কুলাউড়ায় এইচএসসিতে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত মেধাবিদের কথা

August 23, 2016,

বিশেষ প্রতিনিধি॥ এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে কুলাউড়া উপজেলা থেকে অংশ নিয়ে ৫ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়ে কৃতিত্বের সাক্ষর রেখেছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র লংলা আধুনিক ডিগ্রি কলেজ থেকে অংশ নিয়ে ৩ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়ে উপজেলায় চমক দেখিয়েছে। এছাড়াও কুলাউড়া ডিগ্রি কলেজের ১ শিক্ষার্থী ও কুলাউড়া ইয়াকুব তাজুল মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ১ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। জিপিএ-৫ প্রাপ্তরা হলেন লংলা আধুনিক ডিগ্রি কলেজের ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের হেপি আক্তার, মানবিক বিভাগের ফাহমিদা আক্তার ও বিজ্ঞান বিভাগের নয়ন কুমার দে,
হেপি আক্তার ঃ অভাব-অনটন আর নানা প্রতিকূলতার সাথে যুদ্ধ করে লংলা আধুনিক ডিগ্রি কলেজ থেকে ব্যবসায় শাখা বিভাগ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে হেপি বেগম লংলা । হেপি পৃথিমপাশা ইউনিয়নের নন্দীরগ্রামের ফরিদ আলী ও নাজমা বেগম দম্পতির ২ মেয়ে ও ছেলের মধ্যে সবার বড়। দিনমজুর ফরিদ আলী পরের জমিতে বর্গা চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। হেপি এসএসসিতে রাজনগর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। হেপি বড় হয়ে বিসিএস ক্যাডার হয়ে প্রশাসনে চাকুরি করতে চায়। তার এ ফলাফরের জন্য অভিভাবক, কলেজের সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা, গভর্নিং বডি, প্রাইভেট শিক্ষক সামাদ ও লকুছের কাছে চির কৃতজ্ঞ। হেপি তার লক্ষে পৌছার জন্য সকলের কাছে দোয়া প্রার্থী।
ফাহমিদা আক্তার ঃ কর্মধার মেয়ে ফাহমিদা আক্তার লংলা আধুনিক ডিগ্রি কলেজ থেকে মানবিক বিভাগ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। ফাহমিদা কর্মধা ইউনিয়নের টাট্টিউলী গ্রামের জহুর আলী ও রশনা বেগমের ১ ছেলে ১ মেয়ের মধ্যে সবার বড়। ফাহমিদা এসএসসিতে হায়দরগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে অংশ নিয়ে জিপিএ-৪.৮৮ ও ৫ শ্রেণীর বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি পেয়ে উত্তীর্ণ হয়।
ফাহমিদা জানায়, সে দৈনিক গড়ে ১২ ঘন্টা লেখা পড়া করতো। তার প্রিয় শখ বই পড়া। সে বড় হয়ে একজন আদর্শ শিক্ষিকা হতে চায়। তার এ ফলাফলের জন্য পিতা-মাতা ও শিক্ষকমন্ডলির কাছে চির কৃতজ্ঞ। ফাহমিদা সকলের কাছে দোয়া প্রার্থী।
নাদিরা সুলতানা ঃ নাদিরা সুলতানা কুলাউড়ার ইয়াকুব তাজুল মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে মানবিক বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। সে জুড়ী উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের হাসনাবাদ গ্রামের হার”নুর রশিদ ও রাবিয়া বেগমের দম্পতির ৩ ছেলে ও ২ মেয়ের মধ্যে ৪র্থ। নাদিরা জানায়, সে দৈনিক ৮-৯ ঘন্টা লেখাপড়া করতো। তার এ ফলাফলের জন্য পিতা-মাতা, ভাই-বোন ও শিক্ষকমন্ডলির কাছে চির কৃতজ্ঞ।
আমেনা আক্তার ঃ আমেনা আক্তার কুলাউড়া ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। সে কুলাউড়া পৌর এলাকার কাছিমনগর গ্রামের আবুল হোসেন ও রোকেয়া বেগম দম্পতির ২ ছেলে ও ৩ মেয়ের মধ্যে ৪র্থ। আমেনা জানায়, সে দৈনিক ৫-৭ ঘন্টা লেখাপড়া করতো। তার এ ফলাফলের জন্য পিতা-মাতা, ভাই-বোন ও শিক্ষকমন্ডলির কাছে চির কৃতজ্ঞ। সে ভবিষতে ডাক্তার হতে চায়। আমেনা এসএসসি ও জেএসসিতে নবীন চন্দ্র মডেল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছিল।
নয়ন কুমার দে ঃ নয়ন কুমার দে লংলা আধুনিক ডিগ্রি কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগ এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। সে পৃথিমপাশা ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের মৃত নিধু রঞ্জন দে ও অনিমা রানী দের পুত্র। নয়ন এসএসসিতে শ্রীমঙ্গল বর্ডার গার্ড পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ ও ৫ম শ্রেণীর বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে টেলেন্টফুলে বৃত্তি পায়। নয়ন জানান, সে দৈনিক গড়ে ৭-৮ ঘন্টা লেখা পড়া করতো। তার প্রিয় শখ ক্রিকেট খেলা। সে ভবিষ্যতে ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com