কুলাউড়া পৌরসভায় যেখানে সেখানে ময়লার স্তুপ-দূর্গন্ধে নাকাল মানুষ
কুলাউড়া অফিস॥ কুলাউড়া পৌরশহরের যেখানে-সেখানে ময়লা আবর্জনার স্তুপ। এ ময়লা-আবর্জনার উৎকঠ দুর্গন্ধে নাকাল মানুষ। এ নিয়ে পৌরকর্তৃপক্ষও বেশ উদাসীন। রমজান মাসেও এই অবস্থায় পথচারী, ব্যবসায়ী এবং পৌরসভার বাসিন্দাদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিন পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলা কোয়ার্টারের সামনে, পৌরশহরের খাদ্য গুদামের সামনে, পৌরসভা অফিসের উত্তর সীমানার পাশে, দক্ষিণবাজারস্থ মৌলভীবাজার বাস স্ট্যান্ড, উত্তরবাজারস্থ জুড়ী বাস স্ট্যান্ড, কুলাউড়া বালিকা স্কুলের উত্তর পাশের রাস্তায়, নবীন চন্দ্র মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠের পাশে, রেলওয়ে স্টেশনের পাশে জমে আছে ময়লার স্তুপ।
দীর্ঘদিন থেকে জমে থাকা ময়লার স্তুপের পাশ দিয়ে রমজান মাসেও দূর্গন্ধে নাকে হাত দিয়ে চলাচল করতে হয় পথচারীদের। তাছাড়া দূর্গন্ধে আশপাশের ব্যবসায়ীদেরকেও চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
কুলাউড়া পৌরশহরের মৌলভীবাজার বাস স্ট্যান্ডের ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ দাস, রাসেল আহমদ রাজু, উত্তরবাজারের ব্যবসায়ী মোস্তফা মিয়া, আবুল মিয়া, সুলতান আহমদ জানান, শহরের অধিকাংশ স্থানে স্থায়ী কোন ডাস্টবিন না থাকায় যেখানে-সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলে রাখা হয়। দীর্ঘদিন ময়লা আবর্জনা জমে থাকায় দূর্গন্ধে আমরা দোকানে বসে ব্যবসা করতে পারছি না। তাছাড়া ময়লা ড্রেনে পড়ে ড্রেন বন্ধ হয়ে যায়।
কুলাউড়া ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম, সালাউদ্দিন সালোক, মিলাদ আহমদ, ইয়াকুব তাজুল মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী ফাহমিদা বেগম জানান, ফুটপাতের ওপর যত্র-তত্র ময়লা জমে থাকায় এর পাশ দিয়ে দূর্গন্ধে আমরা স্কুল-কলেজের যেতে অনেক কষ্ঠ হয়। ডাস্টবিনের ময়লার স্তুপ রাস্তায় মধ্যখান পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ায় রাস্তা দিয়ে হেটে যেতে প্রতিনিয়ত দূর্ভোগে পড়তে হয়।
উত্তর বাজারের ব্যবসায়ী আতিকুর রহমান, মঞ্জিল মিয়া জানান, সারা বছর যেমন তেমন রমজানেও ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার না করায় রোজদার মানুষকে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ঈদের কেনা-কাটা শুরু হলে ভোগান্তি আরও বাড়বে।
কুলাউড়া পৌরসভার ময়লা আবর্জণা পরিস্কারের জন্য দুটি ট্রাক রয়েছে। বড় অঙ্কের বাজেট বরাদ্ধ রাখা হয়। নিয়ম অনুযায়ি ময়লা আবর্জনা রাতে পরিস্কার করার কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। দিনের বেলায় ময়লা পরিস্কার করার কারণে দুর্গন্ধ বেশি ছড়ায়। নবনির্বাচিত মেয়রের কাছে ময়লা পরিস্কারের ব্যাপারে মানুষের প্রত্যাশা ছিলো বেশি। মানুষ একটি পরিচ্ছন্ন নগরি আশা করেছিলো। কিন্তু ১ বছরের মাথায় মানুষের সেই আশা হতাশায় পরিণত হয়েছে।
কুলাউড়া পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব শফি আলম ইউনুছ জানান, ময়লা-আবর্জনাগুলো পরিষ্কার করা হচ্ছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জনদূর্ভোগ লাঘব করা হবে।
মন্তব্য করুন