“গণতন্ত্র, সুশাসন ও মানবাধিকারের আজীবন লড়াকু নির্ভীক সৈনিক জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় নেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদঃ এখন যাঁর এগিয়ে যাবার পালা” -: শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা :-
সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ। বাংলাদেশের সমকালীন সমাজ ও রাজনীতির ইতিহাসে একটি বহুল আলোচিত নাম। আলোড়িত নাম। একজন আত্ম প্রত্যয়ী, আত্ব বিশ্ববাসী ব্যক্তি ও ব্যক্তিত্ব। কুলাউড়ার কৃতি সন্তান। বৃহত্তর সিলেটের গর্ব ও গৌরব। বাংলাদেশের অহংকার। সেই ষাটের দশক এর শুরু থেকে বাল্য কিশোর কালেই স্কুলের ছাত্রাবস্থায় স্বদেশ প্রেম ও স্বাদেশিকতায় উদ্ভোদ্ধ হয়ে দেশও জনসেবার খাতায় নাম লেখান। কুলাউড়ার একটি সম্ভান্ত শিক্ষিত পরিবারের সন্তান সুলতান এর পিতা শিক্ষিত ও সরকারি চাকুরে। ভ্রাতাগণ ও উচ্চ শিক্ষিত। কর্ম জীবনে সু-প্রতিষ্ঠিত। পারিবারিক পিছুটান না থাকায় সুলতান সার্বক্ষনিক রাজনীতিবিদ ও সমাজকর্মী হিসাবে নিজেকে উৎসর্গ করেন। দেশে তখন বাঙ্গালি জাতীয়তা বাদী আন্দোলনের জোয়ার। আন্দোলনের একচ্ছত্র নেতা বঙ্গঁ বন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। একজন নির্ভীক, নির্লোভ মুজিব সৈনিক হিসাবে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসাবে সুলতান এর হাতে খড়ি। তার দেশপ্রেম, সাংঘটনিক দক্ষতা, বাগ্নিতা, শিষ্টাচার, সৌজন্যবোধ ও বিণয়াচরনে তৃণমূল থেকে কেন্দ্রে তর তর করে এগিয়ে গেছেন। দায়িত্ব পেয়েছেন। নেতৃত্ব দিয়েছেন। ছাত্রলীগের সংঘটক হিসাবে সুলতান মনসুর কুলাউড়া, মৌলভীবাজার, সিলেট, ঢাকা, বাংলাদেশের সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি। হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ডাকসুর ভিপি। ছাত্রলীগ থেকে আওয়ামীলীগে যোগ দিয়ে দলের কেন্দ্রীয় সাংঘটনিক সম্পাদক হয়েছেন। দলীয় মনোনয়নে নিজ নির্বাচনী এলাকা কুলাউড়া দুই থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য হয়েছেন। ছাত্রলীরে সভাপতি, ডাকসুর ভিপি আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় সাংঘটনিক সম্পাদক এমন গুরুত্বপূর্ণ পদ পদবী বৃহত্তর সিলেটের কোন রাজনীতিবিদ এর ভাগ্যে ঝুটে নি। এত সব পদ পদবী, আন্তরিকতার সাাথে দায়িত্ব পালন তাঁর কাছেই মানায়। সে কাল থেকে এ কাল পর্যন্ত সকল কালেই রাজনীতিবিদ সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদই একমাত্র সৌভাগ্যবান ব্যক্তি যিনি এত সব গুরুত্বপূর্ণ পদ পদবী আন্তরিকতা, সততা, বিশ্বস্থতা ও জনপ্রিয়তার সাথে পালন করেছেন। চান্দাবাজি, ধান্দাবাজি, কালোবাজারি, মুনাফা খোরি, মওজুদ দারি, মুদ্রাপাচার, বাণিজ্যায়ন, দূবৃত্তায়ন ও ভ্রষ্টাচারের জোয়ারের মাঝে সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ একজন ব্যতিক্রমী ব্যক্তি ও ব্যক্তিত্ব। তিনি একজন মিঃক্লিন। কলংকের কালি মাতাকে স্পর্শ করতে পারেনি। ঐতিহ্যবাহী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সর্ব্বোচ্চ ডিগ্রী অনার্স মাস্টার্স নিয়ে চাকরিজীবি পরিবারের সন্তান হিসাবে লোভনীয় সরকারি চাকরির সুযোগ থাকাসত্বেও সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ গভনমেন্ট অফিসার হন নি। সাধারণ জনগণের সার্বক্ষনিক সেবায় থেকে গেছেন।
ব্যক্তি সুলতান মনসুর তাঁর অপূর্ব, অমায়িক ও মধুর ব্যবহার ও বিনয়াচরনের কারণে দলত্রর বাহিরে ভিন্ন দল, মতাবলম্বী ও সর্ব মহলে গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা ছিল। আছেও। একজন আধুনিক গণতন্ত্রী হিসাবে পরমতের প্রতি সহানুভূতি ও শ্রদ্ধাশীল সুলতান মোহাম্মদ মনসুর। এক্ষেত্রে তিনি বিশ্ব খ্যাত দার্শনিক ভলতেয়ার এর ঐতিহাসিক উক্তি “আমি আপনার মতের সঙ্গেঁ একমত না হতে পারি কিন্তু আপনার মত প্রকাাশে আমার জানটা দিতে পারি” এর সমর্থক।
ফখরুদ্দীন আহম্মদ এর নেতৃত্বাধীন তত্তাবধায়ক সরকার বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে হানাদেয়। সাজানো বাগান তছনছ হয়ে যায়। অনেকে নয় ছয়ে জড়িয়ে যান। স্পষ্টবাদি, সত্যবাদি, সাহসী, দুঃসাহসী মুজিব সৈনিক সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ নিজ বিবেকের কাছে পরিচ্ছন্ন থেকেছেন। সত্যও ন্যায়ের পথে হেটেছেন। অন্যায় ও অসত্যের কাছে মস্তক অবনত করেন নি। মোসাহেব হন নি। ভাড়ামি ও করেন নি। দুই হাজার আট সালে প্রিয় দল আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পান নি। দলের পদ থেকেও বঞ্চিত হন। তবুও শুধুমাত্র ক্ষমতা ও প্রাপ্তি যোগের প্রত্যাশায় বিদ্রোহী প্রার্থী হন নি। তাঁর প্রতি দলের অবিচারও অবহেলা নিরবে সহ্য করেছেন। লাগামহীন বক্তব্য দেন নি। অধৈর্য্য হননি। দল সরকারে একাকার হয়ে গেলে সুশাসন অবহেলিত হলে মিডিয়ায় প্রতিবাদ করেছেন। নিজের অবস্থান জানিয়ে দিয়েছেন। চৌদ্দ সালের পাঁচই জানুয়ারী নির্বাচনে দলের মনোনয়ন চান নি। একটি অবাধ, নিরপেক্ষও গ্রহণ যোগ্য নির্বাচনের জন্য জাতির সঙ্গেঁ একাত্বতা ঘোষনা করেছেন। নিজ নির্বাচনী এলাকায় দারুন ভাবে জনপ্রিয় সুলতান মনসুর পাঁচই জানুয়ারীর ভোটার বিহীন নির্বাচনে স্বতন্ত্র কিংবা যে কোন ছোট দলের মার্কা নিয়ে সংসদ নির্বাচনের প্রতিদ্বন্ধিতা করলে বিজয় ছিনিয়ে আনা তার জন্য কোন কঠিন কাজ ছিল না, কিন্তু সুলতান মনসুর নিজের পদ পদবীর চাইতে দেশে একটি প্রতিনিধিত্বশীল গণতান্ত্রীক সমাজ প্রতিষ্টায় গুরুত্ব দিয়েছেন। সর্ব্বশেষ দেশও জাতির ঐতিহাসিক প্রয়োজনে আজীবন লড়াকু সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ, আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন
আইনজীবি সংবিধান প্রণেতা ডক্টর কামাল হোসেন এর নেতৃত্বে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্টার লক্ষ্যে জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট গঠনে বলিষ্ট ভূমিকা ও অবদান রাখেন। জেএসডির সভাপতি ডাকসুর আরেক সাবেক ভি.পি. স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলক আসম আব্দুর রব এবং ডাকসুর আরেক সাবেক ভি.পি. আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না মিলে জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট গঠন করেন। বি.এন.পি. এবং বঙ্গঁ বীর কাদের সিদ্দিকীর কৃষক শ্রমিক জনতালীগ ঐক্য ফ্রন্টে যোগ দেয়ায় ষোল কলায় পূর্ণ হয়। জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট ধানের শীষ প্রতীকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শাসকদল আওয়ামীলীগ এবং মহাজোটকে নির্বাচনী চ্যেলেঞ্জ ছুড়ে মারায় বাংলাদেশে ভোটের রাজনীতি এখন সরগরম। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আজীবন গণতন্ত্রী সুলতান মনসুর এর স্বপ্ন এখন সাকুুল্যের দ্বার প্রান্তে। নিজ নির্বাচনী এলাকা মৌলভীবাজার দুই কুলাউড়া থেকে ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী হিসাবে ধানের শীশ নিয়ে লড়বেন কুলাউড়ার মাটি ও মানুষের প্রিয় নেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ। কেন্দ্র থেকে মনোনয়ন নিয়ে কুলাউড়া এলে রেল স্টেশনে জনতার ঢল নামে। বি.এন.পি ও বিশ দলীয় ঐক্য জোটের নেতৃবৃন্দ সানন্দে স্বাগত জানান সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদকে। বি.এন.পি. প্রার্থী এডভোকেট এ.এন.এম.আবেদ রাজা এবং জাতীয় পার্টির (জাফর) কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক সাংসদ নবাব আলী আব্বাছ খাঁন এডভোকেট তাকে স্বাগত জানানো। শুভেচ্ছা জানান। সমর্থন জানান।
হযরত সৈয়দ শাহ মোস্তফা (রঃ) মাজার, মরহুম অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম.সাইফুর রহমান এবং মরহুম সমাজ কল্যান মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মহসীন আলীর কবর জিয়ারত ও জেলা বি.এন.পির সভাপতি সাবেক সাংসদ এম.নাসের রহমান এর সঙ্গে সাক্ষাত শুভেচ্ছা ও মত বিনিময় এর মাধ্যমে মৌলভবিাজার জেলার রাজনৈতিক অঙ্গঁনে নিজের অস্তিত্ব স্বগৌরবে ঘোষনা করলেন জানান দিলেন জননেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ। সগৌরবে তিনি জানিয়ে দিলেন মহান মালিকের মেহেরবানীতে তিনি আছেন, থাকবেন, তাকে রাজনীতি থেকে বিছিন্ন নিশ্চিন্ন করা যাবে না।
ব্যক্তিগত জীবনে ও সুলতান একজন আদর্শ স্বামী। সফল পিতা দায়িত্ববান, অভিভাবক। মরমি কবি হাছান রাজার গৌরবোজ্জল উত্তরাধিকার সুনামবাহী সুনামগঞ্জের কৃতি জমিদার কন্যা অনীতা ফাহমিন এর সঙ্গেঁ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন যোগ্য জামাতা সুলতান মনসুর। সুলতান অনীতার সুখময় দাম্পত্য জীবনের ফলও ফসল মহান আল্লাহর দান তিন কন্যার জনক জননী সুলতান অনীতা দম্পতি। পিতার মত মেধাবী কৃতি কন্যাগণ পিতার প্রিয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চ ডিগ্রী নিয়েছেন। নিচ্ছেন। জ্যেষ্টভ্রাতা ডা.মাহবুব আহমদ সরকারি উচ্চ পদ থেকে অবসর গ্রহণ করে সিলেটে বসবাস এবং জনসেবারত। ভগ্নিপতি বাংলাদেশের বিশিষ্ট চিকিৎসাবিদ, একজন প্রফেসর। দীর্ঘ দেহী, উজ্জল ফর্সা চেহারা, একমাথা, ঝাকড়া বাবরি চুল, আকর্ষনীয় গোফ সমেত এয়ত কাতি বারোমসি সাদা পাজামা পাঞ্জাবি পরিধানকারী সুলতান মনসুর এর মুখে একচিলতে মুচকি, মিষ্টি হাসি লেগে আছে সবসময়। ফর্সা চেহারা আর সাদা কাপড়ের সুলতান মনসুর ও একজন সহজ সরল সাদা মনের মানুষ। তার মেধাও মনন, প্রজ্ঞাও পান্ডিত্য, ইমান ও আমলের কারনে তার ফর্সা চেহারা ও সাদা পোষাকের মত তিনিও একজন সৎ মানুষ। মহৎ মানুষ। সাদা মনের মানুষ।
ষাটের দশকের শুরুতে তাত্বিক সিরাজুল আলম খান এর ভক্ত হিসাবে নিউক্লিয়াস কর্মি এবং মৌলভীবাজার কলেজ শাখা অতঃপর মহকুমা শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলাম। সে সময় রাজনৈতিক সামাজিক কারনে তার সঙ্গেঁ আমার পরিচয় সম্পর্ক ও সখ্যতা। এই দীর্ঘ পথপরি ক্রমায় আমাদের চলার পথ মত ভিন্ন হয়েছে। মত পার্থক্য হয়েছে। কিন্তু মনোমালিন্য হয়নি। আমি আমার গ্রামের বাড়ীর গোরস্থানে পিতা মাতার কবরের পাশে চীর শষানে শায়িত হওয়ার প্রস্ততি নিচ্ছি। সুলতান মনসুর ও ষাটের কোঠায়। পক্ককেশী। তার সঙ্গে আমার শৈশব কালের সম্পর্কের মতই মধুরও চমৎকার আছে। সুলতান মনসুর আমাকে সে কাল থেকে এ কাল পর্যন্ত অগ্রজের মত ভক্তি শ্রদ্ধা করেন। ভাই বলেন, এই আমার বড় পাওনা। তার জন্য নামাজ আদায় করে দোয়া করি। সুস্বাস্থ দীঘাস ও কল্যান কামনা কবি যা একজন জেষ্টভ্রাতা পিতার পবিত্র দায়িত্ব।
আজীবন আপাদমস্তক রাজনীতিবিদ সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ এর সুস্বাস্থ দীর্ঘায়ূ এবং পারিবারিক কল্যান কামনা করি। দেশ ও জাতির ঐতিহাসিক প্রয়োজনে সুলতান মোহাম্মদ মনসুর দের এখন এগিয়ে যাবার পালা।
লেখক:- সিনিয়র এডভোকেট, হাইকোর্ট, মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক সভাপতি, মৌলভীবাজার প্রেসকøাব]
মন্তব্য করুন