কুলাউড়ায় মসজিদের জমি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ
কুলাউড়া অফিস॥ কুলাউড়া উপজেলার ভুকশিমইল ইউনিয়নে একটি মসজিদের জমি আত্মসাৎ করে বিক্রি ও মসজিদের তহবিলের প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে পঞ্চায়েতের লোকজন সরকারে বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। এঘটনায় স্থানীয় লোকজন ও অর্থ আত্মসাৎকারীদের মধ্যে ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যে বলে দাবি করেন। স্থানীয় পঞ্চায়েতের পক্ষে মারুক মিয়া চৌধুরী, হাদি মিয়া, নাজমুল ইসলাম চৌধুরীসহ শতাধিক ব্যক্তি স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, মদনগৌরী পুরাতন জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি আসিদ মিয়া চৌধুরী, সম্পাদক মোঃ আশরাফুল ইসলাম ও কোষাধ্যক্ষ শাহীন মিয়া চৌধুরী মিলে মসজিদের গাছ বিক্রি, জায়গা নিলাম, জায়গা বিক্রির টাকা ও বিভিন্ন সাহায্যের তহবিলের প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেন। উন্নয়ন কর্মকান্ডের কাজ নিম্নমানের ও আংশিক করিয়ে হিসাব-নিকাশ পঞ্চায়েতের লোকজনকে না বুঝিয়ে আরও টাকা আত্মসাৎ করেন। এছাড়াও মসজিদের নামীয় ১টি দাগ থেকে জমি বিক্রি করে উন্নয়ন কাজ করার কথা থাকলেও তারা পঞ্চায়েতের অনুমতি ছাড়া ৯টি দাগ থেকে জমি বিক্রি করেছেন। মসজিদে নি¤œমানের কাজ করানোর ফলে বর্ষা মৌসুমে ছাদের ঢালাই, ভিম ও লিন্টার বাঁকা হয়ে নিচের দিকে দেবে গিয়ে বৃষ্টির পানি পড়তে থাকে। ছাদের ঢালাই যেকোন সময় ভেঙ্গে পড়ার আশংঙ্কা করছেন এলাকার লোকজন। এই শুষ্ক মৌসুমে সংস্কার কাজ করার কথা ছিল। এসব বিষয় নিয়ে পঞ্চায়েতের লোকজন আলোচনায় বসা এবং হিসাবনিকাশ প্রদানের জন্য একাধিকবার তাদেরকে আহ্বান করলেও তারা সাড়া দেননি। ফলে বাধ্য হয়ে পঞ্চায়েতের লোকজন ধর্মমন্ত্রী, মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক, কুলাউড়া উপজেলা চেয়ারম্যান, দুর্নীতি দমন কমিশন, কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার, কুলাউড়া থানায় অফিসার ইনচার্জ ও ভুকশিমইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। মসজিদ কমিটির সভাপতি আসিদ মিয়া চৌধুরী আনিত অভিযোগ মিথ্যা, ভিত্তিহীন দাবী করে বলেন, মূলত পঞ্চায়েতে মসজিদ কমিটি নিয়ে দু’টি গ্রুপ রয়েছে। যারা পরিচালনার দায়িত্বে আসতে পারেনি তারাই অপপ্রচার ছড়াচ্ছে। এব্যাপারে ভুকশিমইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান মনির জানান, আমার কাছে লিখিত অভিযোগ করার পর আমি সহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রাকিবকে সাথে নিয়ে মসজিদ পরিদর্শন করি। ইঞ্জিনিয়ার মসজিদের অবস্থা দেখে সম্পূর্ণটা ভেঙে ফেলার পরামর্শ দেন। নয়তো যেকোন সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান। অভিযোগ পেয়ে কুলাউড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছে। অফিসার ইনচার্জ উভয়পক্ষকে নিয়ে বসবেন।
মন্তব্য করুন