(ভিডিওসহ) কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুস শহীদ ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মৌলভীবাজারে প্রথম উঠান বৈঠক করলেন

January 27, 2024,

স্টাফ রিপোর্টার॥ ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষকদের সঙ্গে প্রথম উঠান বৈঠক করলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুস শহীদ এমপি। শনিবার ২৭ জানুয়ারি দূপুরে শ্রীমঙ্গল উপজেলার সদর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও এলাকার কৃষক ইন্দুভূষণ পালের বাড়িতে উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কৃষিমন্ত্রী। উঠান বৈঠকে তিনি বেশ কয়েকজন স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে তাদের সমস্যার কথা শুনেন।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু তালেব এর সভাপতিত্বে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক সামসুদ্দিন আহমদ, সিনিয়র কৃষি কর্মকর্তা নিলুফার ইয়াসমিন, কৃষি বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা সহ অন্যান্যরা।
মন্ত্রী কৃষকদের কাছ থেকে কথা শুনেন বলেন, কৃষকদের সঙ্গে উঠান বৈঠক করে স্থানীয় পর্যায়ে কি কি সমস্যা আছে, তা জেনে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে লক্ষ্য-এক ইঞ্চি জমিও পতিত রাখা যাবে না, তা অর্জন করে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করব এবং দেশকে খাদ্যে উদ্বৃত্ত করব।
কৃষকদের উদ্দেশে মন্ত্রী আরও বলেন, আপনারা আরো বেশি করে ফসল ফলান। সরকার আপনাদের পাঁশে আছে, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সকল স্তরের কর্মকর্তারা আপনাদের পাঁশে আছে। আপনাদেরকে প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতা প্রদান করা হবে। উৎপাদন আরও বাড়াতে পারলে কারো পেটে ক্ষুধা থাকবে না, খাদ্য আমদানি করতে হবে না, বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করতে হবে না।
বৈঠকে কৃষক ইন্দু ভূষণ পাল, উত্তম দেবনাথ, আতর আলী, মহিববুর রহমান প্রমুখ তাদের সমস্যা ও দাবি তুলে ধরেন। কৃষকেরা গভীর নলকূপ স্থাপন, খাল খনন, সুইসগেট সংস্কার ও নদী-জলাশয় দখলদার মুক্ত করে সেচের ব্যবস্থা, দেশি জাতের বদলে বিএডিসির উন্নত জাতের আলু বীজ সরবরাহ বৃদ্ধি, সূর্যমুখী, ভুট্টা ও সরিষার চাষ হয় না এমন জমির জন্য লাউ, কুমড়া, আলু চাষে প্রণোদনা, ভরা মৌসুমে আনারস, লেবু ন্যায্যমূল্য পেতে শ্রীমঙ্গলে জুস ফ্যাক্টরি ও কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রতিষ্ঠান স্থাপনের দাবি জানান।
বৈঠকে প্রায় পাঁচ শতাধিক কৃষক উপস্থিত ছিলেন। আমন ধান কাটায় এই গ্রামের জমি এখনো পতিত পড়ে আছে কেনো, কৃষকদের নিকট সে বিষয়ে বিস্তারিত শুনেন কৃষিমন্ত্রী।
অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকরা কৃষি জমির উর্ভর মাটি ইটভাটায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, কৃষি জমি থেকে যাতে কোন চক্র মাটি কাটতে না পারে এবং বালু তুলে কৃষি জমি নষ্ট না করতে পারে। সেজন্য সরকার থেকে প্রতিটি উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও হারভেষ্টার ও রাইসপ্লান্টারের মতো কৃষিকাজে ব্যহৃত পাওয়ার টিলার ও শেলো ইঞ্জিনে কৃষকদের ভুর্তুকি দেয়ার বিষয়ে সরকারে কোন পরিকল্পনা রয়েছে কিনা সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সরকার ভতূর্কি দিয়ে সার, চাল ডাল দিতে পারলে, কৃষকের উন্নয়ণ ও কৃষি সম্প্রসারনে যন্ত্রপাতি ব্যবহারে ভতূর্কির বিষয়ে চিন্তা ভাবনাও করছে সরকার।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com