গ্রাহকের ৫ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ বড়লেখায় সঞ্চয়ের টাকা চাইতে গিয়ে সন্ত্রাসী হামলায় আহত ৪

July 16, 2017,

বড়লেখা প্রতিনিধি॥ বড়লেখায় এনজিও সংস্থা ভিলেজ ডেভোলাপমেন্ট নেটওয়ার্ক (ভিডিএন) এর চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিমের বাড়িতে গ্রাহকের সঞ্চয়কৃত টাকা ফেরৎ চাইতে গিয়ে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের হামলায় ৪ কর্মী-গ্রাহক আহত ও ৩টি মোটর সাইকেল ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
১৫ জুলাই শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নের হাতলিঘাট গ্রামে এ ঘটনা ঘটলে থানা পুলিশ আহত ১ কর্মী ও ৩ মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে। এঘটনায় থানায় পাল্টা-পাল্টি লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, ভিডিএনের চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম ও ম্যানেজিং ডাইরেক্টর আয়াজ আলী কোম্পানীর বীমা গ্রাহকদের সঞ্চয়ের প্রায় ৫ কোটি টাকাসহ সংস্থার বহু সম্পদ আত্মসাৎ করে আত্মগোপন করেন। ভিডিএনের মাঠকর্মীরা গ্রাহকের আমানত সংগ্রহ করেন। মেয়াদপুর্তির আগেই ভিডিএনের চেয়ারম্যান ও এমডি লাপাত্তা হলে কর্মীরা শত শত গ্রাহকের তোপের মুখে পড়ে। গত শনিবার বিকেলে কোম্পানীর চেয়ারম্যান বাড়িতে আসার গোপন খবরে ভিডিএনের জুড়ী অফিস ইনচার্জ আব্দুল মতিন, কিছু মাঠকর্মী ও জুড়ী-বড়লেখার ৩০-৪০ জন গ্রাহক আমানতের ব্যাপারে কথা বলতে তার বাড়িতে গেলে আব্দুল হাকিম ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী লেলিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। তখন তার শ্যালকসহ সন্ত্রাসীরা সংঘবদ্ধভাবে ডাকাত বলে চিৎকার করে ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঠা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। ঘটনার আকস্মিকতায় যে যার মত পালিয়ে আত্মরক্ষা করে। হামলায় ৪ ভিডিএন কর্মী ও গ্রাহক আহত হয়। গুরুতর আহত এমএ সোবহানকে রক্তাক্ত অবস্থায় বড়লেখা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও অন্যদের প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়। হামলাকারীরা রহিম নামে এক কর্মীকে আটক করে মারধর ও তিনটি মোটর সাইকেল আটকে ভাঙচুর চালায়। সেই সাথে কয়েকটি মোবাইল ফোন ও পকেটের টাকা ছিনিয়ে নেয়।
ভিডিএনের জুড়ী অফিস ইনচার্জ আব্দুল মতিন জানান, এ ঘটনায় তিনি বড়লেখা থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিনটি মোটর সাইকেল, দুইটি মোবাইল ফোন ও গুরুতর আহত অবস্থায় আব্দুর রহিমকে পুলিশ উদ্ধার করে। এদিকে আহত আব্দুর রহিমের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এব্যাপারে জানতে এনজিও সংস্থা ভিলেজ ডেভোলাপমেন্ট নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিমের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে বন্ধ পাওয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
বড়লেখা থানার ওসি মোহাম্মদ সহিদুর রহমান জানান, এ ঘটনায় উভয় পক্ষ থানায় পাল্টা-পাল্টি অভিযোগ দিয়েছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com