কোভিড-১৯ পরবর্তী বিশ্ব ও বাংলাদেশ

April 30, 2020,

সাদেক আহমেদ॥ এ লেখাটি যখন লেখছি তখন ২৯শে এপ্রিল বিরাট এক গ্রহনু পৃথিবীর দিকে হিমালয়ের সমান আছড়ে পড়ার কথা ছিল। যা নিয়ে গত ৫ বছর ধরে নাসা গবেষনা করে জানিয়েছিল মাত্র ১% পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে পৃথিবীর বৃকে আছড়ে পড়ার এমুহুত্বে একটা কথা আমি বলে ফেলি আমেরিকা মহাকাশ নিয়ে গবেষনা করে কিন্তু তাদের জমিনে নিইওয়র্ক ও অন্যান্য রাজ্যগুলাতে করোনা চীনা থেকে এসে কয়েক হাজার মানুষের জনা কেরে নিচ্ছে। এ ব্যাপক ক্ষতি বা পূর্বাবাস কেন তাদের ওয়ার্ল্ড ওয়াড ইনটেলিজেন্স তাদেরকে জানায়নি। কিন্তু করোনা পৃথিবীকে ও সকল শক্তিশারী দেশকে পর্যুদষ্ট করেছে এটা কি প্রাতিতিক প্রতিশোধ।
চীন ব্যপক ভাবে ওয়ানে পশুপাথি, শুকর, কুকুর, বিড়াল, সাপ, ব্যাঙ, বাদুর হত্যা করে দেদারসে তারা প্রতিনিয়ত খেয়েছিল। এষ্টেলিয়ার আমার ছেলে থাকে। তার নিকট হতে শুনি যে, অষ্টেলিয়ায় প্রাকৃতিক ভাবে ক্যাঙ্গারু, গরু উট এবং আরো অনেক প্রানী তাদের বনভুমিতে নিভিগ্নে চলাচল করতে অষ্টেলিয়া সরকার সমসময়ই সর্তকর্তা অবলম্বন করে তাই তারা চীনকেও পশু পাখি হত্যা না করার জন্য জোর তাগিদ দিচ্ছে। আজ এশিয়া গন্ডি পেডিয়ে আমেরিকা ইউরোপ পর্যন্ত লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রান কেড়ে নিচ্ছে। এ কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে কোন বিশ্ব শক্তিধর ভেটো পাওয়ারের দেশ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক ডাকে নি। যেকে বি হবে? কারণ তারা নিজেরাই অসহায় ২০১৯ সালে বিশ্বের সাময়িক বাজেট নিয়ে চমৎকার একটি প্রতিবেদন আল জাজিরা টিভিতে দেখানো হয়। তা স্টকহোম আন্তজার্তিক পিস রিচার্জ ইন্সটিউটের সূত্রে তাা দেখায় যে, সাময়িক ব্যায়ের দিকে আমেরিকা ছিল প্রথম, দ্বিতীয় চীন, তৃতীয় ভারত আর চতুর্থ রাশিয়া ও পঞ্চশ সৌদি আরবিয়া। আমার প্রশ্ন আগামী ২ বছর যদি তারা সামরিক ব্যায় ষ্ট্রেটেটেজিক কন্ট্রোল মেইনটেন্ট করে পারস্পরিক আন্তজার্তিক সম্পর্কে নতুন ধারায় বিশ্বে বন্ধতের সোপন উম্মোচন করতে পারলে পৃতিভীর মানুষ তাহলে ক্ষুদা ও দারিদ্র থেকে বাঁচতে পারবে। কারণ নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা কোন দিকে মোড় নিবে তা একমাত্র আল্লাহ্ তায়ালাই জানেন। যিনি সব মহামারি থেকে রক্ষা করার মালিক। তিনি মহমানুর রাহীম সেই সঙ্গে তাঁহার একটি নাম কাহ্হার যার অর্থ মহা শক্তিদাতা।
আজ সিরিয়া, কাশ্নির, ফিলিস্তিন ইত্যাদি দেশের নির্যাতিত মানুষ কর্তৃক হত্যার কথা কেন আজ খুব মনে পড়ছে। তাদের শিশুদের কান্না আকাশ বাতাশে ধ্বেিত হয়ে হয়ত আল্লাহ আরশ পর্যন্ত পৌছেছিল। হয়েতো চতুর্থ আসমানের অবস্থানরত হজরত ইশা (আঃ) ও প্রত্যক্ষ করেছিলেন। সাড়া বিশ্বে আমাদের প্রতিবেশির চক্রান্তে ইসলাম ফোবিয়া ইসলামকে নিয়ে মিথ্যা অপবাদ, এই করোনার পরে ভারতে মুসলিমদের জন্য তাদের হাসপাতাল মুদি সরকার বন্ধ করল এই কাজটি তারা ভাল করলো। তারা চক্রান্ত করে বেশ এগিয়ে ছিল।
এখন তা থেকে তারা সড়ে এসে করোনার ভয়ে আল্লাহ এবং নবী রাসুলদের নাম নিতে শুরু করেছে স্বয়ং মার্কিন বলয়ে হোয়াইট হাউসেও পবিত্র কাবা ঘরের ছবি ফ্রেমে করে প্রেসিডেন্ট ট্রামকে লাগাতে দেখা গেছে। আর রাস্তা ঘরে কোরআন ও নবী রাসুলদের হাদিস নিয়ন সাইনর মাধ্যমে আমেরিকার রাস্তা ঘারে লাগানো হচ্ছে। আর তারা বুঝে গেছে যে, আল্লাহর শক্তিই বড় শক্তি। তাই ভবিষতে বিশ্বের সকল রাষ্ট্রে ইসলামের পুনঃ জাগরন হবে বলে আমার বিশ্বাস। আর বাংলাদেশে গত কয়েক মাস ধরে যা চিত্র পথে ঘাটে, অলি, গলিতে দেখা গেছে মাইকে জোর জোর শতবর্ষী বন্ধবন্ধু ভাষনের চিৎকার, এখানেও তাদের বাজেট ছিলো ৫শত কোটি টাকা। যে কোন কিছুতে সীমা লঙ্ঘন করা উচিৎ না। আমেরিকা যেখানে আল্লাহ রাসুলে নাম নিয়ে নিয়োন সাইনে পথে ঘাটে লাগাচ্ছে সেখানে গার্মেন্ট খুলে দিতে বাধ্য হয়েছে অর্থনৈতিক চাঙ্গা রাখতে কিন্তু মসজিদ খোলা হচ্ছে না কেন? এবং রাজপথে আগের ছবি গুলো দেখতে পাওয়া যায় তাহলে কেমনে চলবে। প্রবাসেও আমাদের বাংলাদেশী ভাই বোন করোনার কারণে মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের পরিবারের কাছে প্রধানমন্ত্রী শোকবার্তা সমবেদনা জানাতে পারবেন। এতে তার ইমেজ আরো বাড়তো। সুইযেন এর প্রধান মন্ত্রী তার কাছে গার্মেন্টেস এর অর্ডার ঠিক রাখবেন বলেছেন। এটাও আনন্দের কথা এর পরে ইউরোপ আমেরিকা অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জে আমাদের পাশে থাকবে ইনশাল্লাহ।
১৯৩০ সালে বিশ্ব মন্ধা ও দুবিখ্যের পর যখন মানুষ লক্ষ লক্ষ মারা যাচ্ছিল এর কয়েক বছর পর ২য় বিশ্ব যুদ্ধ আসল তখন কার হিটলারের এক নায়ক তন্ত্র একা বিশ্বকে যুদ্ধের দার প্রান্তে নিয়ে যেয়ে এর পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট মিত্র শক্তি জোট এক হয়ে আমেরিকা নেতিতেৃ যুদ্ধে পরিসমাপ্তি হয়। এখন কভিট-১৯ পরবর্তী নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা বিশ্ব মানুষের ক্ষুদা নিবারনের কোন-দেশ বিশ্বকে নেতিত্ব দিবে বা বুঝা মুশকিল। ভারত এশিয়া নেতিত্ব নিতে উঠে পরে লেগেছে। আজ কট্টর হিন্দুতা বাদী মুদির বিজিপির হাতে শাসন ক্ষমতা। ভারতে গান্দীজীর অহিংস নীতির কংসের পশ্বিম বঙ্গের মমতাময়ী মমতা দিদি কেহ তাকে সাপট করছে না।
বাংলাদেশে মনে পড়ে যায় শাহবাগে দীর্ঘ বছর রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া কোথায় সে ডাঃ ইমরান সরকার। সে কিশোর সংখ্যা বুদ্ধিবীজি বছর পর বছর গুরুত্ব পূর্ব চৌরাস্তা বন্ধ করে ছাত্র শিক্ষক শাহবাগের বন্ধবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ও বারডেম হাসপাতালের শতশত রোগিদের কষ্ট দিয়েছেন। আজ সে কোথায় এ মহামারী রোগের সময় ডাঃ ইমরান সরকার দাওয়াই কোথায়? অনেক কষ্ট দিয়েছিল মানুষকে এবং তার বুদ্ধিজীবিরা কোথায় তাকে প্রতিদিন তার মঞ্চের কাছে গিয়ে নমোঃ নমোঃ করতে দেখা যেতো। আর একটা কথা না বলে পারচ্ছি না গত বছর মেধাবী ছাত্র ছাত্রীরা তাদের মেধা কোটা বাড়ানোর জন্য রাজ পথে নেমেছিল কত বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ছাত্রীকে পরিবহণ শ্রমিকরা তার নিদেশে হাতে লাঠি ছোটা, হকিষ্ট্রিক, চাপাতি নিয়ে মারাত্ম জখম করে রাজপথ থেকে সরিয়ে দেয় আজ পরিবহন শ্রমিকরা না খেয়ে আছে কারণ পরিবহণ বন্ধ। তাদের কল্যান তহবিলে টাকা কোথায় এ নিয়ে ফেইস বুকে প্রশ্ন উঠতেছে? নিশ্চয় এ ব্যাপারের তাদের মন্ত্রী ও নেতারা জানেন আমি এব্যাপারে কোন মন্তব্য করব না এ হলো আল্লাহ বিচার আল্লাহ হাফেজ।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com