কুলাউড়ায় দু’শতাধিক মন্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে
কুলাউড়া অফিস॥ কুলাউড়া উপজেলার ২১৬টি পূজা মন্ডপে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বৃহৎ উৎসব দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ১৮৯টি মন্ডপে সার্বজনীন ও ২৭টি মন্ডপে ব্যক্তি উদ্যোগে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। কুলাউড়ার সর্ববৃহৎ পূজামন্ডপ কাদিপুরের শিববাড়িকে ইতোমধ্যে সাজানো হয়েছে বর্ণিল রঙে। এদিকে পূজা উদযাপনে সরকারি অনুদান বিতরণ নিয়ে স্থানীয় এমপি’র অনৈতিক হস্তক্ষেপে পূজা উদযাপন কমিটির মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েচিলো। উপজেলা প্রশাসন এমপির প্রদত্ত তালিকা অনুসারে বরাদ্দ না দিয়ে পূজা উদযাপন কমিটির প্রদত্ত তালিকা অনুসারে বরাদ্দ দেয়ায় পরিস্থিতি শান্ত হয়। উপজেলায় সার্বজনীন পূজামন্ডপের মধ্যে টিলাগাঁও ইউনিয়নে সর্বোচ্চ ৩৪টি ও সর্বনিম্ন ভাটেরা ইউনিয়নে ৪টি পূজামন্ডপে দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও বরমচাল ইউনিয়নে ৬টি, ভূকশিইলে ৭টি, জয়চন্ডীতে ১৫টি, ব্রাহ্মণবাজারে ১১টি, কাদিপুরে ১৫টি, কুলাউড়া সদর ইউনিয়নে ৫টি, রাউৎগাঁও ইউনিয়নে ১২টি, হাজীপুর ইউনিয়নে ২৩টি, শরীফপুর ইউনিয়নে ১২টি, পৃথিমপাশা ইউনিয়নে ২০টি, কর্মধা ইউনিয়নে ১৭টি, পৌরসভার ৮টি মন্ডপে দূর্গাপুজা অনুষ্ঠিত হবে। কুলাউড়ায় একমাত্র প্রতিমা শিল্পী আকাশ জানান, আশ্বিনের প্রথম থেকে তারা প্রতিমা তৈরি শুরু করেছেন, কাজ প্রায় শেষ।
দু’চারদিনের দিনের মধ্যেই প্রতিমাগুলো রঙ ও পোশাক পরিচ্ছদে সুসজ্জিত করা হবে। অন্যদিকে আসন্ন দুর্গোৎসবে নতুন জামা-কাপড় কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন সনাতন সম্প্রদায়ের মানুষ। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বৃহৎ উৎসব দূর্গা পূজা উপলক্ষে কুলাউড়ার বিপনী বিতানগুলোতে ক্রেতা সমাগম ব্যাপক। পাশাপাশি বৃহৎ এ উৎসবটি যাতে নির্বিঘেœ পালন করা যায় সেদিকে তৎপর রয়েছে প্রশাসন। কুলাউড়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা মনিন্দ্র মীরবহর জানান, এবছর কুলাউড়ায় ২১৬টি পূজা মন্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। শান্তিপুর্ণ ও সুষ্ঠভাবে পূজা আয়োজনে স্ব স্ব ইউনিয়নের উদযাপন কমিটির মাধ্যমে সরকারি অনুদান বিতরণ করেছে উপজেলা কমিটি। সরকারি অনুদান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকারি বরাদ্দ বিতরণে একটি প্রচলিত নিয়ম বিদ্যমান আছে। এবারই প্রথম এমপি আব্দুল মতিন সেই নিয়ম ভঙ্গ করার চেষ্টা করেছেন। অবশ্য তাতে তিনি সফল হতে পারেননি। সহকারী পুলিশ সুপার (কুলাউড়া সার্কেল) জুনায়েদ আলম সরকার জানান, দূর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে পালনের জন্য পুলিশ প্রশাসনের বিশেষ টিম মাঠে থাকবে। উপজেলার বৃহৎ পূজামন্ডপগুলোতে সিসিটিভি সেট করা হবে। তাছাড়া জনগণ যাতে নির্বিঘেœ উৎসব পালন করতে পারে সেদিকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
মন্তব্য করুন