কুলাউড়ায় পিতার হত্যাকারী মইন উদ্দিন এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে
কুলাউড়া অফিস॥ কুলাউড়ায় সম্পত্তির ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে বিরোধের জের ধরে পিতাকে খুন করে পুরনো সেপটিক ট্যাংকে ফেলে লাশ মাটি চাপা দেয়ার ৬ দিন পর মহব উল্যা (৭০) নামক বৃদ্ধের গলিত লাশ উদ্ধার করার ২মাস পূতি হলো ৯ নভেম্বর বুধবার। এই ২ মাসেও পুলিশ পিতৃ হন্তারক মইন উদ্দিন (২৫ কে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি। ২মাস পেরিয়ে গেলেও পিতা হত্যাকারী পুত্র মঈন উদ্দিন এখনো রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। পুলিশের ধারণা সে ভারতে পালিয়ে গেছে। সম্পত্তির লোভে নিজ পুত্রের হাতে পিতা হত্যা এই ঘটনা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকে হার মানিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ৩ সেপ্টেম্বর রাতে কুলাউড়া থানার টিলাগাঁও ইউনিয়নের বাগৃহাল গ্রামে। সম্পত্তির ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে বিরোধের জের ধরে পিতাকে হত্যা করে পুরনো সেপটিক ট্যাংকে ফেলে লাশ মাটি চাপা দেয়ার ৬ দিন পর পুলিশ মহব উল্যা (৭০) নামক এক বৃদ্ধের গলিত লাশ ৯ সেপ্টেম্বর উদ্ধার করে। পিতার মৃত্যুর পর পিতা নিখোঁজ বলে ইউনিয়নের সর্বমহলের মানুষের মুখে মুখে প্রচার করে পুত্র মঈন উদ্দিন। ঘটনাটি কুলাউড়া থানাকে অবগত করলে ওসি মোহাম্মদ সামছুদ্দোহা পিপিএম ও এসআই কানাই লাল চক্রবর্তী সহ সঙ্গি ফোর্স ওইদিন মহব উল্যার গলিত লাশ উদ্ধার করে। মহব উল্যাকে হত্যা করে ৭দিন টয়লেটে রেখে বিভিন্ন মেডিসিন ও স্প্রে ব্যবহার করা হয় যাতে দুগন্ধ চারিদিকে না ছড়ায়। ঘটনার পর থেকে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করেছিল। ঘটনার দিন থেকে নির্মম হত্যাকান্ডের মুল পরিকল্পনাকারী পুত্র মঈন উদ্দিন ২মাস অতিবাহিত হওয়ার পর এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে।
সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, মহব উল্যা তার স্ত্রীকে প্রায় ৬ মাস আগে তালাক দেন এবং সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়ে জের থাকার কারণে পরিবারের সদস্যরা মিলে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই কানাই লাল চক্রবর্তী জানান, এ ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছি। পলাতক মঈন উদ্দিন বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা তাকে গ্রেফতার করতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমার মনে হয় সে ভারতে পলাতক রয়েছে। আদালতের সিএম রিপোর্ট আসলে মামলার চার্জশীট দেব।
মন্তব্য করুন