জনপ্রতিনিধিরা বিবেকহীন মানুষ নয়-যে টাকা দিয়ে ভোট কেনা যাবে—– অধ্যাপক রকিকুর রহমান, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ সদস্য
স্টাফ রিপোর্টার॥ আগামী জেলা পরিষদ নির্বাচনকে উদ্দেশ্য করে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ সদস্য ও কমলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক রফিকুর রহমান বলেন, এই নির্বাচন অন্য সাধারন নির্বাচনের মত নয়। এটি স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় অতি গুরুত্বপূর্ন নির্বাচন। অনেকে মনে করছেন টাকা দিয়ে ভোট কেনা যাবে। তাদের মনে করিয়ে দিতে চাই এই নির্বাচনে ভোটার হচ্ছেন নির্বাচিত চেয়ারম্যান,মেম্বার,মেয়র ও কাউন্সিলররা। আর জনপ্রতিনিধিরা বিবেকহীন মানুষ নয় যে এদের টাকা দিয়ে কেনা যাবে।
২৯ নভেম্বর দুপুরে শহরের পৌর মিলনায়তনে মৌলভীবাজার জেলা পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বীরমুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমানের সমর্থনে জেলা ও উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দদের নিয়ে মত বিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদপ্রাথী আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও জেলা আওয়ামীলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মিছবাউর রহমানের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক নেছার আহমদ, পৌর মেয়র ও জেলা যুবলীগ সভাপতি ফজলুর রহমান, সাবেক সাংসদ হুসনে আরা ওয়াহিদ, জেলা আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি আজমল হোসেন, রাজনগর উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি মিছবাহুদ্দোজা ভেলাই, কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রেনু, শ্রীমঙ্গল পৌর আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক অর্ধেন্দু দে, শ্রীমঙ্গল উপজেলা আওয়ামীলীগ ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক আব্দুল মন্নান, কুলাউড়া উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামীলীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন, জেলা শ্রমিকলীগ সভাপতি সৈয়দ মফচ্ছিল আলী, জেলা সেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি নাজমূল হক।
সভায় বক্তারা জেলা পরিষদ নির্বাচনে মৌলভীবাজারে চেয়ারম্যান পদে বর্ষিয়ান নেতা আজিজুর রহমানকে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ থেকে সমর্থন দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী ও দলের সভাপতি শেখ হাসিনা এবং কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানান।
তৃনমূল পর্যায়ে আর্থ-সামাজিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়নের মাধ্যমে জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন এবং স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা শক্তিশালী করার লক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১১ সালের ডিসেম্বর মাসে দেশের ৬১টি জেলায় জেলা পরিষদ প্রশাসক নিয়োগ করে ছিলেন। মৌলভীবাজার জেলা পরিষদ প্রশাসক হিসেবে সৎ,পরিচ্ছন্ন ,প্রবীন রাজনীতিবিদ বীরমুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমানকে নিয়োগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা-গনতন্ত্রের মূলকথা এই প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে বীরমুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান মৌলভীবাজার জেলা পরিষদ প্রশাসকের দ্বায়িত্ব পালনের পর থেকে প্রতি বছর উন্মুক্ত ভাবে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মকান্ড ও ভবিষ্যৎ কর্ম পরিকল্পনা জনসাধারনকে অবহিত করে আসছেন। তাই স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় উন্নয়ন,স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতায় মৌলভীবাজার জেলা পরিষদ একটি উদাহরন হিসেবে কাজ করছে বলে মনে করছেন জেলাবাসী।
মৌলভীবাজার জেলা পরিষদ প্রশাসক বীরমুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমানের অধীনে ৫ বছরে উপজেলা ওয়ারী বরাদ্ধ ও উন্নয়ন কার্যক্রমের সংক্ষিপ্ত বিবরন:-
সদর উপজেলায় বরাদ্ধের পরিমান ( ২০১১-১২ অর্থ বছর থেকে চলমান অর্থ বছর পর্যন্ত) প্রায় ৩ কোটি ৪৬ লক্ষ টাকা, রাজনগর উপজেলায় প্রায় ৩ কোটি টাকা, কুলাউড়া উপজেলায় প্রায় ১০ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা, শ্রীমঙ্গল উপজেলায় প্রায় ৯ কোটি ৯৬ লক্ষ টাকা, কমলগঞ্জ উপজেলায় প্রায় ৬ কোটি ৭ লক্ষ টাকা, বড়লেখা উপজেলায় প্রায় ১৩ কেটি ৮০ লক্ষ টাকা, জুড়ী উপজেলায় প্রায় ৫ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা।
জেলার গ্রামীন অবকাঠানো উন্নয়ন কার্যক্রমের মধ্যে ১২৯ কি:মি: রাস্থা, ২১৬টি ধর্মীয় প্রতিষ্টান, ২৫৯টি শিক্ষা প্রতিষ্টান, ৩২টি স্যানিটেশন প্রকল্প, ৪টি যাত্রী ছাউনী, ব্রীজ,কালভাট, গভীর-অগভীর নলকূপ স্থাপনসহ ১৪৩টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে ।
মৌলভীবাজার জেলা পরিষদ ( পর্ব-০১)
মৌলভীবাজার জেলা পরিষদ প্রশাসক হিসেবে সৎ,পরিচ্ছন্ন ,প্রবীন রাজনীতিবিদ বীরমুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমানকে ২০১১ সালে ডিসেম্বর মাসে নিয়োগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকে প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন, জেলার অবহেলিত ও উন্নয়ন বঞ্চিত অঞ্চলকে উন্নয়নের মহাসড়কের সাথে যুক্ত করা ,পর্যটন জেলায় রুপান্তরিত করতে অবকাঠামো উন্নয়ন এবং যুব সমাজকে প্রশিক্ষনের মাধ্যমে যুব শক্তিতে রুপান্তর করতে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।মৌলভীবাজার জেলা পরিষদ প্রশাসক হিসেবে বীরমুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমানের দ্বায়িত্বকালে ৫ বছরে জেলার উল্লেখযোগ্য প্রকল্প সমূহ:-
রাজনগর কেন্দ্রীয় শাহী ঈদগাহ উন্নয়ন: রাজনগর অন্তেহরি আদর্শ নি¤œ মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয় ২য়তলা,সিঁড়িঘর,টয়লেট নির্মান, রাজনগর ডিগ্রী কলেজ উন্নয়ন: রাজনগর বিঞ্ষুপদ ধাম নাট মন্দির নির্মান, মৌলভীবাজার সৈয়ারপুর শ্মশান ঘাট উন্নয়ন, মৌলভীবাজার শ্রীমতি দুঘর উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমীক ভবন নির্মান, মৌলভীবাজার সাধুহাটি আব্দুল বারী উচ্চ বিদ্যালযের একাডেমিক ভবন নির্মান, কুলাউড়া মনু মডেল কলেজ একাডেমিক ভবন নির্মান ,জুড়ী সাগরনাল উচ্চ বিদ্যালয় ভবনের উর্দ্ধমুখী সম্প্রসারন, জুড়ী মক্তদির বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ভবন সংস্কার
বড়লেখায় মাধবকুন্ড ৪তলা বিশিষ্ট আধুনিক ডাক-বাংলো নির্মান, বড়লেখায় ১টি ৫০০ আসন বিশিষ্ট অডিটোরিয়াম কাম মাল্টিপারপাস হল, বড়লেখা মুড়াউল উচ্চ বিদ্যালয় ভবনের উর্দ্ধমুখী সম্প্রসারন
বড়লেখা হাকালুকি উচ্চ বিদ্যালয় ভবনের উর্দ্ধমুখী সম্প্রসারন, বড়লেখা নারী শিক্ষা একাডেমি ডিগ্রী কলেজের হলরুম ও শ্রেণী কক্ষ নির্মান, বড়লেখা সুজানগর পাথারিয়া কলেজের শ্রেনীকক্ষ নির্মান ,কমলগঞ্জে ১টি ৫০০ আসন বিশিষ্ট অডিটোরিয়াম কাম মাল্টিপারপাস হল, কমলগঞ্জ মনিপুরি সম্প্রদায়ের জন্য উন্মুক্ত মঞ্চ নির্মান, কমলগঞ্জ ললিত মোহন-ধনবতী মেমোরিয়্যাল ফাউন্ডেশন এর শ্মশান ঘাট স্থাপন,শ্রীমঙ্গলে ১টি ৫০০ আসন বিশিষ্ট অডিটোরিয়াম কাম মাল্টিপারপাস হল
শ্রীমঙ্গলে ৪তলা বিশিষ্ট আধুনিক ডাক-বাংলো নির্মান, শ্রীমঙ্গল উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ কলেজের ভবন,এছাড়াও ৪৫২ জন অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা/মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে আর্থিক অনুদান
১১৪৯ জন এসএসসি,এইচএসসি গরীব-মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের এককালীন বৃত্তি ,৩৮০ জন প্রশিক্ষিত অস্বচ্ছল মহিলাদের মধ্যে সেলাই মেশিন বিতরন , ১০০৪ জনকে কম্পিউটার ও সেলাই মেশিন প্রশিক্ষন ,ক্রীড়া,সংস্কৃতি,ধর্মীয় ও কল্যান খাতে অনুদান দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন