কুলাউড়ায় শিশু ও গৃহবধুকে অপহরণের পর ধর্ষণ-৪ জন আটক
এইচ ডি রুবেল॥ কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নে সাড়ে ৩ বছরের এক শিশু ও শরীফপুর ইউনিয়নে এক গৃহবধুকে অপহরণের পর পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। দুটি ঘটনায় ১৫ আগস্ট সোমবার পৃথক মামলা হয়েছে। শিশু ধর্ষণ ঘটনার সাথে জড়িত একজনকে এবং গৃহবধু অপহরণ ও ধর্ষণের ঘটনায় ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
টিলাগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মালিক জানান, ১৫ আগস্ট সন্ধ্যার পর হাজীপুর গ্রামের এক মহিলা তার সাড়ে ৩ বছরের শিশু কন্যাকে নিয়ে এসে একই এলাকার ইব্রাহিম মিয়ার ছেলে শাওন (১৩) ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ করেন। তিনি ওই মহিলাকে কুলাউড়া হাসপাতালে তার চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করেন। রাতে কুলাউড়া হাসপাতাল থেকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এঘটনায় শিশুটির মা কুলাউড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। কুলাউড়া থানার এসআই আনোয়ার ১৬ আগস্ট মঙ্গলবার অভিযুক্ত শাওনকে তার বাড়ি থেকে আটক করেন।
এদিকে শরীফপুর ইউনিয়নের পূর্বভাগ গ্রামের কৃষক হারিছ মিয়া (৩২)’র স্ত্রী ১৩ আগস্ট শনিবার দেবর সোহেল মিয়া (২৮)’র সাথে পালিয়ে যাবার সময় কালারায়চর গ্রামের আলাল মিয়া (৪০) ও সেলিম মিয়া (৩২) গৃহবধুকে অপহরণ করে কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের বৈদ্যনাথপুর গ্রামের সুলতান মিয়ার ২য় স্ত্রী জয়রুন বেগমের বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখে। সেখানে সুলতান মিয়া ও আলাল মিয়া শনিবার ও রোববার দুই দিনে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১৫ আগস্ট সোমবার সকাল ১০টায় গৃহবধুর পিতা কুলাউড়া থানার এসআই জহিরুল হককে নিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসীর সহযোগিতায় বৈদ্যনাথপুর গ্রামের জয়রুন বেগমের বাড়ি থেকে গৃহবধুকে উদ্ধার করেন। উদ্ধারকালে শরীফপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হারুন মিয়া ও পতনঊষার ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সাজিদ আলী উপস্থিত ছিলেন।
কুলাউড়া থানার এসআই জহিরুল হক জানান, গৃহবধুকে প্রয়োজনীয় ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এঘটনায় গৃহবধুর পিতা বাদি হয়ে কুলাউড়া থানায় ১৫ আগস্ট ৮ জনকে আসামী করে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এই মামলায় সোহেল মিয়া, বশর মিয়া ও রিপন মিয়া নামে ৩ জনকে আটক করেছে।
মন্তব্য করুন