ছয় মাসে ২৫ গরু চুরি একই রাতে শরীফপুর ইউনিয়ন থেকে দুটি ষাঁড়সহ চারটি গরু চুরি

March 8, 2025,

প্রনীত রঞ্জন দেবনাথ : একই রাতে কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের দু’টি চা বাগান থেকে চারটি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত গৃহস্থরা প্রায় সাড়ে তিন লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। গত ৬ মাসে এই ইউনিয়ন থেকে ২৫টি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে জনপ্রতিনিধিরা অভিযোগ তুলেছেন।

শনিবার ৮ মার্চ ভোর রাতে তিলকপুর চা বাগানের সাংবাদিক মিন্টু দেশোয়ারার বাড়ি থেকে দুটি ষাঁড় গরু এবং পার্শ্ববর্তী চাতলাপুর চা বাগানের টাঙ্কি টিলার ঝন্টু রবিদাসের দুটি গরু চুরি হয়।

ক্ষতিগ্রস্ত গরু মালিকরা জানান, অজ্ঞাত চোরেরা ডেইলী স্টার পত্রিকার মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক মিন্টু দেশোয়ারার বাড়ির গোয়াল ঘরের স্টিল দরজার তালার হুক কেটে গভীর রাতে বড় আকৃতির একটি সাদা ও একটি কালো রঙের ষাড় গরু চুরি করে নিয়ে যায়।

সাংবাদিক মিন্টু দেশোয়ারা জানান, চুরি হওয়া দুটি ষাঁড় গরুই ছিল তার একমাত্র সম্পদ। যার বাজার মূল্য প্রায় ২ লক্ষাধিক টাকা হবে। গরু চুরির বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। তিনি আরও বলেন, চুরির রাতে আমরা বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নেই এবং শনিবার সকালে চা বাগান পঞ্চায়েত, জনপ্রতিনিধি ও পুলিশ প্রশাসনকেও অবহিত করি।

অন্যদিকে চাতলাপুর চা বাগানের ঝন্টু রবিদাস বলেন, একই রাতে আমার দু’টি গরু চুরি হয়েছে। গরু দুটিই আমার শেষ সম্বল ছিল। দুটি গরুর বাজার মূল্য প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকা হবে। এতে আমি বড় ধরণের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছি।

এদিকে শরীফপুর ইউপি সদস্য মো. হারুন মিয়া ও গণেশ গোয়ালা জানান, গত রাতে চারটি গরুসহ গত ছয়, সাত মাসে ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা থেকে ২৫টি গরু চুরি হয়েছে। একটি গরুও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

এব্যাপারে কুলাউড়া থানার ওসি মো. গোলাম আপছার বলেন, সংবাদ পেয়ে আমরা সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি এবং চোরদের শনাক্ত করতে তদন্ত শুরু করেছি। তিনি আশ্বাস প্রদান করে বলেন, যত দ্রুত সম্ভব গরুগুলো উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে। তাছাড়া কুলাউড়া সদর থেকে প্রায় ৩০ কি.মি. দূরে শরীফপুর এবং সীমান্তবর্তী এলাকা থাকায় পুলিশ আসতে আসতে কিছুটা বিলম্ব হয়ে যায়।

আগুনে পুড়ে নিঃস্ব কমলগঞ্জের এক প্রবাসীর পরিবার

প্রনীত রঞ্জন দেবনাথ : গভীর রাতে কমলগঞ্জে আগুনে পুড়ে এক প্রবাসীর পরিবার নিঃস্ব হয়েছে। আগুনে আধা কাঁচা বসতঘরের আসবাবপত্র, কাপড় চোপড়, স্মার্ট ফোন, স্বর্ণালঙ্কার সব পুড়ে ছাই হয়েছে। এতে প্রায় পনের লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারী) গভীর রাতে  উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের কাউয়ারগলা গ্রামের মন্তাই মিয়ার বসতঘরে এ ঘটনা ঘটে।

অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত সত্ত্বরোর্ধ কুলসুম বিবি কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, গভীর রাতের অগ্নিকাণ্ডে তার সদ্য বিবাহিত ছেলের শ্বশুরবাড়ী থেকে দেওয়া নতুন সোফাসেট সহ কয়েকলক্ষ টাকার আসবাবপত্র পুড়ে গেছে। তার মেয়ে রোমানা বেগম বলেন, শুক্রবার রাতে তারাবির নামাজ পড়ে তারা খাওয়াদাওয়া শেষে ঘুমিয়ে যায়। পরে রাত প্রায় দেড়টার সময় রান্নাঘরে আগুন দেখতে পয়ে চিৎকার শুরু করে। পরিবারের লোকজন উঠে ঘরে বাহির হওয়ার পর পরই তাদের শয়ন কক্ষে আগুন দাউদাউ করে জ¦লতে থাকে। এসময় প্রতিবেশিদের সহযোগিতায় আগুন নিযন্ত্রণে আনলেও ঘরের কিছুই উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

তিনি জানান, তার দুই ভাই ইন্তাজ আলী ও ইকরাম আলী মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী। তাদের কষ্টার্জিত অর্থে তিল তিল করে জমানো সব সহায় সম্পদ চোখের পলকে ধ্বংস হয়ে গেছে। তারা শুধু পরনের কাপড় নিয়ে ঘর থেকে বের হতে পেরেছেন। এখন তারা আরেকটি ঘরে মাথা গোঁজার ঠাঁই নিয়েছে।

তবে কমলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার ফারুকুল ইসলাম এবিষয়ে তাৎক্ষণিক কোন খবর পাননি বলে জানান। আদমপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবদাল হোসেন অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত বসতঘর পরিদর্শন করে তাদেরকে যথাসম্ভব সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত এ পরিবারের পূনর্বাসনে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com