চা কন্যার ভাস্কর্য নিয়ে আল ইকরাম নয়নের ভিডিও কন্টেন্ট
শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি॥ মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার আইকন ও পর্যটনের অন্যতম দর্শনীয় স্থান চা-কন্যার ভাস্কর্যের পেছনের অজানা তথ্য তরুণ প্রজন্মের কাছে প্রথম বারের মতো ইউটিউব ভিডিওর মাধ্যমে উপস্থাপন করল শ্রীমঙ্গলের এক ইউটুব কনটেন্ট ক্রিয়েটর আল ইকরাম নয়ন। এর আগে নয়ন শ্রীমঙ্গলের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত বদ্ধভূমি একাত্তর নিয়ে ভিডিও তৈরি করে দেশ বিদেশের মানুষের কাছে শ্রীমঙ্গলের সুনাম ছড়িয়ে দিয়েছিল আল ইকরাম নয়ন।
আল ইকরাম নয়ন জানান, পড়াশোনার পাশাপাশি ইউটিউবে কন্টেন্ট ক্রিয়েট করতে উনার ভালো লাগে এবং এর মাধ্যমে নিজ শহর শ্রীমঙ্গলকে পুরো বিশ্বের কাছে বর্ণনা করতে চান তিনি। তিন মাস আগে শ্রীমঙ্গল শহরের অন্যতম দর্শনীয় স্থান বদ্ধভূমি ৭১ নিয়ে একটি কনটেন্ট উপলোড করার পড়, উনার শ্রীমঙ্গলের আইকন চা কন্যা ভাস্কর্য নিয়ে কন্টেন্ট তৈরী করতে ইচ্ছে হল।
ভাস্কর্যটি সাতগাঁও টি এস্টেটে অবস্থিত তাই সাতগাঁও টিস্টেট এর ম্যানেজার মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম ও এই ভাস্কর্য নির্মাণের মূল উদ্যোক্তা মৌলভীবাজার জেলার সাবেক জেলা প্রশাসক ও বাংলাদেশ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মুহাম্মদ মফিজুল ইসলাম এর সহযোগিতায় সফল ভাবে ভিডিওটি রেকর্ডি করে আন্তর্জাতিক ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্মে ইউটিউবে ভিডিওটি আপলোড করেন।
সাতগাঁও চা বাগানের ব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলাম জানান – আমাদের এ ভাস্কর্যের বয়স প্রায় ১৪ বছর চলছে। এর মধ্যে এটার ইতিহাস জানার জন্য কাউকেই আগ্রহ প্রকাশ করতে দেখিনি আমি। এই প্রথমবার শ্রীমঙ্গলের ইউটুব কনটেন্ট ক্রিয়েটর আল ইকরাম নয়ন ইউটুবে একটি ডকুমেন্টারী তৈরী করার জন্য এটার ইতিহাস সংগ্রহ করে তরুণ প্রজন্মের কাছে উপস্থাপন করেছেন। যার মাধ্যমে সবাই জানতে পারলো এই ভাস্কর্যটি কিভাবে এখানে স্থাপিত হলো।
সাবেক সিনিয়র সচিব মফিজুল ইসলাম জানান – চা কন্যার ভাস্কর্যটি দেখে অনেকে আমাকে বলতো আপনি এটা বানিয়েছেন কিন্তু আপনার নামতো কোথাও দেখি না। উত্তরে আমি বলতাম, আমি বানাতে পেরেছি, এটাই আমার চরম তৃপ্তি। আর কিছু প্রয়োজন নেই। যখন ম্যানেজার রফিকুল ইসলামের কাছ থেকে শুনলাম শ্রীমঙ্গলের ইউটুব কনটেন্ট ক্রিয়েটর আল ইকরাম নয়ন এই ভাস্কর্য নিয়ে একটি ড্যুকুুমেন্টরি তৈরি করছেন। তখন কেনো জানি না ভীষণ ভালো লেগেছে মনে হয়েছে আমার এই ভাস্কর্য নির্মাণের চেষ্টা সার্থক হয়েছে। এখন অন্তত সবাই জানতে পারলো এই শিল্প কর্মটি কিভাবে এখানে স্থাপিত হলো। আল ইকরাম নয়নকে অসংখ্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাই।
মন্তব্য করুন