ছাত্র-জনতার অর্জনকে নস্যাৎ করতে আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মারা ষড়যন্ত্র করছে- বিএনপি নেতা হাজী মুজিব
এহসান বিন মুজাহির : বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব মোঃ মুজিবুর রহমান চৌধুরী বলেছেন, পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও তার ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। রাষ্ট্র সংস্কারের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক পন্থায় বিএনপির ক্ষমতায় যাওয়ার যে সুযোগ তৈরি হয়েছে তা কোনোভাবেই প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবে না। ছাত্র-জনতার অর্জনকে নস্যাৎ করার জন্য পরাজিত আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মারা ষড়যন্ত্র করছে।
শুক্রবার ১ নভেম্বর বিকেলে মৌলভীবাজার রোডস্থ নাহার পেট্রোল পাম্পের সামনে শ্রীমঙ্গল উপজেলার ৩ নং সদর ইউনিয়ন বিএনপির সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন আয়োজিত ‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার বিজয় নস্যাৎ এর চেষ্টা ও অপশক্তির দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব মোঃ মুজিবুর রহমান চৌধুরী (হাজী মুজিব) আরও বলেন, দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভারতে বসে দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। আর তার দোসররা আমাদের আশপাশেই রয়েছে। ছাত্রজনতা রক্তে অর্জিত বিজয়কে কোনোভাবেই নস্যাৎ করতে দেয়া যাবে না। সন্ত্রাসী সংগঠন আখ্যায়িত করে সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ হওয়া সংগঠন ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ এবং পতিত প্রধানমন্ত্রী স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দোসরদের সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
৩ নং সদর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাহমুদুল হাসান ঝারুর সঞ্চালনায় গণসমাবেশে বক্তব্য রাখেন, শ্রীমঙ্গল উপজেলা বিএনপির সভাপতি নুরুল আলম সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক মোঃ তাজ উদ্দিন (তাজু), জেলা বিএনপির সদস্য মোঃ দুরুদ আহমদ, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মোঃ মহি উদ্দিন ঝারুসহ বিএনপির সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে হাজী মুজিব আরও বলেছেন, ভোট চুরি করে শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ আসন থেকে বারবার এমপি-মন্ত্রী হওয়া দুর্নীতিবাজ ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা দাবিদার আব্দুস শহীদ এমপি ও তার দলের নেতাকর্মীরা গত ১৬টি বছর বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর সীমাহিন জুলুম-নির্যাতন, নিপীড়ন করেছেন। মিথ্যা মামলা, হয়রানীর কারণে বিএনপি ও অঙ্গ, সহযোগী সংগঠনের বহু নেতাকর্মী বিনা অপরাধে গায়েবি মামলার আসামী হয়ে জেল খেটেছেন, অবর্ণনীয় জুলুম-নির্যাতন সহ্য করেছেন। সেই ভোট চোর এমপি শহীদ ও তার ভাইয়েরা অবৈধভাবে সরকারি জায়গা দখল করেছেন, বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ লুট করে সম্পদের পাহাড় বানিয়েছেন। বিদেশে টাকা পাচার করেছে, দেশ-বিদেশে নামে বেনামে বাসাবাড়ি-প্ল্যাট কিনেছেন। কাজেই এসব অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে তাদের বিচারের কাঠগড়ায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
সমাবেশে অন্যান্য বক্তারা বলেন, ছাত্র-জনতার বিজয়কে ম্লান করার জন্য যারা বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত হয়েছেন তাদেরকে রুখে দিতে হবে। বিগত দানব সরকারকে সরাতে ছাত্র-জনতা তাদের রক্ত দিয়েছে, যার জন্য দেশ স্বাধীন হয়েছে। বেগম জিয়ার মুক্তি হয়েছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্যদিয়েই অন্তর্বরতীকালীন সরকারের মাধ্যমে অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে গণতান্ত্রিক সরকার গঠন হবে। কিন্তু ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে অর্জিত বিজয়কে নস্যাৎ করতে এখনও ষড়যন্ত্র চলছে। আর সম্মিলিতভাবে সকল ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে হবে।
গণসমাবেশে ৩নং ইউনিয়নের বিএনপির সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন