কোন আতংকই বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়নি ঈদের আনন্দ : উপভোগে মাধবকুন্ডে পর্যটকের ঢল
আবদুর রব॥ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া একাধিক জঙ্গি হামলার আতংক বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়নি ঈদের আনন্দ উপভোগের ক্ষেত্রে। ঈদ আনন্দে গা ভাসিয়ে দিতে বৃহস্পতিবার থেকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি মাধবকু- জলপ্রপাতে পর্যটকের সমাগম বাড়তে থাকে। প্রকৃতি কন্যা মাধবকু-ে যেন তিল ধারনের জায়গা খালি নেই।
অভ্যন্তরীণ রাস্তা ভাল থাকা স্বত্ত্বেও মুল জলপ্রপাত থেকে আট কিলোমিটার দুরে কাঠালতলী বাজারে ট্রাফিক পুলিশ দুরদুরান্তের পর্যটকবাহী বাস/কোষ্টার আটকে দেয়ায় নারী ও শিশু পর্যটকদের মারাত্মক দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। স্থানীয় অটোরিকশা চালকরা পর্যটকদের নিকট থেকে মাত্রাতিরিক্ত ভাড়া আদায় করেছে।
দেশের অন্যতম আকর্ষণীয় জলপ্রপাত মাধবকুন্ডে, দিগন্ত বিস্তৃত সবুজ চা বাগান, আকাশস্পর্শী পাথারিয়া পাহাড় ও নয়নাভিরাম হাকালুকি হাওর পর্যটকের মন ও দৃষ্টি কেড়ে নিচ্ছে। বয়সের ভেদাভেদ ভুলে ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে পড়েছে প্রতিটি প্রাণে।
সরেজমিনে জানা যায়, ঈদের দিন থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মাইক্রোবাস এবং বাস বোঝাই করে মাধবকুন্ড জলপ্রপাতে ভিড় জমান ভ্রমণপ্রিয় মানুষেরা। লোকে লোকারণ্য মাধবকুন্ড ইকোপার্ক এলাকা। পর্যটকের আগমনে হাসি ফুটে উঠেছে পর্যটন এলাকার ব্যবসায়ীদের মাঝে।
ইজারাদার সূত্রে জানা গেছে, ঈদের দিন বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত মাধবকু- জলপ্রপাতে প্রায় ২৫ হাজার পর্যটকের আগমন ঘটেছে। এবার ঈদ বর্ষাকালে হওয়ায় ঈদের ছুটিতে পর্যটকের বেশি ভিড় হচ্ছে। এছাড়া পর্যটকদের চিত্ত বিনোদনের জন্য পর্যটন কর্পোরেশনের নির্মাণ করা হাতি, পেঙ্গুইন, মৎস্যকন্যা, বাঘ, ভালুক, বক, ঈগল পাখি, কুমির, বানর ইত্যাদির ভাষ্কর্য বিভিন্ন বয়সী দর্শনার্থীকে আকৃষ্ট করেছে।
সিলেটের গোলাপগঞ্জ থেকে বেড়াতে আসা নর্থ ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাখাল দাস বলেন, ‘আজই গোলাপগঞ্জ থেকে এসেছি। জলপ্রপাত দেখে ভালো লাগলেও তীব্র যানযটের কারণে অনেক জায়গা পায়ে হেঁটে আসতে কষ্ট হয়েছে।’ কলেজ শিক্ষার্থী এমদাদুর রাজ্জাক রাব্বি, মোর্শেদ আহমদ বলেন, ঈদের ছুটিতে বন্ধুরা মিলে মাধবকুন্ডে বেড়াতে এসেছেন। এখানকার পাহাড় ও প্রকৃতি দেখে খুব ভালো লেগেছে।
বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান শনিবার বিকেলে জানান, মাধবকু- জলপ্রপাতে আগত পর্যটকদের নিরাপত্তায় পর্যটন পুলিশসহ সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছে। পুলিশেল এ বিশেষ নজরদারী আগামী এক সপ্তাহ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন