কুলাউড়ায় উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতকারী সেই প্রধান শিক্ষক এখনও বহাল তবিয়তে!
কুলাউড়া অফিস : কুলাউড়া উপজেলায় উপবৃত্তির অর্থ আত্মসাতের ঘটনা দু’দফা তদন্তে প্রমানিত হয়েছে। উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎকারী সেই প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গির আলম চৌধুরীকে শাস্তিমূলক বদলী করা হয়েছে। কিন্তু বিভাগীয় আদেশ অমান্য করে নতুন কর্মস্থলে যোগদান না করে তিনি বদলী আদেশ ঠেকাতে আশ্রয় নিয়েছেন অপকৌশলের।
জানা যায়, উপজেলার গৌড়করণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গির আলম চৌধুরীর বিরুদ্ধে উপবৃত্তির অর্থ আত্মসাৎসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ করেন অভিভাবকরা। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২০ আগস্ট কুলাউড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি ঘটনার তদন্ত করেন। তদন্তে সকল অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমানিত হলে তদন্ত প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের উপ-পরিচালক ২২ সেপ্টেম্বর জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে শাস্তিমূলক বদলী করেন উপজেলার টিলাগাঁও ইউনিয়নের তারাপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এরপর ৪ অক্টোবর শুধুমাত্র উপবৃত্তির অর্থ আত্মসাতের ঘটনা তদন্ত করেন মৌলভীবাজার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উপবৃত্তি বিভাগের মনিটরিং অফিসার সোহেল মোল্লা। তিনি অভিভাবকদের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ ও বিদ্যালয়ের নথিপত্র নিয়ে যান যাচাই বাছাইয়ের জন্য। মৌলভীবাজার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উপবৃত্তি বিভাগের মনিটরিং অফিসার সোহেল মোল্লা মুঠোফোনে জানান, অভিভাবকদের অভিযোগ ছাড়াও প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী উপবৃত্তির চাহিদা প্রদানের ক্ষেত্রে ও বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম করেছেন। অবশ্যই তিনি অপরাধ করেছেন। তিনি তদন্ত প্রতিবেদন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণ করবেন।
এদিকে জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী বিভাগীয় বদলী আদেশ অমান্য করে উল্টো বদলী ঠেকাতে দৌঁড়ঝাঁপ করছেন বিভিন্ন দফতরে।
কুলাউড়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ শরীফ-উল ইসলাম জানান, কেউ বিভাগীয় আদেশ অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। অফিস এব্যাপারে অবগত আছে। অবশ্যই সঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন