ঘাতক ব্যাধি করনার শিকার শিক্ষানুরাগি মোহিত উদ্দিন আহমদ, সফল মান জীবন যার
মুজিবুর রহমান মুজিব॥ কোভিড নাইনটি-ভয়াবহ বৈশ্বিক ব্যাধি করনার শিকার হয়েছেন দেশ ও জাতির অনেক কৃতি সন্তান-জ্ঞানী গুনীজন। জাতীয় পর্য্যায়ে অনেক জাতির বিবেকের জীবনাবসান এর সাথে শাহ জালালের সিলেট এবং সৈয়দ শাহ্ মোস্তফার মৌলভীবাজারে ও ঘাতক ব্যাধি করনার শিকার হয়েছেন জাতির বহু কৃতি সন্তান গণ। সিলেটের মাননীয় সাংসদ মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী, সাবেক সিসিক মেয়র ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, মৌলভীবাজার জেলা পরিষদ এর চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এম.আজিজুর রহমান প্রমুখ ঘাতক ব্যাধি করনার শিকার হয়ে চীর তরে চলে গেছেন না ফেরার দেশে।
বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগি সমাজ সংঘটক চীর সবুজ ও চীর তরুন অগ্রজ প্রতিম মোহিত উদ্দিন আহমদ সু-স্বাস্থ্য ও সুঠাম শরীরের অধিকারি হলেও ঘাতক ব্যাধি করনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় সবাইকে কাঁদিয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। সিলেটের ঐতিহ্যবাহী উপজেলা বিয়ানিবাজারে এর এই সু-সন্তান সফল চাকরি জীবন শেষে স্ব-পরিবারে রাজধানী ঢাকার অভিজাত এলাকা বারি ধারায় বসবাস করছিলেন।
ব্যক্তিগত জীবনে কর্মঠ ও কর্ম চঞ্চল মোহিত উদ্দিন আহমদ সৎ, নিষ্ঠাবান, ধর্ম প্রাণ ঈমানদার, মুসলমান ও কঠোর নিয়ম শৃংঙ্খলার অনুসারী ছিলেন। দেশে প্রচলিত আইন কানুনের প্রতি ছিলেন শ্রদ্ধাশীল। দেশে করনা আক্রান্ত হলে তিনি বারিধারার বাস ভবনে স্বেচ্ছাগৃহ বন্দী-সেলফ কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। অর্থনৈতিক সংকট, পারিবারিক দায় বদ্ধতা কিছুই ছিল না তাঁর। সফল মানব জীবনের অধিকারি মুহিত উদ্দিন আহমদ দুই পুত্র, দুই কন্যা চার সন্তান এর জনক। পুত্রদ্বয় উচ্চ শিক্ষিত-কর্ম্ম জীবনে সু-প্রতিষ্ঠিত। সুপুত্র জাহাঙ্গিঁর আদিল সামদানি বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে কমোডর হিসাবে কর্ম্মরত। আলমগীর আদিল সামদানি বিলেত ফেরত ডাক্তার-নর্থ ইষ্ট মেডিকেল কলেজ, সিলেটে অর্থপেডিক্স বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এবং বিশিষ্ট বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হিসাবে খ্যাত। সুকন্যা ফারজানা আদিল নর্থ সাউথ বিশ্ব বিদ্যালয় থেকে এম.বি.এ. ডিগ্রী নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী, ফারহানা আদিল একই বিশ্ব বিদ্যালয় থেকে এম,বি,এ, শেষে বর্ত্তমানে অষ্ট্রেলিয়া বসবাস করছেন। প্রিয় জীবন সঙ্গিঁনি বেগম আনোয়ারা আহমদকে নিয়ে বারিধারার বিশাল বাস ভবনে সুখে শান্তিতে বসবাস করছিলেন মোহিত আনোয়ারা দম্পতি।
ছ’ফুটাধিক লম্বা, সুঠাম শরীর আর অসম্ভব রকমের উজ্জল ফর্সা চেহারার গোল বাটা মুখ, একমাথা কালো চুল এর অধিকারি মোহিত উদ্দিন আহমদ ছিলেন সিনেমার নায়কের মত। আশি পেরিয়েও হাতে মোহন বাঁশি না থাকলেও তাঁর মুখে সবসময় এক চিলতে মিষ্টি “গুয়ামেরি হাসে লেগে থাকত। সহধর্মিনী আনোয়ারা আহমদ ও একজন সুন্দরী, রূপসী, গুণবতি রমনী। দারুন সুখময় দাম্পত্য জীবন ছিল তাঁদের। বৃদ্ধ বয়সেও “ওল্ড ইয়াংম্যান মোহিত উদ্দিন আহমদ নব দম্পতির মত জীবন যাপন করছিলেন। বহু জাতিক কোম্পানী ওর্গানন বাংলাদেশ লিঃ এর উচ্চ পদ থেকে অবসর গ্রহণ করে ধর্ম ও সমাজ নিয়ে আনন্দময় দিন কাটছিল কর্ম্ম বীর মোহিত উদ্দিন আহমদ এর। দেশে করনা আক্রান্ত কালে প্রাথমিক ভাবেই টিকা নিয়ে সরকার ও প্রশাসন ঘোষিত নিয়ম কানুন-বিধি বিধান মেনে চলছিলেন। কিন্তু বিধি বাম, তিনি করনায় আক্রান্ত হন। তাঁকে হাসপাতালে ভর্ত্তি করা হয়। অত্যাধুনিক চিকিৎসা সেবা পাচ্ছিলেন তিনি। ইতিপূর্বে তাঁর কোন কঠিন ব্যাধি, রুগ বালাইর-বালাই ছিল না, তবুও করনার কাছে হার মানেন তিনি। বিশ সালের সতেরোই আগষ্ট আল্লাহ ও রাসুল প্রেমে ফানাফিল্লাহ কর্ম্ম বীর মোহিত উদ্দিন আহমদ মালাকুল মউত এর মুখোমুখি হন, মহান মৃত্যোর স্বাদ গ্রহণ করেন তিনি। গুলশান-বারিধারার বাসিন্দা মোহিত উদ্দিন আহমদকে দেশের অভিজাত গুরুস্থান বনানী কবরস্থানে সমাহিত করা সম্ভব হলেও তাঁর শেষ ইচ্ছানুযায়ি জন্ম ও পিতৃভূমি বিয়ানিবাজার উপজেলার কসবা গ্রামে নিয়ে আসা হয়। আজীবন ঢাকা বাসি হলেও তাঁকে তাঁর শেষ ইচ্ছা মোতাবেক ঐতিহ্যবাহী গ্রাম- কসবা-র শ্যামল মাটির কোমল বিছানায় চীর শয়ানে শায়িত করা হয়। করনা রুগীর সেবা এবং লাশ দাফনে অনেকের অনীহা থাকলেও মরহুম মোহিত এর সু-পুত্রদ্বয় মায়ের দোয়া নিয়ে বাবার লাশ ঢাকা থেকে বিয়ানি বাজার নিয়ে আসেন। বিগত ঈদুল আজহার সময় তাঁর সুপুত্র দেশের বিশিষ্ট বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক প্রফেসর ডা.আলমগরি আদিল সামদানী গ্রামের বাড়ি কসবায় কোরবানী দেন। পিতার রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়ার আয়োজন করেন।
বৃটিশ ভারতের শেষ সময় ১৯৪৩ সালে পহেলা জানুয়ারী কসবা গ্রামের এক শিক্ষিত সম্ভান্ত পরিবারে শিশু মোহিত এর জন্ম। বাল্য কৈশোর কালে বালক মোহিত সুদর্শন ও মেধাবি ছিলেন।
শিক্ষানুরাগি পিতা মুমিন আলী এবং মাতা রাবেয়া বেগম পুত্রকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে যাবতীয় ব্যবস্থা করেন। মেধাবি মোহিত ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয় থেকে কেমেষ্ট্রিতে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করে সফল শিক্ষাজীবনের অবসান ঘটান।
পাকিস্তানী শাসনামলে সুস্থ-গতিশীল রাজনীতি, সংস্কৃতির চর্চা না থাকলেও ব্যবসা বানিজ্য ও চাকরি প্রাপ্ত কঠিন ছিল না। উচ্চাকাংখী মোহিত এর উদ্দেশ্য ছিল ভালো মায়নার চাকরি নিয়ে সৎ পথে অর্থ উপার্জন মানব জীবনে প্রতিষ্ঠা লাভ করা। বিজ্ঞানে মাস্টার্স ডিগ্রীধারিদের কলেজে চাকরি কোন ব্যাপারই ছিল না কিন্তু কলেজে বেতন কম থাকায় তিনি অধ্যাপনায় যোগ দেন নি। সরকারি চাকরি জীবীদের মধ্যে প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড অফিসারদের মাসিক মায়না শুরুতে কয়েকশ টাকা থাকায় তিনি সরকারি চাকরিতে ও যোগ দিতে চান নি। বহু জাতিক কোম্পানীতে বেশি বেতন এবং ভালো সুযোগ সুবিধা থাকায় জীবন ও জগত প্রসঙ্গেঁ অধিক অভিজ্ঞ কর্ম্ম বীর মোহিত উদ্দিন আহমদ বিখ্যাত বহুজাতিক কোম্পানী-অর্গানন-এ-সিল্স অফিসার হিসাবে যোগদান করেন। তাঁর মেধা ও শ্রম, সৌন্দর্য্য ও স্মার্টনেস সবাইকে বিমুগ্ধ করত, বি-মোহিত করত। ফলতঃ তর তর করে তিনি সাফল্যের সিঁড়ি অতিক্রম করতে থাকেন। উচ্চ মায়নার নায়কচিত চেহারার অধিকারি মুহিত উদ্দিন আহমদ যেকোন নারীর স্বপ্নের পূরুষ হওয়ার কথা। বিয়ানিবাজারের মোহিত উদ্দিন আহমদ মৌলভীবাজারের জামাই হন। মৌলভীবাজার পৌর এলাকাধীন শান্তিবাগ নিবাসি বৃটিশ ভারতের খ্যাতিমান সাংবাদিক শিক্ষাবিদ মৌলভী ছনাওর আলীর কন্যা আনোয়ারা বেগম এর সঙ্গেঁ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। আনোয়ারা বেগমের জ্যেষ্ট ভ্রাতা এডভোকেট গোলাম মোস্তফা সিলেটের বিশিষ্ট আইনজীবী ও সিলেট জেলার পি.পি.ছিলেন। সিলেট শহরে নিজস্ব বাসা বাড়ির মালিক ছিলেন। ষাটের দশকে আনোয়ারা বেগম মৌলভীবাজার কলেজ আমার ক্লাশমেট ছিলেন। তাঁরই কনিষ্টা ভগ্নি মনোওয়ারা বেগম এর সঙ্গেঁ আমি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই। কথা ও কাজের মানুষ মোহিত উদ্দিন আহমদ আমার ভায়রা ভাই। আমার সহধর্মিনী তাঁর প্রিয় শালিকা। তিনি আমরা স্বামী-স্ত্রীকে খুবই ভালো বাসতেন। দুনিয়া-দারি প্রসঙ্গেঁ আমার ধারনা কম থাকায় তিনি আমাকে অধিক সংসারি বৈষয়িক ও ঢাকা বাসি হওয়ার, হাই কোর্টে প্রেকটিস করার পরামর্শ দিতেন। তিনি তাঁর প্রিয় শ্যালিকার উজ্জল ভবিষ্যত চিন্তায় সরল মনে আমাকে এসব প্রস্তাব দিতেন, আমি একটি রাষ্ট্রায়াত্ব বানিজ্যিক ব্যাংক এর পরিচালক এবং নির্ব্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান থাকাকালে অগ্রজ ও অভিবাবক এর মত আমাকে নিয়ে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় তাঁর প্লট দেখাতে নিয়ে যান, তাঁর প্লটের কাছে ব্যাংক লোন এর মাধ্যমে ডাউন পেমেন্ট দিয়ে প্লট ক্রয়, বুকিং এর পরামর্শ দেন। আশির দশকে আমি মহামান্য হাইকোর্টে তালিকা ভূক্ত হই, কিন্তু ঢাকা বাসি হই নি। ব্যাংক লোন-এ-আমার ভীতি এবং ঢাকাই যান্ত্রীক নাগরিক জীবন আমার ভালো লাগে না বলে তাঁর প্রস্তাবে রাজি হই নি, হলে আমার অনেক লাভ হত, ঢাকায় বাসা-বাড়ির মালিক হতাম, কোটিপতি থাকতাম। এখনও আমি আমার পৈত্রিক বসত বাড়ি-টিনশেডে-ই-বসবাস করি। কাদিপুরের কদম ফুল, অন্তেহরির উথালপাতাল মাতাল হাওয়ায় আবেগ আপ্লুত হয়ে, কাউয়া দিঘির হাওরের ঢেউ গুনে গুনে, দখিনা হাওয়া খেতে খেতে মেঘে মেঘে অনেক বেলা হয়ে এখন আমি জীবন সায়াহ্নে পড়ন্ত বেলায়। আমার জীবন সঙ্গিঁনী তাঁর প্রিয় শ্যালিকা মিনা অসুস্থ-শয্যাশায়ী। নব্বই’র দশকে আমার স্ত্রীর অসুস্থতা ও অস্ত্র পচারে তাঁর আন্তরিকতা মনে রাখার মত। তিনি আমাকে স-স্নেহে মুক্তার বলে ডাকতেন। তিনি ঔষধ কোম্পানীতে চাকরি করতেন বলে আমি “কবিরাজ” বলে ডাকতাম। ডাক্তার সাহেব ছাড়া ও যারা ঔষধ কোম্পানী ফার্মেসীর মালিক, মেডিকেল রিপ্রেজেন্টটিভকে আমরা বন্ধু শ্রেণীগণকে ডাক্তার সাহেব বলে ডাকতাম। আমি হাইকোর্টের সিনিওর এডভোকেটকে-তিনি যখন মুক্তার বানালেন আমি ও তাঁর পদাবনতি দিয়ে ডাক্তার থেকে কবিরাজ বানিয়ে দিলাম। তিনি মুচকি মুচকি মিষ্টি করে হাসতেন।
যদি ও তিনি দুই ডাক্তার এর পিতা। তাঁর পুত্রবধু আশা ও একজন ডাক্তার, তাঁর ডাক্তার পুত্রের শুভ বিবাহে আমি ঘটকালি করেছি মনের সুখে। বে আই সাহেব অভিজাত-সম্ভান্ত ও সৈয়দ বংশীয় সৈয়দ রফিকুল হক সাহেব প্রবীন আইনজীবি ও সাবেক সাংসদ হিসাবে ইতি পূর্বেই আমার পরিচিত। নিরহ ভদ্র লোক এই সৈয়দ সাহেব আমাকে সহোদরের মতই স্নেহ করেন। তাঁর কন্যা শিমুল এর সঙ্গেঁ ডা.আলমগীর আদিল সামদানি-বাবুর বিয়ে হয়। আমি করনা আক্রান্ত হয়ে সিলেটে নর্থ ইষ্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় আমার দু’বেলায় খাবার আসত ডা.আলমগীর-শিমুল এর বাসা থেকে। বেগম আনোয়ারা আহমদ ডাক্তার পুত্রের সঙ্গেঁ সিলেটের বাসায় আছেন। সিলেট জেলা সদর থেকে কসবা ঘন্টা খানেকের রাস্তা। আমার একান্ত ইচ্ছা ছিল “কসবা” যাব, কিন্তু অসুখে আমি এখন শয্যাশায়ী। এতদিনে তাঁর কবরের মাটি শুকিয়ে গেছে। হয়ত গাজিয়েছে ঘাস। হয়ত ফুটেছে নাম না জানা ঘাস ফুল। গুলশান-বারিধারার বাসিন্দা কর্ম্ম বীর মোহিত উদ্দিন আহমদ বিয়ানিবাজার উপজেলাধীন গ্রাম কসবায় চীর শয়ানে। হয়ত একদিন তিনি হারিয়ে যাবেন স্মৃতির গভীরে কিন্তু তিনি তাঁর ধর্ম ও দেশ প্রেম, মেধা ও মনন ঘামে ও শ্রমে অস্থায়ী ও খন্ডিত এই মানব জীবনকে সফল ও সার্থক করে তুলেছেন। তিনি ছিলেন একজন আদর্শ স্বামী, সফল পিতা, সার্থক জীবন-সফল মানব জীবন ছিল তাঁর। কসবা থেকে ঢাকায় এই দুনিয়ায় ধর্মত, আইনত সুশৃংঙ্খল ও পরিকল্পিত জীবন ছিল তাঁর। পেশাগত দায়িত্ব পালন কালে সমগ্র বাংলাদেশ ভ্রমন শেষে স্ত্রী পুত্রের জন্য রাজধানী ঢাকায় অভিজাত এলাকায় বাসা বাড়ি বানিয়ে দিয়ে নিজ জন্মভূমি “কসবায়” চীর শয়ান নিয়েছেন। কর্ম্ম বীর শিক্ষানুরাগি মোহিত উদ্দিন আহমদ এর উজ্জল স্মৃতির প্রতি সুগভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করছি, তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। মহান মালিক তাঁর বেহেশত নসীব করুন এই মোনাজাত সহ, আমীন।
[মরহুমের ভায়রা ভাই। মুক্তিযোদ্ধা। -সাবেক সভাপতি, জেলাবার ও মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব।
মন্তব্য করুন