগর, উত্তর গিয়াসনগর, বিজয়াবাজার, দক্ষিণ গিয়াসনগরসহ গোটা এলাকার বাসিন্দাদের সন্ধ্যা হলেই ভোল্টেজ সমস্যা দেখা দেয়। ঠিকমত জ্বলেনা লাইট, ঘোরে না ফ্যান।
এই অবৈধ লাইট স্থাপনের ব্যাপারে আব্দুল হাদি জানান, এলাকার শিশুরা লাগিয়েছে। আপনাদের যা কিছু করার করেন। আমিতো লাগাইনি।
এব্যাপারে কুলাউড়া বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোজাফ্ফর হোসেনের অফিসের নাম্বার এবং মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলেও কেউ রিসিভ করেননি।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com