কুলাউড়ায় দুই তালামীয নেতার যোগসাজসে রিজার্ভ ফরেষ্টের গাছ চুরি
কুলাউড়া অফিস॥ কুলাউড়ার ভাটেরার রিজার্ভ ফরেষ্টের নাম্বারযুক্ত ২৪ পিছ (লকার) গাছ চুরি করে নিয়ে যাবার সময় এএসআই রুকনের নেতৃত্বে কুলাউড়া থানা পুলিশের একটি টহল দল গাছসহ গাড়ি আটক করে। গাছ ক্রয় বিক্রয় ও পরিবহনের সাথে দুই তালামীয নেতার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে একাধিক নির্ভরযোগ্য সুত্র জানিয়েছে। জানা যায়, ভাটেরা রিজার্ভ ফরেষ্টের আওতায় ২০০৪ ও ২০০৫ সালের সৃজিত সামাজিক বনায়নের আকাশমনি গাছের ২৪ পিছ (লকার) গাছ গ২৮ জুলাই বৃহঃস্পতিবার গভীর রাতে নাম্বার বিহীন একটি মিনি ট্রাক যোগে নিয়ে যাবার সময় টহল পুলিশ তাদের চ্যালেঞ্জ করে ধাওয়া করে। এসময় দ্রুত গাড়ি চালিয়ে চালকসহ অন্যরা ভাটেরার স্টেশনবাজার সংলগ্ন একটি স’মিলের সামনে গাছ বোঝাই্্্্্্্্্্্্্ গাড়িটি রেখে পালিয়ে যায়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় দেড় লক্ষ টাকা। কুলাউড়া থানা পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্ধা সুত্রে জানা যায় দীর্ঘ দিন থেকে এই গাছ চুরির চক্রের অন্যতম হোতা উপজেলা তালামীযের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ভাটেরা ইউনিয়ন তালামিযের সভাপতি বদরুল আমিন ও ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের মৌলভীগাঁও গ্রামের লাল মিয়ার পুত্র ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়ন তালামিযের সভাপতি আবুল হোসেন মোল্লা জড়িত। সম্প্রতি তাদেরই যোগ সাজস ও ছত্রছায়ায় ভাটেরা ও বরমচালের রিজার্ভ ফরেষ্টের গাছ চুরি হচ্ছে বলে স্থানীয় একটি নির্ভরযোগ্য সুত্র জানায়। বৃহস্পতিবার রাতে বন বিভাগের চুরি হয়ে যাওয়া গাছ তালামিয নেতা বদরুলের তত্বাবধায়নে ও আবুল হোসেনের নাম্বার বিহীন গাড়িয়ে দিয়ে অন্যত্র বিক্রি করতে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। এর আগে গত শুক্রবার ভাটেরার কলিমাবাদ এলাকার একটি পুকুর থেকে ১৬ পিছ চুরি হয়ে যাওয়া গাছ উদ্ধার করে বনবিভাগ। বৃহস্পতিবার রাতে গাড়িসহ চুরিকরা গাছ ধরা পড়ার পর লোকমুখে তা জানা জানি হলে তা ধামা চাপা দিতে ও থানা থেকে গাড়ি ছাড়িয়ে আনতে এই দুই নেতার চলে নানা তদবির। স্থানীয় বাসিন্ধারা জানান তালামীযের সংগঠনের সাথে জড়িত হওয়ার পর থেকে এই নেতা অনেকটা বেপরোয়া ভাবে নানা অপকর্মের সাথে নিজেদের জড়াচ্ছে। এই আঞ্চলিক সংঘটনটির পদবিদারী হওয়ায় এই দুই নেতা তারা দাপটের সাথে নানা অপকর্ম করছে। এব্যাপারে অভিযুক্ত মুঠোফোনে আবুল হোসেন বলেন, এসবের সাথে তিনি জড়িত নয়। গাড়িটি দিয়ে শুধু গাছগুলো উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়েছে। গাড়ির নাম্বার প্লেট নেই কেন জিজ্ঞেস করা হলে তিনি কোন সদুত্তর না দিয়ে বলেন এটা আমার ভাইয়ের। বদরুল আমীন নিজে জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ।
কুলাউড়া বনবিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কাশেম ভূঁইয়া জানান তিনি অফিসের কাজে জেলা সদরে ছিলেন তাই এবিষয়ে তাৎক্ষণিক কিছু বলতে পারছেন না। তিনি ভাটেরা বিট কর্মকর্তার কাছ থেকে এ বিষয়ে জেনে আইনানুগ ব্যাবস্থা নিবেন।
কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শামছুদ্দোহা পিপিএম চুরির গাছসহ গাড়ি আটকের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
মন্তব্য করুন