কুলাউড়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থীরা চমক দেখাতে পারে
এম. মছব্বির আলী॥ কুলাউড়ার ৬ ইউনিয়নে ৭মে অনু্িষ্ঠত হবে নির্বাচন। এসব ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা কঠিন চ্যালেঞ্জ চুড়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দলীয় প্রার্থীদের। ফলে সংখ্যা গরিষ্ট স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়ে চমক দেখাতে পারেন।
৩য় দফা নির্বাচনে কুলাউড়ার ৭ ইউনিয়নের ৩টিতে জিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৪র্থ দফার প্রার্থীদের দিয়েছেন আত্মবিশ্বাসের বার্তা। ফলে ৪র্থ দফার ৬টি ইউনিয়নে এখন স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও বেশ জোরেশোরে তাদের প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। স্বতন্ত্র হলেও মুলত এরা স্থানীয়ভাবে আওয়ামী লীগ কিংবা বিএনপি মতাদর্শের প্রার্থী।
কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের ২ বারের চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী এক সময়ের জাসাস নেতা আব্দুস সহিদ বাবুল। ইউনিয়নে তার ঈর্ষণীয় জনপ্রিয়তা। দলীয় প্রতিকে নির্বাচন হলেও তিনি দলীয় প্রতিক না নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। এখানে বিএনপি’র প্রার্থী আব্দুস সালাম। মধ্যপ্রাচ্যের কুয়েতে ছিলেন। এলাকায় তার পরিচিতি কম। তাছাড়া বিএনপি’র অনেক নেতাকর্মীই তার সাথে নেই। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পাওয়ায় নির্বাচনে অংশ নেননি ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মজিদ মনু ও মুহিবুল ইসলাম আজাদ। ফলে তাদের সমর্থকদের ভোট যাবে স্বতন্ত্রের বাক্সে।
পৃথিমপাশা ইউনিয়নে মুলত দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীই মুল লড়াইয়ে রয়েছেন। দুই বারের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ ও নির্বাচনে লতিফের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি নবাব আলী বাকর খান হাসনাইনের মধ্যে এবারো তুমুল লড়াই হবে।
হাজীপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল বাছিত বাচ্চু। পেশায় সাংবাদিক। বিগত দুটি নির্বাচনে সামান্য ভোটের ব্যবধানে হার মানা এই প্রার্থী এবার নির্বাচনে চমক দেখাতে পারেন। এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বাছাই সঠিক হয়নি। তার প্রতি নেতাকর্মী কিংবা ভোটারদের তেমন আস্তা নেই। আর বিএনপি’র প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান বিগত ৫ বছরে নানা বিতর্কিত কর্মকান্ডে ভোটারদের কাছে তিনিও বেশ বিতর্কিত। সাবেক চেয়ারম্যান মবশ্বির আলীর ছোট ভাই স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহমুদ আলী ফটিকও রয়েছেন আলোচনায়।
টিলাগাঁও ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মোঃ আব্দুল মালিক ও বিএনপি মোঃ মশাহিদ আহমদের জন্য হুমকি স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মালিক ও সৈয়দ গোলাম রহমান আজমল। দলীয় প্রার্থীদের টেক্কা দিয়ে এদের যেকোন একজন চমক দেখাতে পারেন।
ভাটেরা ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় মাওলানা সাইফুল আলম সিদ্দিকী। আমেরিকা প্রবাসী এই প্রার্থী বিগত দুটি নির্বাচনে অংশ নেন। আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দল একাংশের সমর্থন এবাং স্থানীয় ভোটারদের পছন্দের তালিকায় তিনি রয়েছেন অন্য সবার চেয়ে এগিয়ে।
শরিফপুরে খলিলুর রহমান খলিল রয়েছেন আলোচনায়। শেষতক হেভিয়েট প্রার্থী তার কাছে ধরাশায়ী হলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
ভোটারদের মতে, আওয়ামী লীগ-বিএনপি’র প্রার্থী নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত বিতর্কিত হওয়ায় ৭ মের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ট স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিজয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।
মন্তব্য করুন