গবাদি পশুর রোগের প্রাদুভার্ব কমলগঞ্জে গলাফুলা রোগে দুই মহিষ ও দুই ছাগলের মৃত্যু
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি॥ কমলগঞ্জ উপজেলার মুন্সিবাজার ইউনিয়নের রূপষপুর গ্রামে গলাফুলা রোগে দুই মহিষ ও ধূপাটিলা গ্রামে পেটফুলা রোগে দুই ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে গরু-মহিষ ও ছাগলের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। ফলে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন গরু, মহিষ পালকরা।
জানা যায়, এক সপ্তাহে গলাফুলা রোগে রূপষপুর গ্রামের মাসুক মাস্টার ও আব্দুল আলীর দুইটি মহিষ গলাফুলা রোগে মারা গেছে। এছাড়াও ঐ এলাকায় গরু মহিষের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। ধূপাটিলা গ্রামে ছমরু মিয়া আক্রান্ত ৯টি ছাগলের মধ্যে দুইটি ছাগল মারা গেছে। ছাগলের পেট ফুলা, পেট ব্যাথা, সর্দি, জ্বরসহ নানা রোগের প্রাদুর্ভাব রয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় গরু ও বাছুরের মধ্যেও রোগব্যাধী দেখা দিয়েছে বলে কৃষকরা জানান। তবে জনবল স্বল্পতার কারনে মাঠ পর্যায়ে প্রাণি সম্পদ বিভাগ থেকে গবাধি পশুর পর্যাপ্ত চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।
কমলগঞ্জ উপজেলার হাঁস মুরগি গবাদি পশুর পল্লী অঞ্চলের চিকিৎসক সোনাবান বিবি গবাদি পশু ও হাঁস মুরগির মৌসুমী রোগের প্রকোপের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, একজন মাঠ সহকারী কর্মকর্তার দ্বারা চিকিৎসা সেবা প্রদান কষ্টকর। প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে মাঠ সহকারী কর্মকর্তা থাকলে সহজেই হাঁস মুরগী ও গবাদি পশুর চিকিৎসা সেবা প্রদান করা যেত। তিনি বলেন, বৃষ্টিপাত শুরু হলে তড়কা ও খোরা রোগে বেশীর ভাগ গবাদি পশুর বাছুর আক্রান্ত হয়। এ রোগটি দ্রুত ছড়ায় বলে একজন মাঠ সহকারী কর্মকর্তা কিভাবে তিনটি ইউনিয়ন নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন বিভাগীয় কর্মকর্তা এ দিকে সু-দৃষ্টি রেখে কমলগঞ্জে নয়টি ইউনিয়নের জন্য নয়জন মাঠ সহকারী কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া উচিত বলেও তিনি মতামত ব্যক্ত করেন।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা চিকিৎসক আব্দুল হাই বলেন, দুইটি মহিষ মারা যাওয়ার পর সেখানে ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে। তাছাড়া উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে গবাধি পশুর চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। পুরো উপজেলায় মাত্র তিনটি পদ আছে বলে তিনজন মাঠ সহকারী কর্মকর্তা নয় ইউনিয়নে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। জনবল আরও বাড়লে সঠিকভাবে গবাদি পশুর চিকিৎসা সেবা দেওয়া যাবে বলেও তিনি জানান।
মন্তব্য করুন