গ্রামাঞ্চলে দুই দিন ধরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ কমলগঞ্জে বিদ্যুৎ বিভ্রাট ॥ অতিষ্ঠ এলাকাবাসী
প্রনীত রঞ্জন দেবনাথ॥ ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ ও কুলাউড়া উপজেলা একাংশের ৪৬ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। অপরিকল্পিতভাবে বিদ্যুৎ লাইন স্থাপন, ঘন ঘন সেকশন পরিবর্তন, ফিডারে সমস্যা, ঝড়-বৃষ্টিসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রতিনিয়ত বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটছে। কয়েকদিন ধরে কমলগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিলেও ঝড়ের কারণে ১৬ এপ্রিল শনিবার বিকাল থেকে রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কমলগঞ্জ জোনাল অফিসের অধীনস্থ একাধিক গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কমলগঞ্জ জোনাল অফিস সূত্রে জানা যায়, এই অফিসের অধীনস্থ কমলগঞ্জ ও কুলাউড়া উপজেলা একাংশ মিলিয়ে ৪৬ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক রয়েছেন। এদের মধ্যে কয়েকটি চা বাগানের কারখানা, শমশেরনগর বিমান বাহিনী ইউনিট, গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন অফিস সমুহও রয়েছে। বিদ্যুৎ গ্রাহকরা জানান, গত কয়েকদিন যাবত কমলগঞ্জে ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। এর সাথে যুক্ত হয়েছে ঝড়-বৃষ্টি। এরফলে ঘন্টার পর ঘন্টা, দিনের পর দিন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে গোটা এলাকা। বাড়ি-ঘর, গাছ-বাঁশ বাগানের উপর, এলেমোলো ও অপরিকল্পিতভাবে বৈদ্যুতিক লাইন স্থাপন করায় ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। শনিবার সারাদিন বিদ্যুৎ আসা যাওয়া করলেও সন্ধ্যায় ঝড় আসার পর থেকেই সারা সম্পূর্ণ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে। রোববার সকাল ১০ টায় শমশেরনগর বাজার ও বিমান বাহিনী ইউনিটসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। তবে বাজার সংলগ্ন দু’চারটি গ্রাম ব্যতিত সকল স্থানে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। রোববার দিনের বেলাও শমশেরনগর, ভানুগাছ বাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থান সমুহে কয়েক দফা বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দেয়। ফলে বিদ্যুৎ গ্রাহকরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠছেন।
এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কমলগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম প্রকৌশলী এস, এম হাসনাত হাসান বলেন, ঝড়-তুফানের কারণে বার বার বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দিচ্ছে। ৩৩ হাজার কেভি প্রধান বিদ্যুৎ লাইনসহ বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ লাইনের উপর গাছের ডাল, বাঁশ পড়ে এ সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তবে বিদ্যুৎ কর্মীরা এসব সংস্কার করে পর্যায়ক্রমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছেন।
মন্তব্য করুন