কুলাউড়ায় চাতলাপুর শুল্ক স্টেশন দিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে মাছ রপ্তানি বাড়ছে
কুলাউড়া অফিস॥ কুলাউড়া উপজেলার চাতলাপুর শুল্ক স্টেশন দিয়ে ভারতে মাছ রপ্তানি বাড়ছে। নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত তিন মাসে শুল্ক স্টেশন দিয়ে ১ কোটি ৮ লাখ টাকার ৫৪ হাজার কেজি মাছ রপ্তানি হয়েছে। এতে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ১ লাখ ৩২ হাজার ৫০০ টাকা।
উপজেলা সদর থেকে চাতলাপুর শুল্ক স্টেশনের দূরত্ব ৩৮ কিলোমিটার। কিছুদিন আগেও এই শুল্ক স্টেশন দিয়ে ভারতে সীমিত পরিসরে মাছ রপ্তানি হতো। কারণ রপ্তানিকারকদের কোনো ধরনের অনুমতিপত্র ছিল না। মাছের স্বাস্থ্য সনদ না থাকায় ভারতে মাছের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন উঠত। তবে অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা হিসেবে সুলতান মাহমুদ ২০১৪ সালের ৭ আগস্ট কুলাউড়ায় যোগ দেন। একদিন চাতলাপুর শুল্ক স্টেশন পরিদর্শনে গেলে মাছ রপ্তানিকারকেরা তাঁকে জানান, কোনো অনুমতিপত্র ছাড়াই মাছ রপ্তানি হচ্ছে। মাছের স্বাস্থ্য সনদ নেওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। পরে সুলতান মাহমুদ ঢাকায় মৎস্য অধিদপ্তরে যোগাযোগ করেন। তাঁর চেষ্টায় ছয়জন রপ্তানিকারক অনুমতিপত্র পান। এ ছাড়া অধিদপ্তর থেকে বরফায়িত মাছের স্বাস্থ্য সনদ প্রদানে তাঁকে বিশেষ ক্ষমতা প্রদান করা হয়। জানতে চাইলে সুলতান মাহমুদ বলেন, ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর থেকে মাছের স্বাস্থ্য সনদ দেওয়া হচ্ছে। এর আগের তিন মাসে জুন, জুলাই ও আগস্টে যথাক্রমে ৫ হাজার, ৪ হাজার ও ৭ হাজার কেজি মাছ রপ্তানি হয়েছিল। সনদ দেওয়ার পর থেকেই মাছ রপ্তানি বেড়েছে। এখন প্রতি মাসে ২০-৩০ হাজার কেজি মাছ রপ্তানি হয়। তিনি জানান, চাতলাপুর দিয়ে রুই, কাতলা, তেলাপিয়া, পাঙাশ, কার্প, সরপুঁটিসহ বিভিন্ন জাতের মাছ বেশি রপ্তানি হয়। কমলগঞ্জের বাসিন্দা, মাছ রপ্তানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট সোহেল রানা চৌধুরী বলেন, ‘আগে আমাদের লাইসেন্স ছিল না। চেম্বার অব কমার্স ও স্যানিটারি ইন্সপেক্টরের কাছ থেকে সনদ নিয়ে মাছ রপ্তানি করতাম। অনেক সময় ভারতের ব্যবসায়ীরা মাছের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলতেন। সব মিলিয়ে বেশ ঝক্কিঝামেলা পোহাতে হতো। এখন ভোগান্তি কেটে গেছে।’ চাতলাপুর শুল্ক স্টেশনের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মোঃ আতাউর রহমান বলেন, মাছ রপ্তানি বাড়ায় সরকারের রাজস্ব আয়ও বেড়ে গেছে।
মন্তব্য করুন