কুলাউড়ায় মাদ্রাসা ছাত্রীকে ২ দিন আটকে রেখে ধর্ষন
এইচ ডি রুবেল॥ কুলাউড়ার টিলাগাও-এ ৫ম শ্রেনীর মাদ্রাসা ছাত্রীকে ২ দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করেছে এক বখাটে। ঘটনার ৭ দিন পর ৪ মে বুধবার সন্ধ্যায় কুলাউড়া থানা পুলিশ ধর্ষক হানিফের বিরুদ্ধে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রুজু করেছে,যার মামলা নং-০৪। এদিকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ধর্ষিতার মেডিকেল টেষ্ট সম্পন্ন করেছে পুলিশ। তবে এখনো ধর্ষনকারী বখাটে হানিফ আলী (২৭) কে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
নির্যাতিতা মাদ্রাসা ছাত্রীর মামা জয়নাল মিয়া অভিযোগ করে বলেন, ২৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার ভাগ্নি মাদ্রাসা ছাত্রী (১০) ঘরের বাহিরে টয়লেট শেষে টয়লেট থেকে বের হওয়ার সময় আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা হাজীপুর গ্রামের চান্দু মিয়ার বখাটে ছেলে হানিফ আলী (২৭) কিশোরীকে ঝাপটে ধরে গামছা মুখে চেপে ধরে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে ২ দিন আটকিয়ে রেখে পালাক্রমে ধর্ষন করে। শুক্রবার রাত ১২ টার ধর্ষনকারী হানিফ অজ্ঞান অবস্থায় কিশোরীকে তার পিতার ঘরে রেখে পালিয়ে যায়। এসময় মুমুর্ষ অবস্থায় কিশোরীকে কুলাউড়া স্বাস্থ্য নিয়ে আসা হলে অবস্থা শোচনীয় হওয়ায় তাকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে স্থানাস্থর করা হয়। কুলাউড়া হাসপাতালের ডাক্তারদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে কুলাউড়া থানা পুলিশ সোমবার ঘটনাস্থলে যায় এবং বখাটে ছেলের চাচা ও বড় ভাই গনি মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে। পরে তাদেরকে রাত্রে ছেড়ে দেয়া হয়। মঙ্গলবার পুলিশ মৌলভীবজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কিশোরীর মেডিকেল টেষ্ট সম্পন্ন করে এবং ভিকটিমের জবানবন্দি গ্রহন করে বুধবার কুলাউড়া থানায় ধর্ষক হানিফকে একমাত্র আসামী করে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রুজু করে।
এ ব্যাপারে কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শামছুদ্দোহা পিপিএম জানান, এ ঘটনায় মামলা রুজু করা হয়েছে। আসামীকে যেকোন মূল্যে পুলিশ আটক করতে কাজ করছে।
মন্তব্য করুন