জটিলতা সৃষ্টি করে ৬ বছর ঝুলিয়ে রাখা পদে অবশেষে বড়লেখার দক্ষিণভাগ হাইস্কুলে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ
বড়লেখা প্রতিনিধি॥ অবশেষে বড়লেখার দক্ষিণভাগ এনসিএম উচ্চ বিদ্যালয়ের শূন্যপদে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। অর্ধযুগ পর শনিবার নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলে স্কুল প্রাঙ্গনে শত শত উৎসুক জনতার ভিড় জমে। সন্ধ্যার পর নিয়োগ বোর্ড জুড়ী হাজী ইনজাদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশুক আহমদকে এ স্কুলের প্রধান শিক্ষক পদে নির্বাচিত করার ঘোষনা দিলে জনমনে স্বস্তি আসে। বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ উঠে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শাহীদুল ইসলাম নিজে প্রধান শিক্ষক হতে না পারায় নানা জটিলতা সৃষ্টির মাধ্যমে ৬ বছর প্রধান শিক্ষক নিয়োগ ঝুলিয়ে রেখে স্কুলের অপুরণীয় ক্ষতি সাধন করেন।
জানা গেছে, ২০১০ সালে প্রধান শিক্ষক মামুনুর রশীদ প্রবাসে যাওয়ায় সহকারী প্রধান শিক্ষক শাহীদুল ইসলাম ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিযুক্ত হন। এরপর প্রধান শিক্ষকের শূন্যপদে অন্তত পাঁচবার পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিসহ আনুসাঙ্গিক কার্যক্রম চালিয়েও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শাহীদুল ইসলাম এ পদে আসিন হওয়ার নিশ্চয়তা না পেয়ে নানা জটিলতা সৃষ্টির মাধ্যমে নিয়োগ পরীক্ষা আটকে দেন। প্রশাসনিক ও ম্যানেজিং কমিটির চাপে তিনি গত ২০ জুন ৫ম বারের মত প্রধান শিক্ষক পদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। এবারও শেষ পর্যন্ত নিয়োগ পরীক্ষা হবে কি-না এ নিয়ে অভিভাবক মহল ও এলাকাবাসীর উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার কমতি ছিল না। বর্তমান স্কুল ম্যানেজিং কমিটি তাকে হেড মাস্টার করার আশ্বাস দিলে জটিলতা সৃষ্টি না করে প্রধান শিক্ষক পদে তিনি প্রার্থী হন এবং শনিবার অনুষ্ঠিত নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেন। কিন্তু প্রায় ছয় বছর প্রধান শিক্ষক পদটি আকড়ে ধরেও শেষ রক্ষা পাননি তিনি। নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জন করে প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হন তারই এক সময়ের ছাত্র আশুক আহমদ।
এব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শাহীদুল ইসলাম জানান, প্রধান শিক্ষক নিয়োগ না দিয়ে গত ৬-৭ বছরে স্কুলের অনেক ক্ষতি হয়েছে। আর ক্ষতি হউক সেটা তিনি চান না।
স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল মুকিত লুলু জানান, অতীতের কমিটি কয়েকবার সকল আনুষ্ঠানিকতা করেও শেষ মুহুর্তে প্রধান শিক্ষক পদের নিয়োগ পরীক্ষা নিতে পারেনি। স্বচ্ছ পরীক্ষার মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেয়া গেছে এটা বর্তমান কমিটির সবচেয়ে বড় সাফল্য।
মন্তব্য করুন