চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গল, চা শিল্প, চা শ্রমিক ও শিক্ষা
সায়েক আহমদ॥ বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্প হচ্ছে চা শিল্প। বাংলাদেশ চা বোর্ডের তত্ত্বাবধানে জাতীয় অর্থনীতিতে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে এই চা শিল্প। প্রতি বছর প্রায় ৬১ কোটি কেজি চা উৎপাদিত হয় বাংলাদেশে এবং বিশ্বের ২৫টি দেশে চা রপ্তানী করা হয়।
বাংলাদেশে চা বাগানের মোট সংখ্যা ১৬৩টি। এর মধ্যে সিলেট বিভাগে আছে ১৪৮টি চা বাগান। আবার সিলেট বিভাগের অধিকাংশ চা বাগানই মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলায় অবস্থিত। এ জন্য শ্রীমঙ্গলকে চায়ের রাজধানী হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।
দেশে মোট ৪৭৭৮১ হেক্টর জমিতে চা চাষ করা হয়। প্রায় সকল চা বাগান ব্রিটিশ আমলে স্থাপিত হয়েছিল। তবে সম্প্রতি পঞ্চগড় জেলায় কিছু নতুন চা বাগান স্থাপিত হয়েছে। চা বাগানগুলোতে প্রায় ১২০০০০ শ্রমিক কাজ করছে, যার মধ্যে স্থায়ী শ্রমিকের সংখ্যা ৯০০০০।
মৌলভীবাজার জেলায় মোট চা বাগানের সংখ্যা ৯২টি। চা বাগানের মোট জমির পরিমাণ ১,৬০,২৬৪.৭৮ একর। বার্ষিক উৎপাদন ৩,২০,৫১,৫০০ কেজি।
বাংলাদেশের একটি অন্যতম পর্যটন এলাকা হচ্ছে শ্রীমঙ্গল। বাংলাদেশ চা বোর্ডের একটি স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিটিআরআই) এখানেই অবস্থিত। ১৯৫২ সালে বাংলাদেশ চা বোর্ড (তৎকালীন পাকিস্তান চা বোর্ড) সম্পূর্ণ নিজস্ব একটি চা গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৫৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি শ্রীমঙ্গলে পাকিস্তান চা গবেষণা স্টেশন প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে ১৯৭৩ সালে চা গবেষণা স্টেশনটি বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট পর্যায়ে উন্নীত হয়। বর্তমানে দেশের ১০টি জাতীয় কৃষি গবেষণা ব্যবস্থার অন্যতম প্রতিষ্ঠান হচ্ছে বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিটিআরআই)।
বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট এর তিনটি সাব স্টেশন রয়েছে। মৌলভীবাজারের কালিতি, সিলেট শহর এবং চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে এ ৩টি সাবস্টেশন অবস্থিত।
বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট এর কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে- ১. চায়ের উচ্চ ফলনশীল ও উন্নতমানের ক্লোন উৎপাদন ২. দুই ও বহুক্লোনাল Seedbank প্রতিষ্ঠা ৩. চায়ের Germplasm সংরক্ষণ ৪. বানিজ্যিকভাবে সস্তা ও সহজলভ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে নার্সারিতে চায়ের কলম উৎপাদন।
বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট এর উল্লেখযোগ্য অবদান হচ্ছে- ১. ১৩টি উচ্চ ফলনশীল ও উন্নতমানের ক্লোন BT1, BT2, BT3, BT4, BT5, BT6, BT7, BT8, BT9, BT10, BT11, BT12, BT13 উদ্ভাবন ২. ৩টি বাইক্লোনাল ৩. ১টি পোলিক্লোনাল বীজভান্ডার তৈরি ৪. অধিক উৎপাদনের জন্য প্রতি ইউনিটে গাছসংখ্যা প্রমিতকরণ ৫. উন্নতমানের চা প্রসেসিং কৃৎকৌশল ; চায়ের গুণগতমান অক্ষুণœ রাখার জন্য চা পরীক্ষার পরিসর প্রমিতকরণ।
বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট শুধুমাত্র চা শিল্পের অগ্রগতিতে অবদান রাখাতেই সীমাবদ্ধ রাখেনি তাদের কার্যক্রম। তাদের নিয়মিত কাজের পাশাপাশি মমতাভরে গড়ে তুলেছে সিলেট বিভাগের একটি অন্যতম এবং ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিটিআরআই উচ্চ বিদ্যালয়। ১৯৬২ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা শুরু করে এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। ১৯৭৯ সালে নি¤œ মাধ্যমিক এবং ১৯৮৫ সালে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে উন্নীত হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। ১৯৮৬ সালে প্রথমবারের মত এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে বিটিআরআই উচ্চ বিদ্যালয়। ১৯৮৬ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত টানা ১১ বছর ১০০% সাফল্য অর্জন করে তৎকালীন বৃহত্তর চট্টগ্রাম বিভাগ এবং বৃহত্তর কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডে রেকর্ড সৃষ্টি করেছিল। ক্যাডেট কলেজ ছাড়া এত ধারাবাহিক সাফল্য অন্য কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই তখন প্রদর্শন করতে পারেনি।
১৯৯৩ সালে চট্টগ্রাম বিভাগের শ্রেষ্ঠ মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে মনোনীত ও পুরস্কৃত হয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি। পরবর্তী বছর কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড এর মেধাতালিকায় ১২তম স্থান এবং ১৯৯৫ সালে সম্মিলিত মেধা তালিকায় মেয়েদের মধ্যে ১ম স্থান অর্জন করেছিল এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেরই কৃতি শিক্ষার্থী।
২০১০ সালে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক ফলাফলে সিলেট শিক্ষাবোর্ডে এসএসসি পরীক্ষায় ১৭তম স্থান, ২০১১ সালে এসএসসি পরীক্ষায় ১৪তম স্থান এবং জেএসসি পরীক্ষায় ৮ম স্থান, ২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষায় ১০ম স্থান অর্জন করে। পরবর্তীতে শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষ বোর্ডভিত্তিক ফলাফল ঘোষণাপ্রক্রিয়া স্থগিত করে। তারপরও প্রতি বছর বিটিআরআই উচ্চ বিদ্যালয় কাঙ্খিত ফলাফল অর্জন করছে।
বিটিআরআই উচ্চ বিদ্যালয়ে উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত, নি¤œবিত্ত- সকল শ্রেণি-পেশার অভিভাবকদের সন্তান লেখাপড়া করার সুযোগ পায়। চা শ্রমিকদের সন্তানরাও সুযোগ পায় লেখাপড়া করার। ১৯৫৬ সালের ২৫ নভেম্বর একজন চা শ্রমিক তৎকালীন শ্রমমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমানকে বলেছিলেন, ‘আমাদের অনেক দুঃখ আছে। কতবার কতজনকে জানালুম, আর কত বলব বাবু? আমরা যে রুজি পাই, তাতে পরিবারের খরচ কুলায় না। কাপড়চোপড় দিতে পারি না। ছেলেপিলেদের যতœ নিতে পারি না, শিক্ষা দিয়ে মানুষ করতে পারি না। আমরা যে রেশন পাই, তাতে খোরাক চলে না। সপ্তাহে দুই দিন উপবাস দিতে হয়। শীতের কাপড় কিনতে পারি না, ছেঁড়া বস্তা দিয়ে শীত কাটাই।’ এরপর ৬০ বছর অতিক্রম হয়েছে। দেশ স্বাধীন হয়েছে। সিংহভাগ চা-শ্রমিক জনগোষ্ঠীর জীবন-মান খুব একটা উন্নত হয়নি। তারপরও বলা যায়, এখন আর সে সময় নেই। অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছে চা-শ্রমিকদের বর্তমান জীবনধারায়। এর একটা প্রধান কারণ চা-শ্রমিকদের সন্তানেরা অধিক হারে শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে। তার প্রমাণ হিসেবে বলা যায়, বাংলাদেশের স্বনামধম্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ড. আর. আর. কৈরী, এনজিওএর উর্ধতন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন উচ্চপদে আসীন হয়েছেন এই চা-শ্রমিকদের সন্তানেরাই। সিলেট বিভাগের বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয় ইত্যাদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতার মত মহান পেশায় নিয়োজিত আছেন অসংখ্য চা-শ্রমিকদের শিক্ষিত সন্তানেরাই। সরকারি হাসপাতালের ডাক্তার, সেনাবাহিনীর অফিসার/সৈনিক, পুলিশবাহিনীর অফিসার/সিপাহী সহ বিভিন্ন পদে চাকুরীরত আছেন শিক্ষিত চা শ্রমিক সম্প্রদায়ের ব্যক্তিবর্গ। একসময় চা-শ্রমিকদেরকে হেয় দৃষ্টিতে দেখা হলেও স্বাধীন বাংলাদেশে চা-শ্রমিকদের সন্তানেরাই দেশ জনতার সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বিভিন্ন পেশাজীবী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
চা-শ্রমিকদের জীবনধারা পরিবর্তনে বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ ভূমিকা রয়েছে। বিটিআরআই উচ্চ বিদ্যালয়ের মত বিভিন্ন বাগানে প্রাথমিক কিংবা মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে অনেক চা-শ্রমিক সন্তানই শিক্ষকতা করছেন। ক্যামেলিয়া-ডানকান ফাউন্ডেশন তো চা-শ্রমিকদের শিক্ষা বিস্তারে আরো একধাপ এগিয়ে গেছে। তারা লংলা চা বাগানে শুধুমাত্র চা-শ্রমিকসন্তানদের শিক্ষার জন্য একটি পৃথক বিদ্যালয় স্থাপন করেছেন। এ বিদ্যালয়ে যে সকল শিক্ষার্থী পড়ার সুযোগ পায়, তাদের বই-খাতা-পোষাক-থাকা-খাওয়া সবই ফ্রি। এমনকি যারা উচ্চ শিক্ষার জন্য মেডিক্যাল কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পায়, তাদেরকেও প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত সকল প্রকার সহায়তা প্রদান করা হয়। কাজেই বলা যায় চা শ্রমিক জনগোষ্ঠি এখন অনেক এগিয়ে গেছে। শুধুমাত্র শিক্ষাবিস্তারেই এ অসম্ভব যাত্রা সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে চা-শ্রমিকদের মধ্যে শিক্ষার হার এত বৃদ্ধি পেয়েছে যে, নির্দ্বিধায় বলা যায় অদূর ভবিষ্যতে চা-বাগানগুলোতে বিকল্প শ্রমিক খুঁজতে হবে।
অতীতের চা শ্রমিকদের দুঃখ-বেদনা ফুটে উঠেছে চা শ্রমিকদের মধ্যে প্রচলিত ঝুমুর গানের মধ্যে। এরকম একটি ঝুমুর গান নি¤েœ তুলে ধরা হল-
“সর্দার বলে কাম কাম,
বাবু বলে ধরে আন,
সাহেব বলে লিবো পিঠের চাম রে,
হায়রে ঘনশ্যাম
ফাঁকি দিয়া আনাইলি আসাম।”
এরকম আরেকটি ঝুমুর গান নি¤েœ তুলে ধরা হল। এ গানে চা শ্রমিকরা তাদের হারানো ঘরবাড়ি নিয়ে আক্ষেপ করছে। তাদের মাতৃভাষায় যা বলছে তার মর্মার্থ হচ্ছে রাঁচি থেকে তাদেরকে ধরে এনে কুলি হিসেবে কাজ করার জন্য টুকরি দেয়া হয়েছে। সারাদিন চা বাগানে ঘুরে ঘুরে চা পাতা সংগ্রহ করাই এখন তাদের নিয়তি।
“রাঁচিকের মাঙ্গাল কুলি
দেয় দেলাই টুকরি
ঝুমরি ঝুমরি পাতা তুরেলা
চারা বাড়ি
হায়রে দেইয়া
কাঁহা গেলাক হামনিকের
ঘরবাড়ি।”
চা-শ্রমিকদের মধ্যে প্রচলিত এসব ঝুমুর গান হতে স্পষ্টতই লক্ষ্য করা যায়, অতীতের সেই দুঃখ কষ্টের দিন তাদের অবসান হতে চলেছে। যদিও শত বর্ষের অত্যাচার সহ্য করার পর, অনেক আন্দোলন-ত্যাগ-তীতিক্ষার পর বর্তমানে আলোর নিশানা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে, তবুও বলা যায় এ পরিবর্তন অবশ্যই বৈপ্লবিক। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের উদার মনোবৃত্তি অবশ্যই শ্রদ্ধার চোখে দেখতে হবে। আমাদের পাশ্ববর্তী রাষ্ট্র মায়ানমারে যেখানে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠির সাথে পশুর চেয়েও নিকৃষ্ট আচরণ করা হচ্ছে, বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ নির্যাতন করা হচ্ছে, সেখানে বর্তমান সরকার চা-শ্রমিক জনগোষ্ঠির জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন, শিক্ষা বিস্তারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তা অবশ্যই প্রশংর্সাহ।
চা-শ্রমিক জনগোষ্ঠির মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ, তাদের সামাজিক ন্যায় বিচার নিশ্চিতকরণ, পারিবারিক ও আর্থসামাজিক ন্যায় বিচার নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে বর্তমান সরকার সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমের আওতায় “চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন কার্যক্রম” গ্রহণ করেছে। সিলেট বিভাগ, চট্টগ্রাম বিভাগ ও পঞ্চগড় জেলার চা বাগানসমূহে কর্মরত চা শ্রমিকগণের সহায়তার উদ্দেশ্যে এ কার্যক্রম বাস্তবায়িত করা হবে। প্রকৃত ও দুঃস্থ চা শ্রমিকদেরকে পরিবারপ্রতি ৫০০০ টাকার খাদ্য সামগ্রী নি¤েœাক্ত বিভাজন অনুযায়ী প্রতিটি আইটেম পৃথক পৃথক প্যাকেটজাত অবস্থায় মোট ৩ বারে বিতরণ করা হবে। নি¤েœ পন্য সামগ্রীর তালিকা উল্লেখ করা হল।
মাসের নাম তারিখ বিবরণ পরিমাণ দর মোট মূল্য (প্রতি কিস্তিতে) মোট মূল্য (৩ কিস্তিতে)
চাল ১৫ কেজি ৪০/- ৬০০/- ১৮০০/-
ডাল (মশুর) ৩ কেজি ৯০/- ২৭০/- ৮১০/-
আটা ৫ কেজি ৪০/- ২০০/- ৬০০/-
তেল ২ লিটার ১৩৫/- ২৭০/- ৮১০/-
আলু ৫ কেজি ২০/- ১০০/- ৩০০/-
সাবান ২টি ২০/- ৪০/- ১২০/-
শাড়ি ১টি ৩৬০/- – ৩৬০/-
লুঙ্গি ১টি ২০০/- – ২০০/-
১৪৮০/- ৫০০০/-
এ ধরণের অসংখ্য কার্যক্রম প্রতিনিয়তই পরিচালিত হচ্ছে। নতুন নতুন পরিকল্পনা গৃহীত হচ্ছে। এ থেকে চা-শ্রমিক জনগোষ্ঠির জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে বাংলাদেশ সরকারের মনোভাব স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে। কাজেই বলা যায় চা শিল্পের প্রাণভোমরা চা শ্রমিকদের জীবন ধারা অনেকটাই পাল্টে গেছে এবং প্রতিনিয়তই পাল্টাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষার ভূমিকা অনস্বীকার্য। পাশাপাশি বিটিআরআই উচ্চ বিদ্যালয়ের মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো যথেষ্ট ভূমিকা পালন করছে। যেহেতু বিটিআরআই উচ্চ বিদ্যালয়টি পরিচালিত হচ্ছে বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে এবং বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট হচ্ছে বাংলাদেশ চা বোর্ডের একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। কাজেই বলা যায় চা শিল্প প্রসারে, চা শ্রমিকদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে সর্বোপরি শিক্ষা বিস্তারে বাংলাদেশ চা বোর্ড বিশেষ ভূমিকা পালন করছে।সায়েক আহমদ, বিএসসি বিএড(১ম শ্রেণিতে ১ম)
প্রধান শিক্ষক, বিটিআরআই উচ্চ বিদ্যালয়।
[শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক(২০০২), মৌলভীবাজার জেলা, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ স্বর্ণপদক(২০১১)]
মন্তব্য করুন