জনমনে স্বস্তিঃ গাড়ি চলাচল শুরু অবশেষে রাজনগরের খেয়াঘাটবাজার -কালারবাজার অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের বিরোধ সালিশি বৈঠকে নিস্পত্তি
রাজনগর প্রতিনিধি॥ রাজনগরের উপজেলার খেয়াঘাটবাজার -কালারবাজার অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের লেগে থাকা বিরোধ সালিশি বৈঠকে নিস্পত্তি হয়েছে।
২৫ মে বৃহস্পতিবার রাতে সুনামপুর গ্রামে উত্তরভাগ ও ফতেপুর ইউনিয়নের সহস্রাধিক মানুষের উপস্থিতিতে প্রায় ৫ ঘন্টা রুদ্ধধার বৈঠকে নিস্পত্তি হয়। জানা যায়, দুই সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়নের দীর্ঘদিন ধরে যাত্রী উঠানো ও নামানোকে কেন্দ্র করে হামলা-পাল্টা হামলা চলে আসছিল। এসব ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ২০জন শ্রমিক আহত হয়। এসব ঘটনায় ইতিপূর্বে আরো একাধিক সালিশ নিস্পত্তির জন্য তারিখ নির্ধারণ করলেও পরে আবার দুই পক্ষের মধ্যে ধরপাকর ও মারামারি শুরু হলে বিচারকার্য পন্ড হয়। পরবর্তীতে গত সোমবারে আবার খেয়াঘাটবাজারের এক শ্রমিককে কালারবাজারের অটোরিক্সা শ্রমকিরা জোরপূর্বক ধরে আনলে বিষয়টি নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। এতে ওই রুটে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়। পরে এলাকার বিশিষ্ট মুরব্বি ময়না মিয়া,সাংবাদিক আব্দুল ওয়াদুদ,শাহিন আহমদ,ছালিক মিয়া ও স্থানীয় ইউপি সদস্য হুমায়ুন কবির উভয়পক্ষকে মিলিত করে ২ লাখ টাকা আমানত ধার্য্য করে বৃহস্পতিবার সালিশির দিন ধার্য্য করেন। বৃহস্পতিবার রাতে সালিশি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন,উত্তরভাগ ইউপি চেয়ারম্যান শাহ শাহিদুজ্জামান ছালিক, বিশিষ্ট শিল্পপতি মোফাজ্জল হোসেন নিমার,কালারবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হিরা মিয়া, ময়না মিয়া, সাংবাদিক আব্দুল ওয়াদুদ, আব্দুল মানিক মেম্বার, শাহিন আহমদ,ছালিক মিয়াসহ অনেকেই। সালিশির এক পর্যায়ে বিচারকগণ কালারবাজার স্ট্যান্ডে দূর-দুরান্ত থেকে নিয়ে আসা যাত্রীদের নামিয়ে যাতে অয়থা হয়রানি করানো না হয় এবিষয়ে কঠোর সমালোচনা করে ওই রুটে নির্ভিগ্নে গাড়ি চলাচল করার প্রতি সবাই একমত হন। পাশাপাশি গাড়ি চলাকালীন সময়ে উভয়পক্ষের মধ্যে ভ্রার্তৃবোধ জেগে উঠার প্রতি আহবান জানান।
মন্তব্য করুন