কুলাউড়ায় উপবৃত্তির অর্থ আত্মসাতের তদন্তে অভিযোগ প্রমাণ করলো এলাকাবাসী
কুলাউড়া অফিস॥ কুলাউড়া উপজেলায় উপবৃত্তির অর্থ আত্মসাতের ঘটনা তদন্তে অভিযোগ প্রমাণ করলো এলাকাবাসী। অর্থ আত্মসাৎ ছাড়াও এলাকার মানুষ ও অভিভাবকরা প্রধান শিক্ষকের বির”দ্ধে অনিয়ম দুর্নীতি এবং ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছে শ্লীলতাহানীর।
কুলাউড়া উপজেলার গৌড়করণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর উপবৃত্তির অর্থ আত্মসাতের ঘটনা তদন্ত অনুষ্ঠিত হয় ২০ আগস্ট শনিবার। দুপুর ১২ টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত টানা তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়। তদন্তকালে এলাকার শত শত মানুষ ও প্রায় ২শ অভিভাবক স্বতঃস্ফুর্ত উপস্থিত হয়ে অর্থ আত্মসাতের ঘটনা প্রমাণ করেন। প্রথমে অভিযোগকারিদের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পর উপস্থিত সকল অভিভাবক লিখিত আকারে উপবৃত্তি আত্মসাতের ঘটনা তদন্ত কমিটিকে জানান। এরপর এলাকাবাসী প্রধান শিক্ষকের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি তুলে ধরেন। বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষকবৃন্দ, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতিসহ সদস্যরা লিখিত আকারে অভিযোগ দেন। এছাড়া ৫শ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষকের বির”দ্ধে শ্লীলতাহানীর অভিযোগ করেন।
তদন্তকালে এলাকার বিক্ষুব্ধ মানুষ একাধিকবার দুর্নীতিবাজ ও লম্পট প্রধান শিক্ষকের বির”দ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্লোগান দেন। তাছাড়া একাধিকবার প্রধান শিক্ষকের বির”দ্ধে হামলার চেষ্টা চালায়। বিক্ষব্ধ এলাকাবাসীর রোষানল থেকে বাঁচাতে তদন্ত কর্মকর্তারা তদন্ত শেষে ভুকশিমইল ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার আনফর আলী মধুকে দিয়ে প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে বিদ্যালয় ত্যাগ করার সুযোগ দেন।
এব্যাপারে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও সহকারি শিক্ষা অফিসার মাসুদুর রহমান জানান, তদন্তে বেশির ভাগ অভিযোগ প্রমানিত হয়েছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমরা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন জমা দেব। এছাড়া বেশি কিছু বলতে পারবো না।
মন্তব্য করুন