কুলাউড়ায় কাল্পনিক মামলা রেকর্ড করে অসুস্থ পিতা-পুত্রসহ ৩ জনকে হয়রানির অভিযোগ
কুলাউড়া অফিস॥ কুলাউড়ার রাউৎগাও ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে সম্পূর্ণ মিথ্যে ঘটনার নাটক সাজিয়ে থানায় মামলা দিয়ে একটি পরিবারের অসুস্থ বৃদ্ধ পিতা ও পুত্রসহ ৩ জনকে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় এলাকাবাসী,মেম্বার ও চেয়ারম্যান এ ধরনের মিথ্যে মামলা এবং মামলার প্রেক্ষিতে ২ জনকে পুলিশ কর্তৃক আটকের খবর পেয়ে হতবাক ও বিস্মিত হয়েছেন। এলাকাবাসী অবিলম্মে মিথ্যে মামলা প্রত্যাহার পূর্বক মিথ্যে মামলার নাটক যে ব্যক্তি সাজিয়েছে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আবেদন জানিয়েছেন। এ বিষয়ে এলাকাবাসী অবশ্য সরকারের উর্ধবতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতিকার চেয়ে আবেদন করবেন বলে জানান। এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, ভবানীপুর গ্রামের মোঃ লকুছ মিয়া (৫৫) এর সাথে চাচাতো ভাই সায়েস্থা মিয়ার জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। সায়েস্থা মিয়া গংরা লকুছ মিয়াদের ১ একরের মতো সম্পত্তি জোরপূর্বক জবর দখল করে রাখার বিষয়ে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার বিচার বৈঠক অনুষ্টিত হয়। বৈঠকে স্থানীয় রাউৎগাও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল জামাল, স্থানীয় মেম্বার আব্দুল মোক্তাদির মনুসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। সালিশ বৈঠকে কয়েকবার জবরদখলকৃত জমির মধ্যে ৩০ শতক জমি ফিরত দিতে সায়েস্থা মিয়াকে নিদের্শ দেওয়া হলেও সালিশ বৈঠকের রায় অমান্য করে সায়েস্থা মিয়া পুলিশের আশ্রয় নিয়ে সর্ম্পূন মিথ্যে একটি কল্প কাহিনী সাজিয়ে কুলাউড়া থানায় একটি মিথ্যে মামলা দায়ের করে। পুলিশ মামলার কোনরূপ তদন্ত না করে পুলিশ ৩ ডিসেম্বর গভীর রাতে গিয়ে লকুছ মিয়ার অসুস্থ ছেলে সড়ক দূর্ঘটনায় গুরুতর আহত জসিম মিয়া (২৭) ও অপর ছেলে আব্দুস সামাদ (২৪)কে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। আটকের কারন পুলিশকে জিজ্ঞেস করলে পুলিশ কোন সুদত্তুর না দিয়ে থানায় নিয়ে আসে। পরে খবর নিয়ে জানা যায়, হার্টের রোগী বৃদ্ধ মোঃ লকুছ মিয়া, তার অসুস্থ ছেলে জসিম ও সামাদের বিরুদ্ধে ১ ডিসেম্বর মারামারির বিষয়ে কুলাউড়া থানায় একটি মামলা (নং-৪) হয়েছে এবং মামলার আসামী তারা পিতা পুত্র। অথচ ১ ডিসেম্বর ভবানীপুর গ্রামে কোন ধরনের মারামারির ঘটনা ঘটেনি বলে এলাকাবাসী, স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বাররা জানিয়েছেন। পুলিশ কর্তৃক দুই পুত্রের আটকের খবর পেয়ে রাউৎগাও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল জামাল থানার এসে পুলিশকে ভবানীপুর গ্রামে এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি বলে জানান। এলাকাবাসীও এ ধরনের মিথ্যে ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এব্যাপারে স্থানীয় মেম্বার আব্দুল মোক্তাদির মনু বলেন, তার ওয়ার্ডের মধ্যে ভবানীপুর গ্রাম। এ গ্রামে মারামারির কোন ঘটনা ১ডিসেম্বর ঘটেনি। কোন ধরনের তদন্ত ছাড়া মামলা রেকর্ড এবং আসামী আটকের ঘটনায় এলাকাবাসী বিস্মিত হয়েছেন। আমরা পুণঃতদন্তের মাধ্যমে আসামীদের অব্যাহতি প্রদানের জন্য আমি পুলিশের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন জানাচ্ছি।
এব্যাপারে রাউৎগাও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল জামাল বলেন, ভবানীপুর গ্রামে ১ ডিসেম্বর কোন মারামারির ঘটনা ঘটেনি। আমরা পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছে। কুলাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) বিনয় ভূষন রায় জানান, এবিষয়ে আমি কিছুই জানিনা, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কিংবা ওসি স্যার জানেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুলাউড়া থানার এসআই জহিরুল ইসলাম এ ব্যাপারে জানান, আমরা ফাইনাল রিপোর্টে ক্ষতিগ্রস্থদের পক্ষে রিপোর্ট প্রদান করব।
মন্তব্য করুন